ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মেয়ের ধর্ষণ মামলা করতে গিয়ে নিজেই আসামি

প্রকাশিত: ০৯:৩১, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯

মেয়ের ধর্ষণ মামলা করতে গিয়ে নিজেই আসামি

নিজস্ব সংবাদদাতা, ৩০ ডিসেম্বর, গাইবান্ধা ॥ সাদুল্যাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের টিয়াগাছা গ্রামে পালিত মেয়ে রাজিয়া সুলতানার ধর্ষণের মামলা করতে গিয়ে পালক পিতা ওই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য ইদ্রিস আলী চেংটু নিজেই আসামি হয়ে জেল খেটেছেন। ধর্ষণ ঘটনার মূল আসামি মাসুদ মিয়ার বিচার এবং মিথ্যা ধর্ষণ মামলা থেকে পালক পিতার অব্যাহতি, সুবিচারসহ থানা পুলিশের অন্যায়-দুর্নীতির প্রতিকারের দাবি জানিয়ে সোমবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন রাজিয়া সুলতানা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, ভাতগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান এটিএম রেজানুল ইসলাম বাবুর বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় ৪নং ওয়ার্ড সদস্য ইদ্রিস আলী চেংটুর সঙ্গে মনোমালিন্য চলে আসছিল। এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান তাকে ফাঁসাতে নানা ফন্দি আঁটেন। চেয়ারম্যানের নিকটতম প্রতিবেশী একই ইউনিয়নের দক্ষিণ সনতোলা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মাসুদ মিয়ার সঙ্গে ইদ্রিস আলী চেংটুর পালিত মেয়ে রাজিয়া সুলতানার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে গত ৩ মে রাতে নিজ বাড়িতে রাজিয়া সুলতানাকে একা পেয়ে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করে মাসুদ মিয়া। কিন্তু পরে মাসুদ মিয়া পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরের দিন ৪ মে ধর্ষিতা রাজিয়া সুলতানাকে নিয়ে ইদ্রিস আলী চেংটু ও তার স্ত্রী শিউলী বেগম থানায় ধর্ষক মাসুদ মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে চেয়ারম্যানের প্রভাবে তাদের বেআইনীভাবে আটক করে হাজতে রাখে পুলিশ এবং অকথ্য গালিগালাজ ও মারপিট করে। শুধু তাই নয়, পুলিশ জোর করে রাজিয়া সুলতানাকে দিয়ে উল্টো চেংটুর বিরুদ্ধেই ধর্ষণ ও অকাল গর্ভপাত ঘটানোর মিথ্যা অভিযোগে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নিয়ে মামলা দায়ের করে।
×