ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিদ্যুত খাতে এ বছরও সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি

প্রকাশিত: ০৯:২২, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯

বিদ্যুত খাতে এ বছরও সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ উৎপাদন ব্যয় মেটাতে নতুন বছরে বিদ্যুতখাতে ভর্তুকি ছাড়াবে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকার বেশি। তাই দাম বাড়ানোর চিন্তা করছে সরকার। তবে ভোক্তা সংগঠন ক্যাবের হিসাবে, অব্যবস্থাপনা আর সরকারী কোম্পানিগুলোর লাভ বাদ দিলে প্রতিবছর সাশ্রয় করা সম্ভব অন্তত সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা। বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী বলছেন, এখনই ভর্তুকি পুরোটাই প্রত্যাহারের পরিকল্পনা নেই সরকারের। বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ঘোষণা আসতে পারে নতুন বছরের শুরুর দিকেই। এ নিয়ে মাসখানেক আগে গণশুনানি শেষ করেছে বিইআরসি। শুনানিতে বিদ্যুত উৎপাদনে ২০২০ সালে সাড়ে ৮ হাজার কোটির বেশি টাকা ঘাটতির কথা তুলে ধরে দাম বৃদ্ধি চায় বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড। সম্প্রতি ভোক্তা অধিকার সংগঠন ক্যাব বলছে, বিদ্যুত খাতে বছরে অন্তত সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব। তাদের গবেষণায়, অলস বসে থাকা বিদ্যুত কেন্দ্রের জন্য ক্যাপাসিটি পেমেন্ট বাবদ ২ হাজার ১৭৬ কোটি টাকা দেয়ার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এছাড়া সঞ্চালন ও বিতরণ পর্যায়ে বিভিন্ন সংস্থা খরচ বাড়িয়ে দেখিয়েছে বলেও তুলে ধরে ক্যাব। ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম বলেন, বিদ্যুত খাতভুক্ত সকল সংস্থা ও ইউটিলিটিকে দুর্নীতিমুক্ত ও ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে বিআরসি কর্তৃক অনুমোদন এবং উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে সকল ক্রয় নিশ্চিত করতে হবে। এই মুহূর্তে বিদ্যুত উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ২০ হাজার মেগাওয়াট। যা গ্রীষ্মকালের চাহিদার চেয়েও প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি। বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি বিদ্যুত নিয়ে বসে আছি, আমি যদি বিক্রি না করতে পারি তাহলে ওটার যেই দাম সেটাতো সাধারণ ট্যারিফের ওপর পড়বে। অন্যদিকে ক্যাবের বক্তব্যকেও পুরোপুরি উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী। বিদ্যুত খাতে অব্যবস্থাপনা ও অদক্ষতা কাটাতে কিছুটা সময় লাগবে বলেও জানান তিনি। প্রতিবছরের মতো এবারও এ খাতে ভর্তুকির ইঙ্গিত দেন প্রতিমন্ত্রী। ফলে দর বৃদ্ধিতে তেমন একটা চাপে পড়বে না গ্রাহকরা। তার মতে পরিকল্পনা অনুযায়ী বড় বড় কেন্দ্র সময়মতো না আসাতেও বিপাকে পড়েছে বিদ্যুত খাত।
×