ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বাধ্যতামূলক হচ্ছে চারদিনের টেস্ট!

প্রকাশিত: ১২:০১, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯

বাধ্যতামূলক হচ্ছে চারদিনের টেস্ট!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আভিজাত্যের টেস্ট ক্রিকেটকে আরও জনপ্রিয় করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির চেষ্টার কমতি নেই। কয়েক বছর হয় চালু হয়েছে ডে-নাইট স্টেট ম্যাচ। এ বছর থেকে শুরু হয়েছে নতুন প্রবর্তিত আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। এবার ২০২৩ সাল থেকে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে চারদিনের টেস্ট ম্যাচ বাধ্যতামূলক করার কথা ভাবছে আইসিসি। যা চলবে ২০২৩-৩১ সাল পর্যন্ত। নতুন বছর ২০২০ সালে এ বিষয়ে আইসিসির ক্রিকেট কমিটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। তারা এ বিষয়সহ বৈশ্বিক ক্রিকেট ক্যালেন্ডারে যে ‘চাপ’ রয়েছে সেটা ভবিষ্যতে কিভাবে কমানো যায় সে বিষয়ে বিশদ আলোচনা করবে। যদিও অনেক বর্তমান ও সাবেক ক্রিকেটার আইসিসির এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন। তারা মনে করছেন টেস্ট চারদিনে নেমে আসলে সেটা প্রথম শ্রেণীর ম্যাচের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে যাবে। পাঁচ দিনের হওয়ায় এটাকে টেস্ট মনে হয়। মূলত টি২০ ও ওয়ানডে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তার কারণে আইসিসির ক্রিকেট ক্যালেন্ডারে যে চাপ তৈরি হয় সেটা কমাতেই টেস্ট চারদিনে নিয়ে আসতে পারে। আইসিসি মনে করছে এতে একদিকে যেমন খরচ বাঁচবে, অন্যদিকে লাভও বাড়বে। কারণ, পাঁচদিন খেলা চালিয়ে নেয়ার চেয়ে চারদিন চালানোয় কম খরচ হবে। এক্ষেত্রে ব্রডকাস্টার থেকে শুরু করে সবাই লাভবান হবে। তাছাড়া সাম্প্রতিক সময়গুলোতে যেসব টেস্ট হয়েছে তার মধ্যে খুব কম টেস্টই পঞ্চম দিন পর্যন্ত গড়িয়েছে। তিন থেকে চারদিনের মধ্যেই অধিকাংশ টেস্ট শেষ হয়েছে। টেস্ট চারদিনের হলে প্রতিদিন ৯০ ওভারের জায়গায় ৯৮ ওভার করে খেলা হবে। সেক্ষেত্রে মাত্র ৫৮ ওভার কম খেলা হবে। পাঁচদিনের টেস্টে মোট ওভার হত ৪৫০। চারদিনের হলে হবে ৩৯২ ওভার। এ বিষয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী কেভিন রবার্টস বলেছেন, ‘আসলে এটা এমন একটা বিষয় যেটা আমাদের গুরুত্বসহকারে নিতে হবে। এটা আসলে আবেগ দিয়ে ভাবলে হবে না। ফ্যাক্ট দিয়ে ভাবতে হবে। সবাইকে বাস্তবতা ও সময়ের দাবিটা বুঝতে হবে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমাদের ভেবে দেখতে হবে যে ওভার এবং সময়ের হিসেবে গেল পাঁচ-দশ বছরে টেস্ট ক্রিকেটের গড় দৈর্ঘ্য কত ছিল? এ বিষয়ে আমরা আগামী ১২ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারব। এটা নিশ্চিত যে ২০২৩-৩১ সাল পর্যন্ত ক্রিকেটের দৈর্ঘ্য কমে আসবে। আমরা সব আইসিসি সদস্যই বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী।
×