স্টাফ রিপোর্টার ॥ ২০১৯ সালে সফলতার সঙ্গে নিজের কিছু ব্যর্থতাও রয়েছে বলে স্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, নতুন বছরে প্রথম চ্যালেঞ্জ হলো ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন। আর গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা হলো নতুন বছর ২০২০-এর পুরো সময়ের চ্যালেঞ্জ।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এক প্রশ্নের জবাবে দ্বিতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগের এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, সবই সাফল্য এমন দাবি করব না। কিছু কিছু ভুল-ব্যর্থতাও রয়েছে। গত বছরের ভুল-ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের জন্য নবতর পথযাত্রা সূচনা করব। নতুন আশার মালা গেঁথে আমাদের সামনের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করব। অতীতের ভুলত্রুটি থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন বছরে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করব। আমাদের মেগা প্রকল্পের কাজ আরও এগিয়ে যাবে। সড়ক-পরিবহন আইন বাস্তবায়নে ধাপে-ধাপে পদক্ষেপ নেব।
সেতুমন্ত্রী বলেন, এ বছর আমরা যতগুলো কাজ করেছি সবগুলোই শতভাগ সফল, এটা দাবি করব না। কিছু কিছু ব্যর্থতাও রয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা ছয়মাসই আমি অসুস্থ ছিলাম। আমি অসুস্থ থাকলেও দলের সবাই কাজ করেছে, তাই আমাদের টিমওয়ার্ক ভাল ছিল। ঢাকা মহনগরের উত্তর-দক্ষিণসহ সারাদেশে ২৯ জেলা সম্মেলন করেছি। আমাদের ঝড়ো দিন গেছে। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও প্রোগাম ছিল। এখন আবার ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত সময় যাচ্ছে। সব মিলিয়ে আমার অসুস্থতার সময় বাদ দিয়ে বাকি সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পার্টির জন্য কাজ করছি।
সুখবর হচ্ছে এ বছরের শেষে পদ্মা সেতুতে ২০তম স্প্যান বসেছে একথা জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে প্রতিমাসে তিনটি করে স্প্যান বসবে। মেট্টোরেলের একটি প্রকল্প উদ্বোধন করতে বছরের প্রথম দিনই উত্তরা যাচ্ছি। কর্ণফুলী ট্যানেলেরও ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এ কাজগুলো আগামী বছর আরও এগিয়ে নেব। তিনি বলেন, সড়কে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেখানে সাফল্য পেতে হবে। পিছিয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই।
ভুল বা ব্যর্থতার ক্ষেত্রে কোন বিষয়কে দেখছেন জানতে চাইলে কাদের বলেন, সব কিছুই পারফেক্ট করতে পেরেছি, এমন দাবি তো আমি করি না। এ বিষয়টাকে ওভাবে ব্যাখ্যা না করে এটুকু বলব যেগুলো জনগণের কাছে ভুল বা ব্যর্থতা সেগুলোতে আমরা আগামী বছর ইম্প্রুভ করব।
গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করাই নতুন বছরের চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘পুরো বছর যে সাফল্যে ভরা ছিল তা নয়। কিছুটা ভুলভ্রান্তি ও ব্যর্থতা আছে। আগামী বছর গণতন্ত্র এবং সুসাশনের অগ্রগতি হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নতুন সরকারে নতুন মুখ এসেছে। তাদের পারফরম্যান্সও ভাল। তারপরও বলব কিছু ভুলভ্রান্তি ও ব্যর্থতা আছে। এই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন, নতুন বছরের প্রথম নির্বাচন হলো সিটি নির্বাচন। এই নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ আছে।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘আমরা একটি ভাল নির্বাচন উপহার দিতে চাই। রেজাল্ট যাই হোক আমরা মেনে নেব। তবে আমরা বিজয়ের জন্য কাজ করছি। ইতোমধ্যে দুই সিটি নির্বাচন পরিচালনার জন্য কমিটি করেছি এবং প্রথম দিন থেকেই আমরা প্রচারে নামব।
ঢাকা উত্তরে বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল অভিযোগ করেছেন ইভিএম পদ্ধতি সঠিক নয়, এ বিষয় জানতে চাইলে ওবায়দুল বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের বক্তব্যে তো মিল নেই। তাদের একেক নেতা একেক কথা বলেন। তারা নির্বাচনে এসেছেন এবং বলেছেন নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকবেন। তারপরও এত কথা আসে কেন? সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ইভিএম পদ্ধতিকে ত্রুটিযুক্ত করার কোন কারণ নেই। এতে টেম্পারিং করারও কোন সুযোগ নেই। বিএনপির পুরনো অভ্যাস, নির্বাচনের আগেই তারা হেরে যায়। তার নির্বাচনের আগেই বলে যে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, কারচুপি হয়েছে কিন্তু পরে দেখা যায় নির্বাচনে তারা জয়ী হয়েছে, যেমন সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: