ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মালান ও ওয়াহাব দেশে ফিরে গেলেন

প্রকাশিত: ১১:৫১, ১ জানুয়ারি ২০২০

মালান ও ওয়াহাব দেশে ফিরে গেলেন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সোমবার রাতে রাজশাহী রয়্যালসকে বিপর্যস্ত করেছেন ঢাকা প্লাটুনের পাকিস্তানী পেসার ওয়াহাব রিয়াজ। ক্যারিয়ারসেরা টি২০ বোলিং করে নিয়েছিলেন ৮ রানে ৫ উইকেট। চলতি আসরে প্রথমবার ম্যাচসেরার পুরস্কারটা নিয়েই মঙ্গলবার সকালে দেশে ফিরে গেছেন তিনি। পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই চলমান বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) শেষ পর্যায়ে চলে গেছেন ওয়াহাব। সিলেট পর্বে তাকে দেখা যাবে না, তবে ঢাকা প্লাটুন প্লে-অফে উঠলে আবার ফিরবেন দলে। অপরদিকে ম্যাচসেরার পুরস্কারটা না নিয়েই দেশের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের অধিনায়কত্ব করা ইংলিশ তারকা ডেভিড মালান। ৫১ বলে ৭৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে মঙ্গলবার তিনি দলকে জিতিয়েছেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে। তবে স্ত্রীর অসুস্থতার জন্য ম্যাচ শেষেই দেশে ফেরার ফ্লাইট ধরতে বিমানবন্দরে যান মালান। তিনি আবার চলতি আসরে ফিরতে পারবেন কিনা তা নিশ্চিত হয়নি এখনও। বঙ্গবন্ধু বিপিএলের শুরু থেকেই কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের জার্সিতে খেলেছেন মালান। বিধ্বংসী এই ব্যাটসম্যানের দুর্দান্ত কেটেছে এবারের আসরটি। ৮ ম্যাচে তিনি একটি সেঞ্চুরি ও ২টি অর্ধশতকে ৬২.৮৩ গড়ে সর্বাধিক ৩৭৭ রান করেছেন। সর্বোচ্চ এই রান সংগ্রাহক এবারের আসরে সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার অন্যতম দাবিদার হয়ে উঠেছিলেন। গত দুই ম্যাচে দলকে নেতৃত্বও দিয়েছেন তিনি শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার দাসুন শানাকা দেশে ফিরে যাওয়াতে। বঙ্গবন্ধু বিপিএলের পুরোটা সময়ই তার খেলার কথা ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার দুুপুরে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চট্টগ্রামের বিপক্ষে ম্যাচটি শেষ হওয়া মাত্র ছুটতে হয়েছে দেশে ফেরার ফ্লাইট ধরতে। সন্ধ্যা ৭টার ফ্লাইটে তিনি ইংল্যান্ডে ফিরে গেছেন এদিন ৫১ বলে ৫ চার, ৪ ছক্কায় ৭৪ রানের ইনিংস খেলে। ম্যাচসেরা হয়েও পুরস্কারটা নিতে পারেননি, তার বদলে সৌম্য সরকার সেটি গ্রহণ করেন। দলের টেকনিক্যাল এ্যাডভাইজার মিনহাজুল আবেদিন নান্নু জানিয়েছেন, স্ত্রীর অসুস্থতার জন্যই এত তড়িঘড়ি করে দেশে ফিরে গেছেন মালান। তার পরিবর্তে অচিরেই আরেকজনকে দলে ভেড়াতে চেষ্টা শুরু হয়েছে। কারণ মালানের অভাবে দলের শক্তি অনেকটাই কমে যাবে। প্লে-অফে ওঠার জন্য আপাতত ৮ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে আছে কুমিল্লা। মালান শেষ পর্যন্ত আর ফিরে নাও আসতে পারেন বলে জানিয়েছেন নান্নু। তবে অসুস্থ স্ত্রীর সার্বিক অবস্থার ভিত্তিতেই পরে তা জানা যাবে। এদিকে মঙ্গলবার সকালেই পাকিস্তানে ফিরে গেছেন ঢাকার পেসার ওয়াহাব। সোমবার ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে (৩.৪ ওভারে ৮ রানে ৫ উইকেট) তিনি পুড়িয়েছেন রাজশাহীকে। এটি ছিল বিপিএল ইতিহাসে দ্বিতীয় সেরা বোলিং নৈপুণ্য। তার স্বদেশী পেসার মোহাম্মদ সামি ২০১২ সালের প্রথম আসরে ৩.২ ওভারে ৬ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের বিপক্ষে দুরন্ত রাজশাহীর হয়ে। চলতি আসরের সেরা বোলিং নৈপুণ্যে ওয়াহাব ম্যাচসেরাও হন এই আসরে প্রথমবারের মতো। আগের ৬ ম্যাচে মাত্র ৫ উইকেট নিলেও বেশ কার্যকর বোলিং করেছিলেন তিনি। আর নিজেকে ফিরে পেয়েছিলেন রাজশাহীর বিপক্ষে। ৭ ম্যাচে ১০ উইকেট দখলে উঠে এসেছিলেন বোলিং পারফর্মেন্সের তালিকায় ৬ নম্বরে। কিন্তু পারিবারিক অনুষ্ঠানের জন্য তাকে দেশে ফিরতে হয়েছে। এর আগেও এক ম্যাচ খেলা হয়নি তার বোনের বিয়েতে অংশ নেয়ার জন্য পাকিস্তানে ফিরে যাওয়াতে। এবার আর ফিরে আসার সম্ভাবনা কম। তবে ঢাকা প্লে-অফে উঠলেই আবার দলে যোগ দেবেন তিনি। ঢাকা প্লাটুনের ম্যানেজার আহসানুল্লাহ হাসান এমনটাই জানিয়েছেন।’
×