ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মৎস্যজীবীদের মানবেতর জীবন যাপন

প্রভাবশালীদের দখলে বাঙালী নদীর জলমহাল

প্রকাশিত: ০৯:২৭, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯

প্রভাবশালীদের দখলে বাঙালী নদীর জলমহাল

নিজস্ব সংবাদদাতা, ৩০ ডিসেম্বর, গাইবান্ধা ॥ সাঘাটা উপজেলার ঘুড়িদহ ইউনিয়নের পবনতাইড়, হলদিয়া, জুমারবাড়ি ও চিনিরপটল মৌজার মরা বাঙালী নদীর কুমিরদহ জলমহালটি মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে জবর দখল করে নিয়েছে প্রভাবশালীরা। ফলে ওই এলাকার মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিভুক্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৪শ’ ৫০ প্রকৃত মৎস্যজীবী পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। সরকারের এতদসংক্রান্ত ‘জাল যার জলা তার’ এই নীতি অনুসারে ৩৮.১০ একর বিস্তৃত এই জলাশয়টিতে ৩২ বছর যাবত মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রকৃত মৎস্যজীবী পরিবারগুলো। কিন্তু ২০১০ সালে প্রভাবশালী জোতদার শামীম মিয়াসহ পার্শ্ববর্তী তার সহযোগীরা ওই জলাশয়টি দখল করে নেয়। ফলে মৎস্যজীবী সমিতির নামে লিজ বাবদ ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা জমা দিয়েও ওই জলাশয়টির দখল পায়নি। এ বিষয়ে হাইকোর্ট ও সুপ্রীমকোর্টে মৎস্যজীবীরা তাদের পক্ষে রায় পেলেও এখন পর্যন্ত প্রভাবশালীদের দাপটে জলাশয়ে মাছ ধরতে পারছে না অসহায় মৎস্যজীবীরা। ফলে সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে জুমারবাড়ি ও ঘুড়িদহ মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির পক্ষ থেকে সভাপতি জোসনা চন্দ্র দাস, সম্পাদক মোংলা রাম দাস এবং সদস্য রমেশ চন্দ্র দাস ও বাদল চন্দ্র দাস স্বাক্ষরিত একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এতে ১৪২০ সালের জমাকৃত উক্ত লিজ মানির পরিপ্রেক্ষিতে ১৪২৬ ও ১৪২৮ সালের জন্য মরা বাঙালী নদীর কুমিরদহ জলমহালটি ৪শ’ ৫০ মৎস্যজীবীকে বন্দোবস্ত দেয়ার দাবি জানানো হয়। দীর্ঘদিন জলমহাল না পেয়ে মামলা মোকদ্দমা পরিচালনা করতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র মৎস্যজীবীদের সুদমুক্ত ঋণের ব্যবস্থা করা এবং প্রভাবশালীদের হুমকি মোকাবেলায় সংখ্যালঘু মৎস্যজীবীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ বাংলাদেশ সরকারের ভূমি আপীল বোর্ডের ধারা মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
×