স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মাত্র ১ রান দূরে ছিলেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে (বিপিএল) ২ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করতে। শুক্রবার সেই মাইলফলক পেরিয়েছেন মুশফিকুর রহীম। তামিম ইকবালের পর দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে বিপিএলে এই কৃতিত্ব দেখিয়েছেন তিনি। তামিম নিজের শহর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চলতি বঙ্গবন্ধু বিপিএলে ৬০ রানের ইনিংস খেলেন। ফলে বিপিএল প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ২ হাজার রানও পূর্ণ করেন। এই আসরে মুশফিক তাকে একবার রানে পিছিয়ে ফেলতে পারলেও সুযোগ কাজে লাগিয়ে ২ হাজার রান পূর্ণ করতে পারেননি আগে। শেষ পর্যন্ত তামিমের পরই তা করতে সক্ষম হলেন তিনি। শুক্রবার ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে ৩৩ বলে ৬ চার, ৪ ছক্কায় ৬৪ রানের ইনিংস উপহার দেন মুশফিক। এই আসরে এটি তার তৃতীয় অর্ধশতক। এখন সব বিপিএল মিলিয়ে তামিমের রান ৬৬ ম্যাচে ২১৪৩ আর মুশফিকের ৭৯ ম্যাচে ২০৬৩।
বঙ্গবন্ধু বিপিএল দিয়েই টানা ব্যর্থতার বৃত্ত ভেঙ্গে বেরিয়ে আসেন তামিম। ঢাকায় প্রথম ধাপের ৩ ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে ৫, ৭৪ ও ৩১ রান। খুব কাছাকাছি চলে এসেছিলেন প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে বিপিএলের ইতিহাসে ২ হাজার রান স্পর্শ করার। কিন্তু হঠাৎ ভাইরাস জ্বরে চট্টগ্রাম পর্বে খেলতে দলের সঙ্গেই আসতে পারেননি। সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে তার পেছনে থাকা মুশফিক ৫১ বলে ৯৬ রানের ক্যারিয়ারসেরা টি২০ ইনিংস খেলেন চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম দিনেই। খুলনা টাইগার্সের এ অধিনায়ক পরের দুই ম্যাচে অপরাজিত ১৭ ও ১২ রানের ইনিংস খেলে তামিমের রান (১৯৩৫) পেরিয়ে যান। অর্থাৎ প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ২ হাজার রান থেকে তখন মুশফিক ৬৪ রান দূরে। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। ১ রানেই সর্বশেষ ম্যাচে সাজঘরে ফিরেছেন। একই দিনে (সোমবার) খেলতে নেমে তামিম ৩৪ রানের একটি ইনিংস উপহার দেন এবং মুশফিককে টপকে আবার শীর্ষস্থান দখল করেন। পরের ম্যাচে মুশফিক ৫৯ রান করে আউট হলে ১৯৯৬ রানে আটকে যান তিনি। এর মাঝেই তামিম মাঠে ফিরে ৬০ রানের ইনিংস খেলে ২ হাজার রান পেরিয়ে যান। পরের ম্যাচেও মুশফিকের ২ হাজার পূর্ণ হয়নি। ৩ রানে অপরাজিত থাকতেই তার দল খুলনা ম্যাচ জিতে যায়। সে কারণে মাঝে ৫ দিন অপেক্ষা করতে হয়েছে তাকে। অবশেষে ঢাকার বিপক্ষে শুক্রবার ৬৪ রানের ইনিংস খেলে ২ হাজার রানের মাইলফলক পেরিয়ে যান তিনি। বিপিএলে ২ হাজার রান পূর্ণ করতে মাত্র ১ রান প্রয়োজন ছিল এদিন তার।