ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

অধ্যাপক (ডাঃ) কামরুল হাসান খান

বাংলাদেশের মেডিক্যাল শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা

প্রকাশিত: ০৮:৩০, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯

বাংলাদেশের মেডিক্যাল শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর রাজনৈতিক জীবনের শুরুতেই একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলেন ‘বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো’। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ‘একটি স্বাধীন সার্বভৌম সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার।’ বাংলার মানুষের সাংবিধানিক, রাষ্ট্রীয় এবং রাজনৈতিক অধিকার হিসেবে প্রাধান্য দিয়েছেন অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য। এ বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে তিনি গ্রহণ করেছিলেন সকল রাজনৈতিক কর্মসূচী এবং রাষ্ট্রীয় নীতিমালা। বঙ্গবন্ধু ভেবেছিলেন একটি সুখী সমৃদ্ধ দেশ গড়তে হলে চাই একটি স্বাস্থ্যবান জাতি। এজন্য তিনি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে যেমন গুরুত্ব দিয়েছেন তেমনি গ্রহণ করেছেন সময়োপযোগী পদক্ষেপ। মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের সকল ক্ষেত্রে একটি শক্ত নীতিমালা, পরিকল্পনা, অবকাঠামো রেখে গেছেন, যার ওপরে গড়ে উঠেছে আজকের বিশ্বনন্দিত অনেক সফল কার্যক্রম। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ এবং ২০০৯ থেকে অদ্যাবধি বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও মেডিক্যাল শিক্ষার সব ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করায় আজ বিশে^র দরবারে সমাদৃত বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার তৃতীয় দফায় দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দেশের মেডিক্যাল শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হচ্ছে- কমিউনিটি ক্লিনিক : প্রতি ৬০০০ গ্রামীণ জনগণের জন্য একটি করে ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় ১৯৯৬ সালে এবং ১৯৯৮-২০০১-এর মধ্যে ১০ হাজারের অধিক চালু করা হয়েছিল, যার সুফল জনগণ পেতে শুরু করেছিল। কিন্তু ২০০১ সালে সরকার পরিবর্তনের পর কেবলমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে জনগণের অতি প্রয়োজনীয় এ সুবিধা বন্ধ করে দেয় তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। ২০০৮ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট বিপুল ভোটে জাতীয় নির্বাচনে জয়যুক্ত হয়ে দায়িত্ব গ্রহণের পর শেখ হাসিনা কমিউনিটি ক্লিনিক পুনরায় চালু করেন। বর্তমানে ১৪ হাজারটি ক্লিনিক চালু আছে। যেখান থেকে ৩০ রকমের ওষুধ বিনামূল্যে প্রদান, স্বাভাবিক প্রসব ব্যবস্থা, টিকাদান কর্মসূচীসহ নানা ধরনের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়। গ্রামাঞ্চলে কমিউনিটি ক্লিনিক এখন বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় একটি অতি জনপ্রিয় স্বাস্থ্য পরিচর্যা। মেডিক্যাল বিশ^বিদ্যালয় : বঙ্গবন্ধুকন্যা ১৯৯৬ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই ১৯৯৭ সালের ৩১ জুলাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ^বিদ্যালয় স্থাপনের সরকারী আদেশ প্রদান করেন, যার কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৯৮ সালের ৩০ এপ্রিল। এ বিশ^বিদ্যালয় উচ্চ মেডিক্যাল শিক্ষা, সেবা এবং গবেষণায় বিশ^সেরা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এবার ক্ষমতায় এসে আরও তিনটি মেডিক্যাল বিশ^বিদ্যালয় স্থাপন করেছেন- চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও সিলেটে এবং খুলনায় আরেকটি বাস্তবায়নাধীন আছে। জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি : জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশবাসীর আকাক্সক্ষা পূরণ করে ১৯৯৬-এ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, সর্বদলীয় কমিটি এবং সাধারণ মানুষের মতামতের ভিত্তিতে সর্বজন গ্রহণযোগ্য জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি ২০০০ প্রণীত হয়। এ স্বাস্থ্যনীতি ২০১১ সালে আবার যুগোপযোগী করা হয়। মেডিক্যাল শিক্ষা : ২০১০-২০১৮ পর্যন্ত নতুন ২৫টি সরকারী মেডিক্যাল কলেজ (এর মধ্যে ৫টি সামরিক বাহিনীর অধীনে), ৬টি