ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

‘লাল সোনা’ সংগ্রহে রেকর্ড

প্রকাশিত: ১১:১৯, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯

‘লাল সোনা’ সংগ্রহে রেকর্ড

যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ আফগানিস্তানে এ বছর জাফরানের ফলনে রেকর্ড হয়েছে। ব্যবসায়ী মহলে জাফরান সুপরিচিত নাম লাল সোনা নামে। প্রকৃতির এই অনবদ্য উপহার মূলত ব্যবহার হয় মোগলাই খাবারের সুঘ্রাণ ও রং তৈরিতে। এছাড়াও হরেক গুণের জন্য পরিচিতি জাফরানের। বিভিন্ন আফগান সংবাদপত্র ও আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার খবর, ২০১৯ সালে আফগানিস্তানে জাফরানের উৎপাদন গত বছরের তুলনায় ২২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আফগান কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, খুব দামী ও সুপরিচিত মূল্যবান এই কৃষি পণ্যের উৎপাদন প্রায় ২০ মেট্রিক টন। গত বছর ১৬ টন জাফরান উৎপাদন করেছিল আফগানিস্তান। এই বছর আরও ৬ শতাংশ উৎপাদন বেড়েছে। উৎপাদিত জাফরানের ৯০ শতাংশ রফতানি করা হবে। জঙ্গী হামলায় রক্তাক্ত আফগানিস্তানের অর্থনীতি খুবই খারাপ। দেশটির কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০১৯ সালের বছরের ফলন থেকে জাফরান চাষীরা প্রায় দুই কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার রাজস্ব আয় করবেন। এটি এক রেকর্ড। আফগান সংবাদ মাধ্যমের খবর, নিজস্ব বাজারে এক কেজি জাফরানের দাম মানের ওপর এটা নির্ভর করে। সেই দাম ৬৩৪ মার্কিন ডলার থেকে ১,১৪৭ মার্কিন ডলার পর্যন্ত পৌঁছায়। তবে উচ্চমানের জাফরান চালান হয় বিভিন্ন দেশে। বিশেষ করে যেসব দেশে মোগলাই রীতির খাবারের প্রচলন বেশি। আফগানিস্তানের আফিম উৎপাদনেও নজর থাকে দুনিয়ার। হরেক রকম শুকনো ফলের রফতানি করাও এই দেশের অন্যতম আয়। লাল সোনা জাফরানের কথা সেখানে একেবারেই আলাদা। -ইন্ডিয়া টুডে
×