ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঝলক

প্রকাশিত: ১০:১৮, ৩ জানুয়ারি ২০২০

 ঝলক

পরীক্ষায় ফেসবুকের ভাষা! মাল্টায় মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের খারাপ ফলের পেছনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইন্টারনেটের প্রভাবকে দায়ী করেছেন দেশটির পরীক্ষকরা। গত বছরের মে মাসে অনুষ্ঠিত হওয়া সেকেন্ডারি এডুকেশন সার্টিফিকেট (এসইসি) পরীক্ষায় অংশ নেয়া তিন হাজার ৮৮৫ শিক্ষার্থীর খাতা মূল্যায়নের বার্ষিক প্রতিবেদনে তারা কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে অনুরোধ করেছেন। পরীক্ষায় অংশ গ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে শেষ পর্যন্ত দুই-তৃতীয়াংশই উচ্চতর ধাপে পড়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারলেও পরীক্ষায় খাতায় তাদের ভাষা বিশেষ করে বানান ভুল নিয়ে পরীক্ষকরা চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা মন্তব্য করেছেন, মাল্টায় এসইসিতে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের অবশ্যই পড়াশোনা করতে হবে এবং ইন্টারনেটের প্রভাব থেকে দূরে থাকতে হবে; ফেসবুকে ব্যবহৃত ভাষা পরীক্ষায় প্রহণযোগ্য হবে না। পরীক্ষকদের প্রতিবেদনে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুই হাজার ৪১৪ জনকে গ্রেড ১ থেকে গ্রেড ৫-এর মধ্যে নম্বর দেয়া গেলেও আট শ’র মতো শিক্ষার্থী এতই খারাপ ফল করেছে যে, তাদের শ্রেণী বিভাগই করা সম্ভব হয়নি। ২০১৮ সালের পরীক্ষায়ও এমনটা দেখা গেছে। পরীক্ষার্থীদের অনেকেই কথ্য ভাষা ও লিখিত ভাষার মধ্যে পার্থক্য করতে পারেনি, কেউ কেউ বাজে ভাষা ব্যবহার করেছে। অনেকে আবার মাল্টার ভাষার অক্ষরগুলোর সঙ্গে ইংরেজী ও ইতালীয় অক্ষরের তালগোল পাকিয়ে ফেলেছে। সবচেয়ে বেশি ভুল করেছে প্রবন্ধ লেখার সময়। ফেসবুকের কারণেই এমনটা হয়েছে। ব্যাকরণ অংশে কোন শিক্ষার্থীই পূর্ণ নম্বর পায়নি জানিয়ে এ বিষয়টিতেই সংখ্যাগরিষ্ঠ শিক্ষার্থী দুর্বল। -টাইমস অব মাল্টা আমাজনকে চ্যালেঞ্জ ভারতের শীর্ষ ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানি এই মুহূর্তে এশিয়ার সবচেয়ে ধনাঢ্য ব্যক্তি। এবার তিনিই বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন শপ আমাজনকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেললেন। আম্বানির রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রি বলছে, তারা গ্রোসারি ডেলিভারি সার্ভিসে সাইন আপ করার জন্য লোকজনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। তারা মূলত ব্যবসার জন্য ভারতের বিশাল সংখ্যক মোবাইল ফোন গ্রাহককে টার্গেট করে এগোচ্ছে। আর নতুন এই ই-কমার্স উদ্যোগ ভারতের বড়বড় অনলাইন শপগুলোর জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আম্বানির বিজনেস সাম্রাজ্যের দুই সহযোগী প্রতিষ্ঠান রিলায়েন্স রিটেইল ও রিলায়েন্স জিও বলছে, তারা যৌথভাবে নতুন উদ্যোগের সূচনা করেছে যার নাম হবে জিওমার্ট। এর মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বা গ্রোসারি পণ্যের ফ্রি ও এক্সপ্রেস ডেলিভারি সেবা দেয়া হবে। বর্তমানে ই-কমার্সে অন্তত ৫০ হাজার পণ্য পাওয়া যাবে নতুন অনলাইন শপে। আর জিওমার্ট গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এ্যাপের মাধ্যমে। যদিও ভারতের অনলাইন গ্রোসারি মার্কেট এখনও খুব একটা জমে ওঠেনি। কেননা এখনও ই-কমার্সে বছরে লেনদেনের পরিমাণ মাত্র ৮০ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার। জনসংখ্যার শূন্য দশমিক ১৫ ভাগ মানুষই এই সেবা গ্রহণ করছে। বিশ্লেষকদের ধারণা, ২০২৩ সাল নাগাদ অনলাইন গ্রোসারি শপে বেচাকেনার পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় এক হাজার ৪৫০ কোটি মার্কিন ডলার। দেশটির অনলাইন মার্কেট এখন মূলত নিয়ন্ত্রণ করছে আমাজন আর ফ্লিপকার্ট। গত বছরের নতুন একটি আইনের কারণে এ ধরনের কোম্পানিগুলো কিছুটা হোঁচট খেয়েছে। আর এটাই নতুন ভারতীয় কোম্পানির জন্য সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। আম্বানি এখন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান এবং তার সম্পদের পরিমাণ ছয় হাজার কোটি মার্কিন ডলারের বেশি। রিলায়েন্স রিটেইল গ্রোসারি শপ আছে যেমন তেমনই হুগো বস কিংবা বারবেরির মতো বিদেশী নামী-দামী কোম্পানির আউটলেটও তারা পরিচালনা করে। রিলায়েন্স জিও ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলিকম অপারেটর যার প্রায় ৩৬ কোটি গ্রাহক রয়েছে। -বিবিসি।
×