ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

শীতবস্ত্র বিতরণে আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন

দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ বিএনপির বিরুদ্ধে ॥ কাদের

প্রকাশিত: ১০:১৪, ৩ জানুয়ারি ২০২০

  দেশের ৯০ শতাংশ  মানুষ বিএনপির  বিরুদ্ধে ॥ কাদের

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ এখন বিএনপির বিরুদ্ধে। এ সংখ্যা আরও বাড়বে। ৯১, ৯২, ৯৩ শতাংশ এভাবে কমতে কমতে এক সময় তাদের জনপ্রিয়তা তলানিতে গিয়ে ঠেকবে। বৃহস্পতিবার ধানম-ির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে শীতার্ত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণে গঠিত টিমের সমন্বয় সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ এখন বিএনপিকে চায় না। ‘সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কারচুপি পর্যবেক্ষণে বিএনপি অংশ নিয়েছে’ মর্মে সম্প্রতি বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন হওয়ার আগেই এ ধরনের বক্তব্য দেয়ার অর্থ হয় না। এ ধরনের মন্তব্য হাস্যকর। তারা গণতন্ত্রের ভাষা বোঝেন না, তারা আইন-আদালত কিছুই মানেন না। তাদের একমাত্র লক্ষ্য যে কোন উপায়ে ক্ষমতায় যাওয়া এবং হত্যা, খুন এবং লুটপাটের রাজনীতি চর্চা করা। নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে না পারলে চোরাই পথে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়া। এটাই তাদের রাজনীতি। ক্ষমতা পেলে সব ঠিক, ক্ষমতা না পেলে ঠিক নেই। আর ক্ষমতায় গিয়ে তাদের লক্ষ্য হয় লুটপাট, দুর্নীতি ও হাওয়া ভবন সৃষ্টি করা। তিনি বলেন, ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমরা নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা করব। ওবায়দুল কাদের বলেন, ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ এখনও আসেনি। এমনকি যেসব নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছে, সেখানে বিএনপির রেকর্ডও বেশি। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিভিন্ন জরিপের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সব সিদ্ধান্ত ঠিক নাও হতে পারে। সেজন্য প্রতীক বরাদ্দ দেয়া পর্যন্ত আমাদের টিমওয়ার্ক হচ্ছে। প্রার্থীর অবস্থানটা বা বিতর্কিত প্রার্থী থেকে থাকলে সেগুলো ফাইন্ড আউট করা হবে। এরপর যথাযথ প্রার্থীকে ঘোষণা করব। ওয়ার্ডে প্রার্থী উন্মুক্ত করা হয়নি। শীতবস্ত্র বিতরণে আওয়ামী লীগের কমিটি শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণে দেশের উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণবঙ্গে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের দুটি টিম। উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণবঙ্গে শীতবস্ত্র বিতরণের লক্ষ্যে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফকে টিম লিডার মনোনীত করা হয়েছে। এসব টিমের সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী। ওবায়দুল কাদের বলেন, শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণে আমাদের দুটি কমিটি গঠন করেছি। সবচেয়ে বেশি শীতার্ত এলাকাগুলোতে আমাদের টিম যাবে। একটি টিম পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁ, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর ও নীলফামারীতে শীতবস্ত্র বিতরণ করবে। এই টিমের টিম লিডার হিসেবে জাহাঙ্গীর কবির নানক নেতৃত্ব দেবেন। এই টিমের সদস্যরা হলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান, উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান ও কার্যনির্বাহী সদস্য সফুরা বেগম। অন্যদিকে মাহবুব-উল আলম হানিফের নেতৃত্বে দ্বিতীয় টিমের সদস্যরা হলেন, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, কেন্দ্রীয় সদস্য আমিরুল আলম মিলন, এ বি এম রিয়াজুল কবির কাওছার, পারভীন জামান কল্পনা, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। আগামী ১১, ১২ ও ১৩ জানুয়ারি শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম শুরু করবে দলটি। ১১ জানুয়ারি সৈয়দপুর থেকে বিভিন্ন টিমে বিভক্ত হয়ে শীতবস্ত্র কার্যক্রম করবেন দলের নেতারা। এছাড়া আগামী ১১ জানুয়ারি দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সৈয়দপুর ও নীলফামারীতে এই টিমের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে শীতবস্ত্র বিতরণ করবেন। এছাড়া ৬ জানুয়ারি সাভার এলাকায় পোশাক শ্রমিকদের মাঝে এবং ৭ জানুয়ারি মহাখালীতে শীতবস্ত্র বিতরণে অংশ নেবেন ওবায়দুল কাদের। সভায় সাবেক সংসদ সদস্য ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পির মৃত্যুতে শোক ও তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল, আফজাল হোসেন, এস এম কামাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য এবিএম রিয়াজুল কবির কাওছার, আমিরুল আলম মিলন, পারভীন জামান কল্পনা, শাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
×