ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ডিএসইর ৫ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন

প্রকাশিত: ০৮:৫৪, ১ জানুয়ারি ২০২০

ডিএসইর ৫ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালনা পর্ষদের ঘোষিত ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন করেছেন শেয়ারহোল্ডাররা। সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এ অনুমোদন করা হয়। লভ্যাংশ অনুমোদনের পাশাপাশি এজিএমে ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, পরিচালকদের প্রতিবেদন অনুমোদিত করেন শেয়ারহোল্ডাররা। একই সঙ্গে পরবর্তী অর্থবছরের জন্য নিরীক্ষক নিয়োগ ও তাদের পারিতোষিক নির্ধারণ করা হয়। এ ছাড়া সভায় গত ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনের ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনের সদস্য মঞ্জুর উদ্দিন আহমেদ। এর মাধ্যমে বোর্ডে নতুন পরিচালক হিসেবে মোহাম্মদ শাহজাহান এবং মোঃ শাকিল রিজভী অন্তর্ভুক্ত হন। সভায় ডিএসইর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল হাশেম বলেন, ডিএসইর বার্ষিক সাধারণ সভা এগিয়ে আনার যে দাবি ডিএসই সদস্যরা করেছিলেন, সেই দাবির সঙ্গে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ একাত্ম হয়ে হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে এ বছরেই ৫৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলেন, গত বার্ষিক সাধারণ সভার বেশকিছু প্রস্তাব ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ বিশেষ গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিয়ে প্রত্যাশা পূরণের চেষ্টা করেছেন। এর মধ্যে প্রধান যে কাজটি করা হয়েছে তা হলো ডিএসই অফিস নিকুঞ্জ ভবনে স্থানান্তরকরণ। ভবনটির পুরোমাত্রায় কার্যক্রম শুরু হবে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন করার পর। তিনি আরও বলেন, বছরজুড়েই বাজারের গতি মন্থর থাকলেও পণ্যের বহুমুখিতায় ‘ডিএসই এসএমই প্লাটফর্ম’ চালু করেছে। যা উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। যার মাধ্যমে স্বল্প মূলধনী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ডিএসইতে তালিকাভুক্তির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় মূলধন সংগ্রহের নতুন ও সম্ভাবনাময় দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। ইতোমধ্যে একটি কোম্পানি প্রসপেক্টাসও জমা দিয়েছেন। নতুন বছরের প্রথম প্রান্তিকেই এটির লেনদেন শুরু করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অধ্যাপক হাশেম বলেন, ডিএসইতে কিছু উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান আছে, যা সম্পন্ন করার মধ্য দিয়ে পুঁজিবাজারের ভিত আরও মজবুত হবে। ডিএসইর সেকেন্ডারি মার্কেটে সরকারী বন্ড ট্রেডেবল করার জন্য বিএসইসি, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং ডিএসই একটি কার্যকর কমিটি কাজ করছে। কমিটি বিএসইসিতে তাদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিকেই বন্ডের লেনদেন ডিএসইর সেকেন্ডারি মার্কেটে শুরু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। আরও বক্তব্য দেন শ্যামল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাজেদুল ইসলাম, ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন সার্ভিসেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাক আহমেদ সাদেক, মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফ আনোয়ার হোসেন, ঢাকা ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী, মডার্ন সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খুজিস্তা নূর-ই-নাহরিন, প্রাইলিংক সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ জহিরুল ইসলাম।
×