অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ নতুন বছরের শুরুতেই আমদানি শুল্ক কমাচ্ছে চীন। ২০২০ সালে ৮৫৯টি পণ্যের আমদানি শুল্ক কমানোর পরিকল্পনা করেছে দেশটির কাস্টমস ট্যারিফ কমিশন। এছাড়া ২৩টি দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির পরিকল্পনাও রয়েছে চীন সরকারের। বিশ্লেষকরা বলছেন, শুল্ক সমন্বয়ের কারণে আমদানি প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি বেল্ট এ্যান্ড রোড উদ্যোগ বাস্তবায়নও ত্বরান্বিত হবে। নির্দিষ্ট কিছু পণ্যে আমদানি শুল্ক কমাচ্ছে চীন। দেশটির কাস্টমস ট্যারিফ কমিশন জানায়, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এ পরিকল্পনা করা হয়েছে। এতে অনুমোদন দিয়েছে স্টেট কাউন্সিলও। ফলে শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে পয়লা জানুয়ারি থেকেই। একাডেমি অব স্যোসাইল সাইয়েন্সের ইনস্টিটিউট অব ওয়ার্ল্ড ইকোনমিকস এ্যান্ড পলিটিক্স গবেষক গও লিংগিউন বলেন, নতুন সিদ্ধান্তে চিকিৎসা ও ওষুধ শিল্পের কাঁচামালসহ বেশকিছু পণ্যে আমদানি শুল্ক শূন্যের কোঠায় নামিয়েছে সরকার। ২০১৯ সালে ৭০৬টি পণ্যের আমদানি-রফতানি শুল্ক সমন্বয় করা হয়েছে। ২০২০ সালে ৮৫৯টি পণ্যের শুল্ক সমন্বয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। অধিকাংশ পণ্যে আমদানি শুল্ক কমানো হবে। নতুন সিদ্ধান্তে ওষুধের কাঁচামাল ও চিকিৎসা সংক্রান্ত বেশকিছু পণ্যে আমদানি শুল্ক শূন্যে নামিয়েছে চীন সরকার। ট্যারিফ কমিশন জানায়, চিকিৎসা খাতে ব্যাপক পরিবর্তন আনবে এই শুল্ক সংস্কার পরিকল্পনা।
সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব ফাইন্যান্স এ্যান্ড ইকোনমিকসের স্কুল অব ট্যাক্সেশনের অধ্যাপক ফ্যান ইয়ং বলেন, চীনের প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে দারুণ ভূমিকা রাখবে শুল্ক কমানোর এ পরিকল্পনা। সার্বিক অর্থনীতিকেও বেশ এগিয়ে নেবে এ সিদ্ধান্ত।
ডায়াবেটিস ও এজমার মতো রোগের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ওষুধ ও কাঁচামালের আমদানি শুল্ক কমানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। ফলে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, শুল্ক সমন্বয়ের কারণে আমদানি প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি অন্যান্য দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কেরও উন্নতি হবে। একইসঙ্গে বেল্ট এ্যান্ড রোড উদ্যোগ বাস্তবায়ন আরও ত্বরান্বিত হবে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: