ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে অপহরণের ৭ মাসেও উদ্ধার হয়নি

প্রকাশিত: ০৯:৩২, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯

মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে অপহরণের ৭ মাসেও উদ্ধার হয়নি

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ টঙ্গীবাড়ি উপজেলার বালিগাঁও বাজার হতে অপহরণের ৭ মাস কেটে গেলেও কলেজছাত্রী শান্তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। শান্তার বাবা যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম মেয়েকে উদ্ধারের জন্য ৭ মাস যাবত দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ালেও মেয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছেন না। শান্তার বাবা উদ্বিগ্ন মেয়ের বেঁচে থাকা নিয়ে। দেশ স্বাধীন করেও এখন নিজের মেয়ের জন্য কিছুই করতে পারছেন না তিনি। দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে শান্তার বাবা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ওরা আমার মেয়েকে হয়তো এত দিনে মেরে ফেলেছে, নয় তো বিদেশে পাচার করে দিয়েছে। ওই যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আরও জানান, অপহরণকারীরা আমার নিকট আত্মীয়। কয়েকবার ওরা শান্তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু যার সঙ্গে বিয়ের প্রস্তাব দেয় সে ভবঘুরে কোন কাজকর্ম করেনা। এজন্য আমি রাজি হইনি। পরে ওরা আমার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। আমি মামলা দায়ের করলে পুলিশ একজন আসামিকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করে। কিন্তু প্রধান আসামিসহ অন্য আসামিদের কাছ থেকে পুলিশ টাকা খেয়েছে। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। এর আগে মামলার ৩নং এজাহারভুক্ত আসামি আমিন উদ্দিন হাওলাদারকে শ্রীনগর থানা পুলিশ গ্রেফতার করলেও তাকে টাকা খেয়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, এজন্যই কি দেশ স্বাধীন করেছিলাম! যুদ্ধে গিয়ে আহত হয়েছি এখন স্বাধীন দেশে মেয়ের বিচার পাচ্ছি না। আমি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এর আগে গত ১৮ মে ২০১৯ তারিখে শান্তা তার নিজ বাড়ি উপজেলার চাষী বালিগাঁও গ্রাম হতে তার ফুফু শাহানা বেগমের সঙ্গে পাশের বালিগাঁও বাজারে ডাক্তার দেখানোর জন্য যাচ্ছিল। ডাক্তার দেখাতে যাওয়ার পথে বাজারের পূর্ব পাশে পৌঁছলে শান্তাদের নিকট আত্মীয় পাশের শ্রীনগর উপজেলার বিবন্দি গ্রামের খবির হাওলাদার, সাব্বির হাওলাদার, আমিন হাওলাদার শান্তাকে জোর করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে শান্তার বাবা সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে টঙ্গীবাড়ি থানায় গত ১৮ জুন মামলা দায়ের করেন। অপহরণের ৭ মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও শান্তাকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
×