ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

২০১৯ বাংলাদেশের ক্রিকেট

শিরোপা-স্বর্ণ জয়ের সঙ্গে আছে ব্যর্থতাও

প্রকাশিত: ১১:৪৭, ২ জানুয়ারি ২০২০

শিরোপা-স্বর্ণ জয়ের সঙ্গে আছে ব্যর্থতাও

মিথুন আশরাফ ॥ দেখতে দেখতে আরেকটি বছর চলে গেল। নতুন বছর, ২০২০ সাল শুরু হল। শেষ হলো ২০১৯ সাল। তবে পুরনো বছরটি কেমন কাটল বাংলাদেশ ক্রিকেটের। সেটি নিয়েই সবার ভাবনা। ক্রিকেটারদের আন্দোলন, ধর্মঘট জেঁকে ধরেছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটে। তা শেষ হতেই সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞায় টালমাটাল হয় বাংলাদেশের ক্রিকেট। তবে বছরজুড়ে জাতীয় দলের শিরোপা জয় আর দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে (এসএ গেমস) অনুর্ধ-২৩ পুরুষ ও নারী দলের সোনা জেতার উজ্জ্বলতাও ধরা দিয়েছে। যুব ক্রিকেটাররাও দলীয় এবং ব্যক্তিগত সাফল্যে উজ্জ্বল ছিল। প্রথমবারের মতো টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ এবং দিবারাত্রির ম্যাচও খেলা হয়। প্রথমবারের মতো জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নামে বিপিএলও হচ্ছে। সঙ্গে দলের ব্যর্থতাও পিছু ছাড়েনি। সন্ত্রাসী হামলার কবলেও পড়েছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা। বছরটিতে বাংলাদেশ দলের ঘটনাগুলো একেক করে উল্লেখ করা হলো। ক্রিকেটারদের আন্দোলন, ধর্মঘট ॥ আগাম কোন বার্তা নেই। হঠাৎ করেই আন্দোলন, ধর্মঘটের ডাক দিয়ে বসলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা। নেতৃত্ব দিলেন সাকিব। ১৩ দফা দাবিতে ক্রিকেটাররা আন্দোলন শুরু করে দিলেন। শুরুতে ১১ দফা দাবি তুলে আন্দোলন করলেন। পরে আরও ২ দফা দাবি বাড়িয়ে ১৩ দফা দাবি দিলেন। জাতীয় ক্রিকেট দলের ভারত সফরের ঠিক আগমুহূর্তে মিরপুরে জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি মাঠে প্রায় ৬০ জন ক্রিকেটারকে সঙ্গে নিয়ে পারিশ্রমিকসহ মোট ১১টি দাবি তুলে ধর্মঘটের ঘোষণা দেন জাতীয় দলের টেস্ট ও টি২০ অধিনায়ক সাকিব। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সবধরনের ক্রিকেট বর্জন করার ঘোষণাও দেন ক্রিকেটাররা। দুইদিন পর আন্দোলন, ধর্মঘট থামে। তবে অনেক নাটকীয়তার পর। শুরুতে বিসিবি সভাপতি ও ক্রিকেটাররা আলাদাভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এরপর রাতে বিসিবিতে ক্রিকেটাররা হাজির হয়ে বিসিবি সভাপতিসহ উর্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘ দুই ঘণ্টার আলোচনায় বসেন। আলোচনা শেষে ক্রিকেটারদের সব দাবি মেনে নেয় বিসিবি। ফলপ্রসু আলোচনা হয়। ক্রিকেটাররাও আন্দোলনের সমাপ্তি ঘটান। প্রথমবারের মতো শিরোপা জয় ॥ ক্রিকেটারদের আন্দোলন আর সাকিবের নিষেধাজ্ঞা ধাক্কা হয়ে আসার আগেই অবশ্য বাংলাদেশ দল ইতিহাস গড়ে। প্রথমবারের মতো দ্বিপক্ষীয় সিরিজের বাইরে শিরোপা জিতে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ যায় আয়ারল্যান্ড সফরে। সেখানে আয়ারল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ত্রিদেশীয় সিরিজে অংশ নেয়। এই সিরিজের শিরোপা জিতে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এর আগে কোন দ্বিপক্ষীয় সিরিজের বাইরে শিরোপা ছিল না। প্রথমবারের মতো ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে শিরোপা জয় করে বাংলাদেশ। এর আগে ওয়ানডে কিংবা টি২০ মিলিয়ে মোট ছয়বার ফাইনাল খেলেও শিরোপা জিততে পারেনি বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ আসে। আর তাই ২০১৯ সালের ১৭ মে দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণীয় দিনই হয়ে থাকে। এসএ গেমস শতভাগ সাফল্য ॥ বছরটিতে, ২০১৯ সালটিতে জাতীয় ক্রিকেট দল একটি শিরোপা জয় করা ছাড়া ব্যর্থতাতেই আটকে ছিল। তবে জাতীয় দলের বাইরে নেপালে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে (এসএ গেমস) শতভাগ সাফল্য পায় বাংলাদেশের ক্রিকেট। প্রথমবার নারী ক্রিকেট যুক্ত হয় এসএ গেমসে। প্রথমবার সালমা খাতুনের দল বাজিমাত করে। সোনা জিতে। টি২০ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বছর শেষে এসএ গেমসে সোনা জিতে নারী ক্রিকেটাররা। আবার পুরুষ ক্রিকেটাররাও সোনা জয় করে। প্রথমবার ২০১০ সালে ক্রিকেট ছিল। সেটিতেও সোনা জেতে বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা। এবার দ্বিতীয়বারেও সোনা বাংলাদেশের দখলেই থাকে। বছরের শেষে বাংলাদেশ ক্রিকেটে দুটি সোনা মিলে। তাতে বছর রাঙ্গিয়ে তোলেন ক্রিকেটাররা। ব্যর্থতা আর চাকরিচ্যুতি ॥ এ বছরটিতে টেস্ট, ওয়ানডে, টি২০ মিলিয়ে ৩০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। হিসেব করলে ব্যর্থতাই সঙ্গী হয়েছে। ৫ টেস্টের সবকটিতে হেরেছে। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বছরের শুরুতে দুটি ও শেষে ভারতের বিরুদ্ধে দুটি টেস্ট খেলে। শুধুই হার হয়। কিন্তু ব্যর্থতা সবচেয়ে বেশি ঘিরে ধরে যখন আফগানিস্তানের কাছেও সেপ্টেম্বরে একমাত্র টেস্টটিতে হারে বাংলাদেশ। টেস্টে শতভাগ ব্যর্থতা মিলে। ওয়ানডেতে এক আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় শিরোপা জয় ছাড়া ব্যর্থতাই যুক্ত হয়। ১৮টি ওয়ানডে খেলে ৭টি ওয়ানডে জিতে বাংলাদেশ। বছরটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ থাকে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ভরাডুবি হয়। প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে অসাধারণ সূচনা হলেও সেমিফাইনালে ওঠার যে স্বপ্ন তা তো পূরণ হয়নি, সঙ্গে ১০ দলের মধ্যে অষ্টম হয়েছে। টি২০তে সাতটি ম্যাচ খেলে চারটিতে জয় মিলেছে। ভাল ফল। ভারতের বিরুদ্ধে জয়টি তো দুর্দান্ত। কিন্তু আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে হারটি নজরে থেকেছে সবার। ত্রিদেশীয় টি২০ সিরিজের ফাইনাল ম্যাচটি বৃষ্টিতে হয়নি। তাই আফগানিস্তানের সঙ্গে যৌথ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের যে ব্যর্থতা মিলেছে তা বিশ্বকাপ শেষেই বোঝা গেছে। দলের কোচিং স্টাফ পুরোই বদলানো হয়েছে। প্রধান কোচ স্টিভ রোডসকে বাদ দেয়া