ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রায় এক শ’ কর্মচারী গ্রেফতার হওয়ায়, অন্য ঘুষখোররা শঙ্কিত ॥ দুদক চেয়ারম্যান

প্রকাশিত: ১১:১৯, ১ জানুয়ারি ২০২০

প্রায় এক শ’ কর্মচারী গ্রেফতার হওয়ায়, অন্য ঘুষখোররা শঙ্কিত ॥ দুদক চেয়ারম্যান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গত সাড়ে তিন বছরে ফাঁদ মামলায় প্রায় একশ’ সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেফতার করায় অন্য ঘুষখোররা হয়তো শঙ্কিত হচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। একই সঙ্গে দুদকের মামলায় আসামিদের শতকরা ১০০ ভাগ মামলায় কোন সাজা হচ্ছে না তার কারণ বের করতে আইনজীবীদের সহায়তা কামনা করেছেন তিনি। মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের পাবলিক প্রসিকিউটরদের (দ্বিতীয় ব্যাচ) বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান তিনি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত, লিগ্যাল অনুবিভাগের মহাপরিচালক মোঃ মফিজুর রহমান ভূইয়া, প্রশিক্ষণ ও আইসিটি বিভাগের অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম সোহেল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ঘুষ খাওয়ার অভিযোগে কমিশন অনেককেই গ্রেফতার করছে। বিগত সাড়ে তিন বছরে ৮০টি ফাঁদ মামলা পরিচালনা করে প্রায় একশ’ সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাতে কি ঘুষ খাওয়া একেবারে বন্ধ হয়েছে? হয়তো হয়নি। কিন্তু যখন ঘুষখোরদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, তাতে অন্য ঘুষখোররা হয়তো শঙ্কিত হচ্ছে। এটাই প্রদর্শন প্রভাব। কমিশন এ কাজটিই করছে। তিনি বলেন, দুর্নীতি সর্বগ্রাসী, সর্বভুক এবং ধ্বংসাত্মক অপরাধ। এটি এমন অপরাধ যার প্রভাব সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। কোন একটি প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির ঘটনা ঘটলে, অসংখ্য প্রতিষ্ঠানে এর প্রভাব পড়ে। কমিশন মামলা করছে, গ্রেফতার করছে এবং কোন কোন মামলায় সাজাও হচ্ছে। এগুলোকে দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রমের প্রদর্শন বলা যেতে পারে। যাতে অন্যরা দুর্নীতি করতে সাহস না পায়। তাত্ত্বিকভাবে বলা যায়, কমিশনের মামলায় শতভাগ সাজা হওয়া উচিত। কারণ কমিশনের প্রতিটি মামলা দালিলিক সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে দায়ের করা হয়। এখানে শোনা কথার সাক্ষীর প্রয়োজন নেই। তারপরও কেন শতভাগ মামলায় সাজা হচ্ছে না? গলদটা কোথায়?’
×