ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পতনে ডিএসইর চায়না সূচকের যাত্রা শুরু

প্রকাশিত: ১১:২৭, ২ জানুয়ারি ২০২০

পতনে ডিএসইর চায়না সূচকের যাত্রা শুরু

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পতনের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) নতুন সূচক সিডিসেট। কৌশলগত বিনিয়োগকারী চায়নাদের আবিষ্কার এ সূচকটি বুধবার ডিএসইর ওয়েবসাইটে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। এদিন ডিএসইর চায়না সূচকটি ৮৯৯.৭৬ পয়েন্ট নিয়ে যাত্রা শুরু করে। যা লেনদেনের প্রথমদিকে ইতিবাচক ছিল। তবে দিন শেষে কমে দাঁড়িয়েছে ৮৯৫.১৫ পয়েন্টে। অর্থাৎ প্রথম দিন সূচকটি কমেছে ৪.৬১ পয়েন্ট। এর আগে বৃহৎ বাজার মূলধনের কোম্পানিগুলোকে নিয়ে গঠিত সিডিসেট সূচকটি গত ৩০ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। আগে সূচকটি পরীক্ষামূলকভাবে ২৬ ডিসেম্বর চালু করা হয়। এই সার্বিক শেয়ারবাজার দিনটিতে ভাল থাকলেও বড় মূলধনী গ্রামীণ ফোন, ব্র্যাক ব্যাংক, বেক্সিমকো ফার্মার মতো শেয়ারের দরপতনের কারণেই সূচকটির পতন ঘটেছে। ডিএসইর শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে সূচকটি উদ্বোধন করেন স্টক এক্সচেঞ্জটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল হাশেম। এ সময় কৌশলগত বিনিয়োগকারীর মনোনীত পরিচালক শিয়ে ওয়েনহাই এবং শেনঝেন সিকিউরিটিজ ইনফরমেশন কোম্পানির জেনারেল ভাইস ম্যানেজার শিং জিং পিং উপস্থিত ছিলেন। এই সূচকটিতে কোম্পানি অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে বাজার মূলধন (শীর্ষ স্থানীয়), মৌলভিত্তি (মুনাফা) ও তারল্য ( লেনদেন, ট্রেডিং ডে) ইত্যাদি বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। সূচকটিতে বর্তমানে ৪০টি কোম্পানি রয়েছে। সূচকটির ভিত্তি তারিখ ধরা হয়েছে ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর। সূচকটি অর্ধবার্ষিকী অর্থাৎ প্রতি ৬ মাস পরপর পুনর্মূল্যায়ন করা হবে। ডিএসইর কৌশলগত বিনিয়োগকারী শেনঝেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের সমন্বয়ে চীনের কনসোর্টিয়ামের ব্যবসায়িক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার অংশ হিসেবে বৃহৎ, মধ্যম ও স্বল্প মূলধনী কোম্পানির সমন্বয়ে নতুন এই সূচক চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়। শেনঝেন স্টক এক্সচেঞ্জের সাবসিডিয়ারি কোম্পানি শেনঝেন সিকিউরিটিজ ইনফরমেশন কোম্পানি লিঃ ও ডিএসই যৌথভাবে এই সূচকটির ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্টের কাজ করেছে। এই সূচকের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা বৃহৎ, মধ্যম ও স্বল্প মূলধনী কোম্পানিগুলোর মূল্যেও হ্রাস বৃদ্ধি এক নজরে বুঝতে পারেন। এছাড়া ডিএসইর সূচকের বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ডিং হবে এবং বিদেশী বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে আরও বেশি আগ্রহী হবে বলে আশা করছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ।
×