হয়েছে। পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ, স্পিন বোলিং কোচ সুনীল জোশি, ফিজিও চন্দ্রমোহনের সঙ্গে নতুন চুক্তিতে যায়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কোচিং স্টাফের চাকরিচ্যুতিই বোঝা যাচ্ছে, বিশ্বকাপেও খারাপ হয়েছে। বিশ্বকাপের পর শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়ে তিনটি ওয়ানডেতেই হেরে নাকাল হয়েছে বাংলাদেশ দল। বিশ্বকাপের ব্যর্থতার ধাক্কা শ্রীলঙ্কা সফরেও বজায় থাকে। এরপর আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্টেও হারে বাংলাদেশ। ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট হার দিয়ে বছর শেষ হয়। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ যাত্রা ॥ আইসিসি’র বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ যুগে ২০১৯ সালের ১৪ নবেম্বর প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছে ভারতের বিরুদ্ধে ইন্দোরে সিরিজের প্রথম টেস্ট দিয়ে। আইসিসি’র নিষেধাজ্ঞায় সাকিব নির্বাসিত হওয়ায় টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শুরুতেই থাকতে পারেননি। ম্যাচ উইনারকে রেখেই প্রথম টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে হয়েছে বাংলাদেশকে। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ শেষ হয় আবার হতাশায়। ব্যাটে-বলে ভারতের সঙ্গে ন্যূনতম লড়াই করতে না পারায় মাত্র তিনদিনেই প্রথম ম্যাচটি ইনিংস ও ১৩০ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ। প্রথম দিবারাত্রির টেস্ট ॥ প্রথমবার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ খেলার সঙ্গে ভারত সফরেই দ্বিতীয় টেস্টে প্রথমবারের মতো দিবারাত্রির টেস্টেও খেলে বাংলাদেশ। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে টেস্ট ইতিহাসে ১২তম দিবারাত্রির টেস্ট খেলে বাংলাদেশ ও ভারত। প্রথমবারের মতো দুই দলই গোলাপি বলে দিবারাত্রির টেস্ট খেলতে নামে। এরআগে দিবারাত্রির টেস্ট খেলে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুইয়ে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশও এই তালিকায় যোগ হয়। ইডেন গার্ডেন্সে দিবারাত্রির টেস্ট ম্যাচটি ছিল আরও বেদনার। ঐতিহাসিক গোলাপি টেস্টে দুইদিন আর ৪৭ মিনিট উইকেটে টিকতে পেরেছিল বাংলাদেশ। সাকিব নিষেধাজ্ঞায় থাকায় মুমিনুল হক নেতৃত্ব দেন। ভরাডুবি হয়। ইনিংস ও ৪৬ রানে হারে বাংলাদেশ। তবে এই ম্যাচটির জন্য বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তিনি উপস্থিতও থাকেন। রীতি অনুযায়ী ইডেন গার্ডেন্সের ঘণ্টা বাজিয়ে প্রথমবারের মতো উপমহাদেশে হওয়া দিবারাত্রির টেস্টের উদ্বোধনও ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সন্ত্রাসী হামলা ॥ বছরের শেষটা যেমনই হোক, শুরুটায় কিন্তু কঠিন পরিস্থিতিতে পড়ে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা। নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার কবলে পড়েন। ভাগ্য ভাল। আরেকটু দেরি হলে হয়তো মৃত্যুও আসতে পারত। নিউজিল্যান্ড সফরে ফেব্রুয়ারি-মার্চে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দুটি ম্যাচ খেলার পর ক্রাইস্টচার্চে তৃতীয় টেস্ট খেলতে নামার আগেই সন্ত্রাসী হামলার কবলে পড়েন বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা। নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে তৃতীয় টেস্ট শুরুর আগেরদিন হ্যাগলি ওভাল মাঠের খুব কাছে আল নূর মসজিদে হামলা হয়েছে, সেখানে জুমার নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন তারা। মসজিদে ঢোকার আগমুহূর্তে হামলার খবর পেয়ে জীবন রক্ষা করেন তামিম, মিরাজ, তাইজুলরা। সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার তৃতীয় টেস্ট বাতিল ঘোষণা করা হয়। ক্রিকেটাররা দেশেও ফিরে আসেন। এ ঘটনা ক্রিকেটারদের মনে দাগ কাটে। অনেকে রাতে ঘুমাতে গেলেই এ ঘটনা কল্পনা-স্বপ্নে দেখে উঠে যান। কয়েকদিন খুব খারাপ অবস্থায় কাটে ক্রিকেটারদের। দ্যুতি ছড়িয়েছে যুবরা ॥ বছরজুড়ে বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৯ ক্রিকেটাররা দারুণ করেছে। আনঅফিসিয়াল চারটি টেস্ট খেলে দুটিতে জিতেছে। দুটিতে ড্র করেছে। ২২টি আনঅফিসিয়াল ওয়ানডে খেলে ১৬টি ম্যাচই জিতেছে। ইংল্যান্ড অনুর্ধ-১৯ দলের বিরুদ্ধে টানা চার ম্যাচ জিতে বছর শুরু হয়েছে। এরপর নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কাকে সিরিজে হারিয়েছে। বছরটি শেষই করেছে শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশ করে। টি২০তে শতভাগ সাফল্যও আছে। দলীয় নৈপুণ্যের বাইরে ব্যক্তিগত নৈপুণ্যেও দ্যুতি ছড়িয়েছে যুব ক্রিকেটাররা। ব্যাটিংয়ে যুবাদের টেস্টে শাহাদাত হোসেন দিপু (৪২.৬০ গড়ে ২৩২ রান) দ্বিতীয় স্থানে আছে। সেরা দশে মাহমুদুল হাসান জয়ও (ষষ্ঠ-১৮৮ রান) জায়গা করে নিয়েছে। যুব ওয়ানডেতে তৌহিদ হৃদয় তো কাঁপিয়ে দিয়েছে। ৭৭.০০ গড়ে ১০০১ রান করে, বছরে একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে এক হাজার রান করে, সবচেয়ে বেশি চারটি সেঞ্চুরি করে দ্যুতি ছড়িয়েছে। ব্যাটসম্যানদের মধ্যে শীর্ষেও আছে। শুধু তৌহিদই নয়, সেরা দশে মাহমুদুল হাসান জয় (দ্বিতীয়, ৯১৫ রান), তানজিদ হাসান (চতুর্থ, ৭৩১ রান), আকবর আলী (নবম, ৫১৭ রান) আছে। যুব টি২০তে একটি মাত্র ম্যাচ খেলে মাহমুদুল হাসান জয় ৪৪ রান করে সবার ওপরে আছে। বোলিংয়েও বছরটিতে টেস্টে বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৯ দলের বামহাতি স্পিনার মিনহাজুর রহমান ১৬ উইকেট নিয়ে শীর্ষে আছে। আসাদুল্লাহ গালিবও ১১ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। সেরা দশে শাহিন আলমও (নবম, ৭ উইকেট) আছে। ওয়ানডেতেও বাংলাদেশ যুবারাই বাজিমাত করেছে। তানজিম হাসান সাকিব ২৮ উইকেট নিয়ে সেরা হয়েছে। ওয়ানডেতে আসলে সেরা দশে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী (তৃতীয়, ২৪ উইকেট), রকিবুল হাসান (পঞ্চম, ২৩ উইকেট), শরিফুল ইসলাম (ষষ্ঠ, ২২ উইকেট), শামিম হোসেন (সপ্তম, ২০ উইকেট) আছে। টি২০তে তানজিম হাসান সাকিব ৪ উইকেট নিয়েই শীর্ষস্থানে আছে।
×