স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে বিদায় নেয়ার বিষয়টি বাদ দিলে ২০১৯ সালে দুর্দান্ত এক বছর পর করেছে ভারত। বিশেষ করে আভিজাত্যের টেস্ট আঙ্গিনায় বিরাট কোহলির দল ছিল এক কথায় অপ্রতিরোধ্য। টানা তৃতীয়বার আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান ধরে রাখে ভারত। নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অস্ট্রেলিয়াকে হারায় ২-১ ব্যবধানে। সেটা ২০১৮ ডিসেম্বর-২০১৯ জানুয়ারি মৌসুমে, যখন নিষেধাজ্ঞার কারণে নিষিদ্ধ ছিলেন স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার। তুখোড় দুই তারকা ফেরায় অস্ট্রেলিয়াও ফিরেছে স্বরূপে। এ্যাশেজ দিয়ে শুরু হওয়া দুই বছরব্যাপী নতুন প্রবর্তিত আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে তিন সিরিজে ৭ ম্যাচের সবকটি জিতে টেবিলের শীর্ষে কোহলির দল। সমান তিন সিরিজে ৯ ম্যাচের ৭টিতে জিতে দ্বিতীয় স্থানে অস্ট্রেলিয়া। টিম পেইনের নেতৃত্বে গুছিয়ে ওঠা কুলিন অসিরা সাদা পোশাকের ক্রিকেটে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং ২০২০-২১ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়াই যে হতে যাচ্ছে ভারতের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী, কোহলিদের সেটি মনে করিয়ে দিয়েছেন সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলী।
গ্রেট সৌরভ বলেন, ‘আমি মনে করি ২০২০ টেস্ট সিরিজটি ভারতীয় দলের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জিং হবে। আমি নিশ্চিত যে, বিরাট ও তার দল যে মানে অবস্থান করছে, ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়া দল যে তাদের সেরা প্রজন্মের ছিল না সেটা বুঝতে পারবে। আমাদের ফাস্ট বোলার আছে, স্পিনার আছে, বিরাট কোহলির মতো চ্যাম্পিয়ন ব্যাটসম্যান আছে। সঙ্গে আছেন নতুন সেনসেশন আজিঙ্কা রাহানে এবং এখন ওপেনার হিসেবে রোহিত শর্মা।’ ২০১৮-১৯ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া দলে স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার না থাকায় ভারত তুলনামূলক সহজ জয় পেয়েছে, তাই আগামী বছর জয় পাওয়াটা বিরাট কোহলিদের জন্য তুলনামূলক কঠিন হবে মনে করছেন সৌরভ। বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারির দায়ে স্মিথ ও ওয়ার্নার নিষিদ্ধ থাকায় অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ৭১ বছরের খড়া কাটিয়ে টেস্ট সিরিজ জয় করে ভারত। স্মিথ-ওয়ার্নারের বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন সৌরভ। আগামী বছর টি২০ বিশ্বকাপের পর ১৮ অক্টোবর-১৫ নবেম্বর অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজ খেলবে ভারতীয় দল। সৌরভ বলেন, ‘আগামী অক্টোবরে কোহলিকে পূর্ণ শক্তির অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভিন্ন কিছু মোকাবেলা করতে হবে। কঠিন একটি দলকে তাদের হারাতে হবে, এ জন্য ভারতীয় দলের বিশ্বাস থাকতে হবে, তাদের পরাজিত করতে সবকিছু সঠিকভাবে করতে হবে। আমি এটা দেখার অপেক্ষায় আছি।’
দেশের মতো বিদেশের মাটিতেও ভারতীয় ক্রিকেটে আক্রমণাত্মক মেজাজ প্রতিষ্ঠা করে সুনাম কুড়ানো সাবেক অধিনায়ক সৌরভ আরও যোগ করেন, ‘আপনারা জানেন আমি অধিনায়ক হওয়ার সময় আমার অন্যতম একটা লক্ষ্য ছিল- সেরাদের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা। ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরের কথা আমার স্মরণে আছে- আমরা অসাধারণ পারফর্মেন্স করেছিলাম এবং ভারতের বর্তমান দলটির সেটা করার মতো সক্ষমতা আছে।’ সৌরভের নেতৃত্বে সেবার চার টেস্টের সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করেছিল ভারত।
