ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সময়োপযোগী বিষয়ে উচ্চশিক্ষা

প্রকাশিত: ১২:১৮, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯

সময়োপযোগী বিষয়ে উচ্চশিক্ষা

বর্তমান সময়ের চাহিদাসম্পন্ন বিষয়গুলোর মধ্যে আইন অন্যতম। সরকারী ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এ বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে প্রথম আইন অনুষদ চালু করা হয়। ১৯৯৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ.বি.এম. মফিজুল ইসলাম পাটোয়ারী প্রতিষ্ঠা করেন। ড. পাটোয়ারী আইন শাস্ত্রের অধ্যাপক ও বহু গ্রন্থের প্রণেতা তাই তার প্রতিষ্ঠিত আইন অনুষদ সর্বোচ্চ গুরুত্ব পেয়েছে। তা ছাড়া এ ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠালগ্নে যিনি ভাইস চ্যান্সেলর ছিলেন তিনি হলেন প্রফেসর ড.এ. ডব্লিউ. এম আবদুল হক। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন অনুষদের ডিন ছিলেন। তাই এখানে আইন অনুষদ নানাভাবে উৎকর্ষতা লাভ করে। ছাত্রছাত্রীরাও আইন শাস্ত্র সম্পর্কে ভাল জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হয়। সে ধারা এখনও অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে আইন অনুষদে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে ছাত্রছাত্রীরা এখানে পড়ালেখা করার সুযোগ পায়। দিবা শাখার পাশাপাশি সান্ধ্যকালীন শাখাতেও এখানে পড়ালেখার সুযোগ রয়েছে। ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আইন অনুষদে যে কোর্সসমূহে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হচ্ছে সেগুলো হলো : চার বছর মেয়াদী এলএলবি (সম্মান) দিবা শাখা, চার বছর মেয়াদী এলএলবি (সম্মান) সান্ধ্যকালীন শাখা, এক বছর মেয়াদী এলএলএম (মাস্টারস) প্রোগ্রাম, দুই বছর মেয়াদী এলএলএম (মাস্টারস) প্রোগ্রাম। এছাড়াও এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের অধীনে দুই বছর মেয়াদী মাস্টারস অব হিউম্যান রাইটস ‘ল’ প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। যা বাংলাদেশে আর কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। আইন অনুষদে ২৫ জন পূর্ণকালীন শিক্ষক রয়েছেন। জ্ঞান ও বেধা বৃদ্ধি এবং আইন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের বাস্তব ধারণা প্রদানের লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথিতযশা আইনের অধ্যাপক, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ও বিখ্যাত আইনজীবী সমন্বয়ে আইন অনুষদের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। শুধু পুঁথিগত বিদ্যায় পাঠদান সীমাবদ্ধ না রেখে নিয়মিতভাবে এখানে বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়ে থাকে। একজন সফল আইনজীবী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে ছাত্রছাত্রীরা যাতে আইনের জটিল বিষয় মোকাবেলা করতে পারে সে জন্য এখানে ‘বার প্রাকটিশনারস ট্রেনিং প্রোগ্রাম (বিপিটিসি)’ নামে একটি কোর্স চালু রয়েছে। এ কোর্সের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আদালতের কার্যধারা, বিভিন্ন ধরনের ড্রাফটিং, এ্যাডভোকেসি ইত্যাদি বিষয়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। সম্প্রতি এ কোর্সটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে শিক্ষার্থীরা ডিগ্রী গ্রহণ করে এবং আদালতে প্রাকটিশনার আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করতে পারে তার জন্য এ ব্যবস্থা। আবাসিক সুবিধা : ছাত্রছাত্রীদের আবাসিক সমস্যা দূরীকরণের লক্ষ্যে এ ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসের সন্নিকটে রয়েছে ৭টি হোস্টেল রয়েছে। তার মধ্যে ছেলেদের জন্য রয়েছে ৫টি এবং মেয়েদের জন্য রয়েছে ২টি হোস্টেল। এছাড়াও নিকুঞ্জ জোয়ার সাহারায় ছেলেদের জন্য ১টি এবং গ্রীনরোডে মেয়েদের জন্য ১টি হোস্টেল রয়েছে। ইন্টারনেট ও ল্যাবরেটরি : এ ইউনিভার্সিটি সম্পূর্ণ ওয়াই-ফাই এর আওতাভুক্ত। পুরো ক্যাম্পাস ওয়াই ফাই হওয়ায় এবং ইন্টারনেট সুবিধা থাকায় শিক্ষার্থীরা গবেষণা কাজে বিশেষ সুবিধা ভোগ করছে। এ ইউনিভার্সিটিতে রয়েছে অত্যাধুনিক মানসম্পন্ন প্রায় ৩১টি ল্যাবরেটরি। যা বুয়েট-ডুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতিমান অধ্যাপকের সার্বিক তত্ত্বাবধানে পরিচালনা করা হয়। বৃত্তি : বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ২০১০-এর আইন অনুযায়ী দরিদ্র, মেধাবী ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের বৃত্তি প্রদান করা হয়। এ ছাড়া পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বরধারীদের বিনা বেতনে অধ্যয়নের সুযোগ রয়েছে। বর্তমানে চার শতাধিক শিক্ষার্থী এ ইউনিভার্সিটিতে সম্পূর্ণ বিনা বেতনে অধ্যয়নরত। স্থায়ী ক্যাম্পাস : ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস বাড্ডার সাঁতারকুলে স্থাপন করা হয়েছে। স্থায়ী ক্যাম্পাসে ওয়াই-ফাই, ক্যান্টিন, ব্যায়ামাগার ও আধুনিক অডিটোরিয়াম রয়েছে। স্থায়ী ক্যাম্পাসে ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে আসার জন্য বাস ও শাটল সার্ভিস রয়েছে। বছরের বিভিন্ন সময়ে স্থায়ী ক্যাম্পাসে ইনডোর ও আউটডোর গেমসের আয়োজন করা হয়। সবুজে ঘেরা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভরা এই স্থায়ী ক্যাম্পাসের পরিবেশ মনোমুগ্ধকর। যোগাযোগ : বাড়ি-০৪, সড়ক-০১, ব্লক-এফ, বনানী, ঢাকা-১২১৩। মোবাইল : ০১৯৩৯৮৫১০৬১। মীর বাবু
×