ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ১০:১৮, ৩ জানুয়ারি ২০২০

 উবাচ

লিডার ইজ নেভার রং স্টাফ রিপোর্টার ॥ সবার মতামত নিয়ে কাজ করতে চাই। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে, লিডার ইজ নেভার রং, লিডার ইজ অলওয়েজ কারেক্ট। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের সম্প্রতি দল গোছাতে নেতাকর্মীদের পরামর্শ নেয়ার ক্ষেত্রে এমন মানসিক অবস্থা রয়েছে বলে বোঝাতে চেয়েছেন। বক্তব্যের ভাবধারা এমন যে তিনি সালিশ মানলেও তালগাছটা কিন্তু তারই থাকবে। রাজনৈতিক দলের প্রধানরা দেশে কতটা গণতন্ত্র রয়েছে এ নিয়ে উদ্বেগে দেখালেও নিজের দলের মধ্যে কতটা আছে তা নিয়ে মাথা ব্যথা নেই। না হলে সবার মতমত নেয়া হলে লিডার ইজ নেভার রং, লিডার ইজ অলওয়েজ কারেক্ট এমন কথা সঙ্গে সঙ্গে কিভাবে মনে করিয়ে দেয়া হয়। জাতীয় পার্টির সাবেক চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদকে সবাই স্বৈরাচার বলতেন। এরশাদের মৃত্যুর পর জাতীয় পার্টি সে কালিমা ঘোচাতে সাধারণের মত নেয়ার সুযোগ কী করতে পারত না? ওহি বন্ধ কর স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি চলে ওহিতে। সেই ওহি আসমান থেকে নয় আসে লন্ডন থেকে। কিন্তু লন্ডনী ওহির মান কতটা নিম্নমানের তা বিএনপিকে দেখলেই বোঝা যায়। বিএনপির উপদেষ্টা ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উদ্দেশে বলেছেন, লন্ডনে বসে ‘ওহি’ পাঠাবেন না। স্কাইপের মাধ্যমে দল পরিচালনা করবেন না। তিনি তারেককে লন্ডনে বসে দুই বছর মাস্টার্স বা এমফিলে পড়াশোনা করার পরামর্শ দিয়েছেন। জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, তারেক আমার খুব প্রিয় মানুষ। ছোটবেলা থেকেই আমি দেখেছি। এত দূর থেকে বসে তোমার (তারেক) মায়ের (খালেদা জিয়া) মুক্তি হবে না। প্লিজ, দুই বছর লন্ডনে একটা মাস্টার্স বা এমফিল করো। নিজের ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের বয়সের কথা উল্লেখ করে জাফরুল্লাহ বলেন, দুই ঘণ্টা দাঁড়াতে পারে না, এদের দিয়ে হবে না। আমাদের সময় শেষ হয়ে আসছে। আমাদের দিয়ে হবে না। তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি না হলে গণতন্ত্রের মুক্তি হবে না। এ জন্য হলে বসে বক্তৃতা-বিবৃতি দিলে হবে না। রাস্তায় নামতে হবে। প্রমাণের জন্যই স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোন নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না। সেটি প্রমাণ করার জন্যই আমরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। সত্যিই কি তাই তিনি বিগত নির্বাচনেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তাহলে তিনি কিভাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন? তিনি কি ভোট ডাকাতি করেছিলেন। তাহলে কি তিনি অনেক বড় ভোট ডাকাত যাদের কাছে সরকারী লোকেরও কোন পাত্তা নেই? ‘আমি বারবার বলতে চাই যে এই ইসিকে সরাতে হবে, এই সরকারকে সরাতে হবে। একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নির্বাচন করতে হবে।’ কিন্তু ২০০৮ সালে তো তেমনই হয়েছিল তাহলে তখন বিএনপি কেন পেরে উঠল না। সেই পরাজয়ও কি কম ছিল। নির্বাচন এলেই বিএনপি নির্বাচনে যায় ঠিকই কিন্তু এত অনিহা থাকে যে সাধারণ মানুষ মনে করে বিএনপি হারার আগেই হেরে বসে আছে। তাহলে তাদের পক্ষে কি আর জয়ের স্বপ্ন দেখানো সম্ভব।
×