ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রাথমিকে পাসের হার ৯৫.৫০ শতাংশ, এবতেদায়িতে ৯৫.৯৬

প্রকাশিত: ১১:০২, ১ জানুয়ারি ২০২০

প্রাথমিকে পাসের হার ৯৫.৫০ শতাংশ, এবতেদায়িতে ৯৫.৯৬

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পঞ্চম শ্রেণীর প্রাথমিক ও মাদ্রাসার এবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কিছুটা কমেছে। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে ৯৫ দশমিক ৫০ শতাংশ ও মাদ্রাসার এবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনীতে পাস করেছে ৯৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ শিক্ষার্থী। গতবছর প্রাথমিকে ৯৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং এবতেদায়িতে ৯৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছিল। অন্যদিকে প্রাথমিকে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে তিন লাখ ২৬ হাজার ৮৮ জন, গতবছর ছিল তিন লাখ ৬৮ হাজার ১৯৩ জন। এবতেদায়িতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ হাজার ৮৭৭ জন, গতবছর ছিল ১২ হাজার ২৬৪ জন। মঙ্গলবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এ দুই পরীক্ষার ফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম-আল-হোসেন ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক এএফএম মনজুর কাদির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পরীক্ষার ফলাফলের অনুলিপি হস্তান্তর করেন তারা। গত ১৭ থেকে ২৪ নবেম্বর পর্যন্ত প্রাথমিক ও এবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিমন্ত্রী জানান, এবার প্রাথমিক সমাপনীতে মোট ২৪ লাখ ৫৪ হাজার ১৫১ জন ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্যে ২৩ লাখ ৪৩ হাজার ৭৪৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। গড় পাসের হার ৯৫ দশমিক ৫০ শতাংশ। উত্তীর্ণদের মধ্যে দশ লাখ ৭২ হাজার ১৫৪ জন ছাত্র এবং ১২ লাখ ৭১ হাজার ৫৮৯ জন ছাত্রী। পূর্ণ জিপিএ-৫ পাওয়া তিন লাখ ২৬ হাজার ৮৮ জনের মধ্যে ছাত্র এক লাখ ৪১ হাজার ৪৫১ ও ছাত্রী এক লাখ ৮৪ হাজার ৬৩৭ জন। এবতেদায়ি পরীক্ষায় এবার তিন লাখ চার হাজার ১৭৮ জন ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করে। উত্তীর্ণ হয়েছে দুই ৯১ হাজার ৮৭৫ জন। মাদ্রাসায় গড় পাসের হার ৯৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ। উত্তীর্ণদের মধ্যে ছাত্র সংখ্যা এক লাখ ৫০ হাজার ৮৩৫ জন ও ছাত্রী এক লাখ ৪১ হাজার ৪০ জন। পূর্ণ জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ হাজার ৮৭৭ জন। ৩৪১ বিদ্যালয়ের সবই ফেল ॥ প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে শতভাগ পাস স্কুলের সংখ্যা ৬৭ হাজার ৮৯৩। একজনও পাস করেনি এমন বিদ্যালয় রয়েছে ৩৪১। শতভাগ পাস বিদ্যালয়ের মধ্যে ২৪ হাজার ৮৭৭ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২১ রেজি. বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৯৪ মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫৩ পরীক্ষণ বিদ্যালয়, ১৯৪ অস্থায়ী রেজিস্ট্রার্ড বা অনুমতিপ্রাপ্ত বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৯ হাজার ৪১৭টি কিন্ডারগার্ডেন, এক হাজার ৬৬ এনজিও স্কুল, ৩৬ কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুই হাজার ৩৭১ নন রেজি. বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, এক হাজার ২১৮ উচ্চ বিদ্যালয় সংযুক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫৭৩টি ব্র্যাক স্কুল, ৫৩১ আনন্দ স্কুল, ১০১ শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩৯ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে। এছাড়া ১৫০০ বিদ্যালয় নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত বিদ্যালয় ৮০২, নতুন জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৬ হাজার ২৪০ ও অন্যান্য ৬০টি শতভাগ পাস বিদ্যালয় রয়েছে। জিপিএ-৫ নিয়ে টানা-হেচড়া বন্ধের উপায় খোঁজা হচ্ছে ॥ জিপিএ-৫ নিয়ে টানা-হেচড়া বন্ধে পরীক্ষা রেখেই বিশেষ ব্যবস্থার কথা ভাবা হচ্ছে জানিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীও পরীক্ষাটা রেখে বিশেষ ব্যবস্থার কথা বলছেন। প্রধানমন্ত্রীর কথা হলো এখানে কোমলমতি শিশুদের একদিকে মেধার বিকাশ, মননশীলতা, ধৈর্য পরীক্ষা দিচ্ছে, একটা প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করতে চাচ্ছি। আমরা যখন পড়েছি তখনও কিছু পরীক্ষা ছিল প্রাইমারিতে। যারা বৃত্তি পরীক্ষা দিতো স্যার’রা তাদের আলাদাভাবে ড্রাইভ দিতো তারা যাতে ভাল করে। ফল পুনর্নিরীক্ষার আবেদন করবেন যেভাবে ॥ আজ এক জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে খাতা পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করতে হবে। শুধু টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইল ফোন থেকে এ আবেদন করা যাবে। মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে উচজঝঈ লিখে স্পেস দিয়ে স্টুডেন্ট আইডি লিখে স্পেস দিয়ে স্পেস বিষয় কোড লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
×