সরকারী ডেন্টাল কলেজে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। জাতীয় ঔষধনীতি : ওষুধ শিল্প এখন বাংলাদেশের গৌরবের শিল্প। দেশের ৯৮% চাহিদা পূরণ করে ১৪৫টি দেশে ওষুধ রফতানি করা হচ্ছে। ওষুধের মান এবং মূল্য নিয়ন্ত্রণ করার জন্য জাতীয় ঔষধনীতি যুগোপযোগী করা হয়েছে। অটিজম ও স্নায়ুু বিকাশজনিত সমস্যা : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ^বিদ্যালয়ে ইনস্টিটিউট ফর পেডিয়াট্রিক নিউরো-ডিজঅর্ডার এ্যান্ড অটিজম (ইপনা) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ২৫টি সরকারী ও বেসরকারী হাসপাতালে শিশু বিকাশ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সায়মা ওয়াজেদ পুতুল অটিজমে বিশ^ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং সম্প্রতি ইউনেস্কো জুরি বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। ‘জাতীয় স্নায়ু বিকাশজনিত সমস্যার কৌশলপত্র ২০১৬-২০২১’ প্রণয়ন করা হয়েছে এবং সরকার এর বাস্তবায়ন করছে। ক্লিনিক্যাল সেবা : ১৯৯৬-২০০১ সালে শেরেবাংলা নগরে ৪০০ শয্যার শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী হাসপাতাল, ৪০০ শয্যার জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট, কিডনি হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট, মানসিক হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট, ঢাকার আজিমপুরে ১৭৫ শয্যার মা ও শিশু হাসপাতাল এবং ইনস্টিটিউট, ঢাকার মাতুয়াইলে ২০০ শয্যার শিশু হাসপাতাল ও মাতৃস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ৬০০ শয্যার ডিএমসিএইচ-২ ভবন নির্মাণের ব্যবস্থা, যা এ সময়ে বাস্তবায়ন হয়েছে, ২০ তলাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা ভবন নির্মাণের কাজে হাত দেয়া, যা বর্তমানে বাস্তবায়ন হয়েছে। ঢাকার মিরপুরে ২০০ শয্যাবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ ঢাকা ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০০৯ থেকে অদ্যাবধি ১৫টি নতুন হাসপাতাল এবং ১০ হাজার ৮৪৭টি নতুন হাসপাতালশয্যা যুক্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম গত ২৪ অক্টোবর উদ্বোধন করেছেন। ৫০০ বেডের এ হাসপাতালটি বিশে^র অন্যতম বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতাল। চিকিৎসক নিয়োগ ও পদোন্নতি : বিসিএস-এর মাধ্যমে ১৪ হাজার ৩৮৪ জন চিকিৎসকসহ এ সরকারের আমলে ১৮ হাজার ৫১৭ জন চিকিৎসককে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ১০ হাজার চিকিৎসকের নিয়োগের চূড়ান্ত প্রক্রিয়া চলছে, যাতে তৃণমূল পর্যায়ে চিকিৎসক সঙ্কট না থাকে। নার্সিং পেশা : নার্সদের মর্যাদা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৩য় শ্রেণী থেকে ২য় শ্রেণীতে উন্নীত করা হয়েছে। ১৫ হাজার নতুন নার্স নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নার্সিং জনশক্তি বৃদ্ধির জন্য নতুন সরকারী ৫৯টি এবং বেসরকারী ১৮৪টি নার্সিং ইনস্টিটিউটে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এছাড়া ১৩টি নার্সিং কলেজ করা হয়েছে। ডিজিটাল স্বাস্থ্য : ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প ২০২১-এর আলোকে গ্রাম পর্যায়ের মাঠকর্মী থেকে শুরু করে কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র, উপজেলা, জেলা এবং আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ের সকল হাসপাতালে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরে কাগজনির্ভর তথ্য ব্যবস্থাপনা বাদ দিয়ে ডিজিটাল পদ্ধতি চালু হয়েছে। ই-টেন্ডারিং চালু হয়েছে। টেলিমেডিসিন সেবা কেন্দ্র ৯৫টিতে উন্নীত হয়েছে। স্বাস্থ্য ও মেডিক্যাল শিক্ষা ব্যবস্থার সকল পর্যায়ে অটোমেশনসহ ডিজিটাল পদ্ধতি চালু হয়েছে। বৃহৎ কর্মসূচী গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন : ১৯৯৮-২০০৩ সালের জন্য পঞ্চম স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা পর্যায়ে পরিকল্পনা (এইচপিএসপি) গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করা হয়। ২০০৯- অদ্যাবধি ৩য় ‘স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা কর্মসূচী ২০১১-২০১৬’ প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ৪র্থ ‘স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা কর্মসূচী ২০১৬-২০২১’ প্রণয়ন করে বাস্তবায়নাধীন আছে। হাসপাতাল শয্যাসংখ্যা বৃদ্ধি : ৩৩২টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৩১ শয্যা হতে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা হাসপাতাল এখন ৪৪১টি, মেডিক্যাল কলেজ ও জেলা হাসপাতালগুলোতে প্রায় ২ হাজার ৫০০ শয্যাসংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠান : ১৭১টি মেডিক্যাল এসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল ও নতুন ৮টি সরকারী এবং ৫৭টি বেসরকারী হেলথ টেকনোলজি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ : বর্তমান জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ১.