ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ক্রিকইনফোর দশক সেরা একাদশে সাকিব

প্রকাশিত: ১১:৪৭, ২ জানুয়ারি ২০২০

ক্রিকইনফোর দশক সেরা একাদশে সাকিব

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ক্রিকইনফোর দশক সেরা একাদশে আছেন বাংলাদেশ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পেয়েও আইসিসি’র এ্যান্টি করাপশন ইউনিটকে না জানানোয় শাস্তিস্বরূপ এক বছর নিষিদ্ধ আছেন এ অলরাউন্ডার। তবে ক্রিকইনফোর দশক সেরা ওয়ানডে একাদশে সাকিবকে ঠিকই রাখা হয়েছে। ঘটেছে নতুন দশকের আগমন। পেছনে ফেলে আসা হয়েছে ২০১০’র দশক। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এ দশ বছরে হয়েছে ৩টি ওয়ানডে বিশ্বকাপ। যেখানে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতেছে ইংল্যান্ড। এর আগে ভারতের হাত ঘুরে শিরোপা পুনরুদ্ধার করেছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে এই দশকে বাংলাদেশও ওয়ানডে ক্রিকেটে ব্যাপক উন্নতি করেছে। সেই সঙ্গে টেস্ট ও টি২০ ফরমেটেও উত্তেজনাপূর্ণ সব ম্যাচে ঠাসা ছিল পুরো দশকটাই। দ্বিতীয়বার বিশ্ব টি২০’র চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শিরোপা জিতেছে ইংল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কাও। টেস্ট ক্রিকেটে যেন নবজাগরণই ঘটেছে ভারতীয় ক্রিকেট দলের। এসব স্মরণীয় সব মুহূর্ত ও ম্যাচের কারিগর যারা, সেসব ক্রিকেটারকে নিয়েই চলছে দশকসেরা একাদশ গঠন। জনপ্রিয় ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোর দশক সেরা একাদশ ঘোষণা করেছে। তাতে আছে বাংলাদেশ থেকে শুধু সাকিবের নাম। গত ১০ বছরের ব্যক্তিগত পারফর্মেন্সের ভিত্তিতে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি২০ ফরমেটের দশক সেরা একাদশ নির্বাচন করেছে ক্রিকইনফো। যেখানে শুধু ওয়ানডেতেই আছেন বাংলাদেশের সাকিব। বাকি দুই ফরমেটে সাকিব ছাড়াও নেই অন্য কোন বাংলাদেশী ক্রিকেটারের নাম। ক্রিকইনফোর করা তিন ফরমেটের দশক সেরা একাদশেই জায়গা করে নিয়েছেন ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও দক্ষিণ আফ্রিকার মি.৩৬০ ডিগ্রীখ্যাত এবি ডি ভিলিয়ার্স। এছাড়া নারী ক্রিকেটেরও দশক সেরা একাদশ প্রকাশ করেছে ক্রিকইনফো। এরআগে ক্রিকেটের বাইবেল খ্যাত উইজডেনের দশক সেরা একাদশেও ছিলেন সাকিব। উইজডেনের এই একাদশে একমাত্র বিশেষজ্ঞ স্পিনার হিসেবে জায়গা পেয়েছেন তিনি। উইজডেন তাদের একাদশের বিবৃতিতে সাকিবের ব্যাপারে উল্লেখ করেছে, সর্বশেষ দশকে স্পিন বোলিংয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন সাকিব। এছাড়া টাইগার অলরাউন্ডারকে দলের সব সমস্যার সমাধানদাতা হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, শুরুর ২০ রানে উইকেট পড়লে বিরাটের মতো কার্যকরী সাকিব। অন্যদিকে দলের স্পিন বিভাগেরও সমাধান তিনি। শুধু উইজডেন নয়, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার দশক সেরা ওয়ানডে দলেও ঠাঁই মিলেছে সাকিবের। ২০১০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত পারফর্মেন্সের ভিত্তিতে এই একাদশটি বাছাই করেছে তারা। একমাত্র অলরাউন্ডার হিসেবে রাখা হয়েছে বাঁহাতি সাকিবকে। সাকিবকে রাখা হয়েছে ব্যাটিং লাইনআপের পাঁচ নম্বরে। তাকে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাখ্যায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া বলেছে, এই দশকে ওয়ানডেতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকার করেছেন সাকিব। তিনি সর্বোচ্চমানের একজন নিখাঁদ অলরাউন্ডার। সেরা একাদশের অন্য ব্যাটসম্যানদের মতো খুব আগ্রাসী না হলেও তিনি একজন ধারাবাহিক পারফর্মার। বাঁহাতি স্পিনেও তিনি দুর্দান্ত। তাকে এড়িয়ে যাওয়া কঠিন। গেল দশ বছরে সাকিব খেলেছেন ১৩১ ওয়ানডে। ৩৮.৮৭ গড়ে তার রান ৪ হাজার ২৭৬। স্ট্রাইক রেট ৮৬.০৭। সর্বোচ্চ ইনিংসটি অপরাজিত ১২৪ রানের। সেঞ্চুরি করেছেন পাঁচটি, হাফ সেঞ্চুরি ৩৫টি। ৩০.১৫ গড়ে সাকিব উইকেট পেয়েছেন ১৭৭টি। ইকোনমি মাত্র ৪.৭২। পাঁচ উইকেট নিয়েছেন দু’বার। তার সেরা বোলিং নৈপুণ্য ২৯ রানে ৫ উইকেট নেয়া। ওয়ানডে একাদশ ॥ হাশিম আমলা (দক্ষিণ আফ্রিকা)-৭২৬৫ রান, রোহিত শর্মা (ভারত)-৭৯৯১ রান, বিরাট কোহলি (ভারত)-১১০৩৬ রান, এবি ডি ভিলিয়ার্স (দক্ষিণ আফ্রিকা)-৬৪৮৫ রান, রস টেলর (নিউজিল্যান্ড)-৬৪২৮ রান, মহেন্দ্র সিং ধোনি (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক, ভারত)-৫৬৪০ রান, ১৭০ ক্যাচ ও ৭২ স্টাম্পিং, সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ)-৪২৭৬ রান ও ১৭৭ উইকেট, ট্রেন্ট বোল্ট (নিউজিল্যান্ড)-১৬৪ উইকেট, মিচেল স্টার্ক (অস্ট্রেলিয়া)-১৭২ উইকেট, লাসিথ মালিঙ্গা (শ্রীলঙ্কা)-২৪৮ উইকেট, ইমরান তাহির (দক্ষিণ আফ্রিকা)-১৭৩ উইকেট।
×