ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব শুরু হচ্ছে কাল

প্রকাশিত: ১১:০২, ২ জানুয়ারি ২০২০

বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব শুরু হচ্ছে কাল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শিল্প-সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক দেশ গঠনের লক্ষ্যে আগামীকাল শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে ‘বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব-২০২০’। দেশের ৬৪টি জেলা-উপজেলা ও জাতীয় পর্যায়ের পাঁচ হাজারের অধিক শিল্পী এবং শতাধিক সংগঠনের অংশগ্রহণে এদিন থেকে সর-গরম হয়ে উঠবে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির নন্দন মঞ্চ। দ্বিতীয়বারের মতো এ উৎসবের আয়োজন করেছে শিল্পকলা একাডেমি। একুশ দিনব্যাপী এ উৎসবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সঙ্গে থাকবে ঐতিহ্যবাহী লোকজ খেলা, লোকনাট্য ও নান্দনিক পরিবেশনা। বিকেল ৪টায় উৎসবের উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি সচিব ড. মোঃ আবু হেনা মোস্তফা কামাল। সভাপতিত্ব করবেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী এবং স্বাগত বক্তব্য রাখবেন একাডেমির সচিব মোঃ বদরুল আনম ভূঁইয়া। উৎসব উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন হয় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে বুধবার বিকেলে। এতে উপস্থিত থেকে উৎসবের বিস্তারিত তুলে ধরেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। তিনি বলেন, শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে দ্বিতীয়বারের মতো এ উৎসব হতে যাচ্ছে। প্রথমবারের তুলনায় এ আয়োজনের কলেবর আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে। আশা করছি সবার অংশগ্রহণে সর্ববৃহৎ একটি সাংস্কৃতিক উৎসব হবে। যাতে অংশগ্রহণ করবেন দেশের জাতীয় পর্যায়সহ এ প্রজন্মের বহু শিল্পী। সবাইকে নিয়ে একটি প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক জাগরণ তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য। অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় আমরা শিল্পের ঐতিহ্য নিয়ে পৌঁছিয়ে যেতে চাই। তিনি বলেন, বাংলাদেশ হাজার বছরের বর্ণিল ও বিচিত্র সংস্কৃতির অপরূপ লীলাভূমি। সেই ঐতিহ্যকে অবলম্বন করে আজও নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে দেশব্যাপী পরিচালিত হচ্ছে আমাদের সাংস্কৃতিক কর্মযজ্ঞ। লোকজ সংস্কৃতি আমাদের অন্যতম শক্তি যা বিশ্বব্যাপী আমাদের স্বাতন্ত্র্যকে জানান দেয়। বাঙালী সংস্কৃতির রূপ, নির্মিত ও পরিবেশনা কৌশল আসলে মিশ্র প্রকৃতির। বিভিন্ন সময়ে পরিচালিত বিভিন্ন শাসনব্যবস্থা, ভাষা ও প্রকরণের সমন্বয় ঘটে আমাদের সংস্কৃতি আজকের জায়গায় পৌঁছেছে। জাতীয় সংস্কৃতি ও কৃষ্টির উন্নয়ন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও প্রসারের মাধ্যমে শিল্পকলা একাডেমি বহুমুখী সাংস্কৃতিক কর্মকা- বাস্তবায়ন করে চলেছে। তারই ধারাবাহিকতায় এ উৎসবের আয়োজন। উৎসবে প্রতিদিন ৩টি জেলা, ৩টি উপজেলা, জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী ও সংগঠনের পরিবেশনা থাকবে। এছাড়াও একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে একটি লোকনাট্য পরিবেশিত হবে। লোকনাট্য উপভোগ করতে টিকিটি বুকিংয়ের জন্য ভিজিট করতে হবে ভধপবনড়ড়শ. পড়স/ংযরষঢ়ধশধষধচধমব. উদ্বোধনী পর্বের পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবে ময়মনসিংহ ও গোপালগঞ্জের শিল্পীরা। এদিন যাত্রাপালা পরিবেশন করবে ঝিনাইদহের যাত্রাদল। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, একুশ দিনব্যাপী এ উৎসবে থাকবে সমবেত সঙ্গীত, যন্ত্রসঙ্গীত, ঐতিহ্যবাহী লোকজ খেলা, পালা, একক সঙ্গীত, বাউল সঙ্গীত, ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য, যাত্রাপালা, সমবেত নৃত্য, এ্যাক্রোবেটিক, শিশুদের পরিবেশনা, পতুল নাট্য, একক আবৃত্তি, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সঙ্গীত ও নৃত্য, নাটকের কোরিগ্রাফি, বৃন্দ আবৃত্তি, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের পরিবেশনা, আঞ্চলিক ও জেলা ব্রান্ডিং বিষয়ক সঙ্গীত ও নৃত্য এবং জেলার ঐতিহ্যবাহী ভিডিও চিত্র প্রদর্শনী। সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন একাডেমির সচিব মোঃ বদরুল আনম ভূঁইয়া।
×