ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সিরাজগঞ্জে শেখ হাসিনার নামে বাস্তবায়ন হচ্ছে দুটি প্রকল্প

প্রকাশিত: ১১:৫৬, ৪ জানুয়ারি ২০২০

সিরাজগঞ্জে শেখ হাসিনার নামে বাস্তবায়ন হচ্ছে দুটি প্রকল্প

স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ ॥ সিরাজগঞ্জের উন্নয়ন চিত্রে বঙ্গবন্ধু কন্যা ‘শেখ হাসিনা’র নামে দুটি বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের আওতায় নির্মাণাধীন এ দুটি প্রকল্পের কাজ খুব দ্রুত শেষ হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগ। একটি প্রকল্প থেকে প্রশিক্ষিত সেবাদানকারীরা বেরিয়ে আসবে, অন্য প্রকল্পের মাধ্যমে সড়কপথে দুর্ঘটনায় আহতদের দ্রুত সেবা দেয়ার ব্যবস্থা থাকবে। সিরাজগঞ্জ-কাজিপুর সড়কের সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার দত্তবাড়িতে নির্মিত হচ্ছে নার্সিং কলেজ। নামকরণ করা হয়েছে ‘শেখ হাসিনা’ নার্সিং কলেজ। অন্য প্রতিষ্ঠানটি বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড়ের মহাসড়ক সংলগ্ন মুলিবাড়িতে ট্রমা হাসপাতাল। এটিরও নামকরণ করা হয়েছে ‘শেখ হাসিনা’ ট্রমা হাসপাতাল। শেখ হাসিনা নার্সিং কলেজের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় পঞ্চাশ কোটি টাকা। একটি চারতলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন, ছয়তলা বিশিষ্ট নার্সের ছাত্রী হোস্টেল, প্রিন্সিপ্যাল কোয়ার্টার, স্টাফ কোয়ার্টারসহ অন্যান্য ভবনের কাজও শুরু হয়েছে। আগামী জুলাই মাসে এ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষে হলে প্রতি ব্যাচে এক শ’ জন করে প্রশিক্ষিত সেবাদানকারী (নার্স) বেরিয়ে আসবে। নির্মাণাধীন সিরাজগঞ্জে শহীদ এম. মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ ও পাঁচ শ’ শয্যার হাসপাতালে কার্যক্রম পুরোদমে চালু হলে এই প্রশিক্ষিত জনবল মানবকল্যাণে নিয়োজিত হবে। এ ছাড়াও সরকারের প্রশিক্ষিত জনবল সৃষ্টির মাধ্যমে বেকার সমস্যারও সমাধান হবে। অপরদিকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড়ের মহাসড়কে প্রায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটছে। সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের কাছাকাছি স্থানে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা না থাকায় অনেকেই হাসপাতালে নেয়ার আগেই মারা যায়। আহতদের দ্রুততম সময় মহাসড়কের কাছাকাছি কোথাও চিকিৎসার ব্যবস্থা না থাকায় অনেকেই মারা যান। এসব কিছু বিবেচনায় এনে সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সময়কালে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড়ের সিরাজগঞ্জ শহরে প্রবেশমুখ মুলিবাড়িতে ১০ শয্যাবিশিষ্ট ট্রমা হাসপাতাল নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। তিনি নিজেই সিরাজগঞ্জে নির্মাণাধীন নার্সিং কলেজ ও ট্রমা হাসপাতালের নাম শেখ হাসিনার নামে নামকরণ করেন। এছাড়াও সিরাজগঞ্জ জেলার উপজেলা পর্যায়ের ইউনিয়নসমূহে ১০ শয্যা বিশিষ্টও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, ৩১ শয্যার হাসপাতাল, ম্যাটস, পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ নানা স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে।
×