৩৭, যা ২০০৮ সালে ছিল ১.৪১। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সরকারের পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মাধ্যমে যাবতীয় কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি : ৭২.৮ বছর। জরুরী স্বাস্থ্যসেবা ও এ্যাম্বুলেন্স : বর্তমান সরকারের আমলে বিভিন্ন হাসপাতালে প্রায় ৫০০টি এ্যাম্বুলেন্স প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে দুর্গম হাওড় অঞ্চলের জন্য ২০টি নৌ এ্যাম্বুলেন্স সরবরাহ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচী : দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী পরিবারসমূহকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে টাঙ্গাইল জেলার তিনটি উপজেলায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা শীর্ষক পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে এবং সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য কোয়ালিটি ইমপ্রুভমেন্ট সেক্রেটারিয়েট স্থাপন ও কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বেসরকারী খাত : দেশের চিকিৎসা জনবলের অভাব পূরণে বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, নার্সিং ইনস্টিটিউট, হেলথ টেকনোলজি ইনস্টিটিউট, মেডিক্যাল এসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল ও মিডওয়াইফারি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার অনুমতি দেয়া হয়েছে। বেসরকারী পর্যায়ে হাসপাতাল, ক্লিনিক ও রোগ নির্ণয় কেন্দ্রের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারী-বেসরকারী যৌথ অংশীদারিত্ব প্রকল্প চালু হয়েছে। নীতি কাঠামো ও আইন : বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১১। ধূমপান নিবারণে ধূমপান এবং তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১২। রোগী ও চিকিৎসক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও বেসরকারী হাসপাতাল এবং ক্লিনিক আইন হালনাগাদ করা প্রক্রিয়াধীন। বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস এবং সার্জনস (বিসিপিএস) আইন ২০১৭। জাতীয় ওষুধনীতি ২০১৬। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্যনীতি ২০১৮। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের ২০১০ সালে এমডিজি-৪ এবং ২০১১ সালে ‘ডিজিটাল হেলথ ফর ডিজিটাল ডেভেলপমন্টে’ শীর্ষক সাউথ সাউথ পুরস্কার। টিকাদান কর্মসূচী সাফল্যের জন্য ২ বার গ্যাভি এ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন। ২০১৯ ভ্যাকসিন হিরো- শিশুদের টিকাদান কর্মসূচীর ব্যাপক সাফল্যের জন্য। এছাড়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসংখ্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। আমাদের রয়েছে নানা সীমাবদ্ধতা, বাজেটের স্বল্পতা, দক্ষ মানবসম্পদের অভাব, ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা। এরপরও প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি নেতৃত্বের জন্য বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও মেডিক্যাল শিক্ষার অনেক সূচকই ভারত এবং পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে। বিশ্বব্যাংকের ২০১৮ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- অর্থনৈতিক, মানবসম্পদ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য উন্নয়নে বাংলাদেশ ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে (বিশ^ব্যাংক প্রতিবেদন ১১ অক্টোবর ২০১৮)। এখন প্রয়োজন (১) দুর্নীতি দমন (২) দক্ষ, সৎ, দেশপ্রেমিক মানবসম্পদ গড়ে তোলা (৩) আধুনিক সময়োপযোগী স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন। লেখক : সাবেক উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়
×