ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দ্বিতীয় দিনে বাণিজ্যমেলায় দর্শনার্থী নেই

প্রকাশিত: ০৯:১৫, ৩ জানুয়ারি ২০২০

দ্বিতীয় দিনে বাণিজ্যমেলায় দর্শনার্থী নেই

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ক্রেতা-দর্শনার্থীর খরা দেখা দিয়েছে ২৫তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় (ডিআইটিএফ)। মেলার দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার নির্ধারিত সময় সকাল ১০টায় মেলার গেট খোলা হয়। তবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রায় ফাঁকা দেখা যায় মেলা প্রাঙ্গণ। মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, মেলার মধ্যে হাতেগোনা দুই-একজন ঘোরাঘুরি করছেন। মেলা প্রাঙ্গণের কোথাও একসঙ্গে দশজনের আনাগোনা চোখে পড়েনি। এমনকি মেলার গেট দিয়েও দর্শনার্থীদের প্রবেশের চাপ দেখা যায়নি। আগের প্রথা অনুযায়ী এবারও রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা বছরের প্রথম দিন শুরু হয়েছে। বুধবার শুরু হওয়া এ মেলায় দর্শনার্থীদের প্রবেশ মূল্য কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। মেলায় প্রবেশের জন্য প্রাপ্ত বয়স্কদের টিকেটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ টাকা, যা গত বছর ছিল ৩০ টাকা। তবে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের টিকেটের মূল্য আগের মতো ২০ টাকায় রাখা হয়েছে। এবারের মেলায় প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন রাখা হয়েছে ৬৪টি। এ ছাড়া সাধারণ প্যাভিলিয়ন ১৩টি, সাধারণ মিনি প্যাভিলিয়ন ৫৯টি, প্রিমিয়াম মিনি প্যাভিলিয়ন ৪২টি রাখা হয়েছে। মেলা প্রাঙ্গণে রেস্তরাঁ ২টি, স্ন্যাকস বুথ ৭টি, প্রিমিয়ার স্টল ৮৪টি, সংরক্ষিত প্যাভিলিয়ন ৬টি, সংরক্ষিত মিনি প্যাভিলিয়ন ৮টি, সাধারণ স্টল ১০৭টি, ফুড স্টল ৩৫টি রয়েছে। বিদেশী প্যাভিলিয়ন রয়েছে ২৭টি, বিদেশী মিনি প্যাভিলিয়ন ১১টি ও বিদেশী প্রিমিয়াম স্টল ১৭টি। বাংলাদেশের পাশাপাশি মেলায় থাইল্যান্ড, ইরান, তুরস্ক, নেপাল, চীন, মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, পাকিস্তান, হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, ভুটান, বুনাই, দুবাই, ইতালি ও তাইওয়ানের প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। এবারের মেলায় ক্রেতারা যেসব পণ্য কিনতে পারবেন তার মধ্যে অন্যতম দেশীয় বস্ত্র, মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিক্স এ্যান্ড বিউটি এইডস, ইলেকট্রিক্যাল এ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স, পাট ও পাটজাত পণ্যসামগ্রী, চামড়া/ আর্টিফিসিয়াল চামড়া ও জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, স্পোর্টস গুডস, স্যানিটারিওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিকসামগ্রী, মেলামাইন সামগ্রী, হারবাল ও টয়লেট্রিজ, ঘড়ি, হোম এ্যাপ্লায়েন্স, ইমিটেশন জুয়েলারি, সিরামিকস, টেবলওয়্যার, ক্যাবল, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ফাস্টফুড, আসবাবপত্র ও হস্তশিল্পজাত পণ্য, উপহারসামগ্রী, কনস্ট্রাকশনসামগ্রী, হোম ডেকর, বেকারি পণ্য, বিদেশী বস্ত্র ইত্যাদি। মেলায় ঘুরতে আসা শিক্ষার্থী রাইদা আফরিন বলছিল, অষ্টম শ্রেণী থেকে এবার আমি নবম শ্রেণীতে উঠেছি। এখনও ক্লাস শুরু হয়নি। পড়ার চাপ নেই। তাই বাসায় বলে আমরা তিনজন মেলায় ঘুরতে এসেছি। মেলার গেটে দায়িত্ব পালন করা আরিফুল নামের একজন বলেন, মেলার প্রথম দিক বলে দর্শনার্থীরা তেমন আসছেন না। তাছাড়া মেলার অনেক স্টল এখনও প্রস্তুত হয়নি। বিকেলে হয় তো কিছু দর্শনার্থী আসবে। তবে মেলা মূলত জমে উঠবে এক সপ্তাহ পার হওয়ার পর।
×