ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রঙ্গনা নাট্যগোষ্ঠীর ‘শত নারী এক পুরুষ’ নাটকের মঞ্চায়ন আজ

প্রকাশিত: ১২:১৪, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯

রঙ্গনা নাট্যগোষ্ঠীর ‘শত নারী এক পুরুষ’ নাটকের মঞ্চায়ন আজ

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ বেইলী রোডের নাটক সরণির বাংলাদেশ মহিলা সমিতির ড. নীলিমা ইব্রাহীম মিলনায়তনে আজ রবিবার সন্ধ্যায় রঙ্গনা নাট্যগোষ্ঠীর ‘শত নারী এক পুরুষ’ নাটকের মঞ্চায়ন হবে। রঙ্গনা নাট্যগোষ্ঠীর ১৮তম প্রযোজনা ‘শত নারী এক পুরুষ’। সিরাজ হায়দার রচিত নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন হাসান হাফিজুর রহমান। দল সুত্রে জানা গেছে আজ সন্ধ্যা ৬-৩০ মিনিটে নাটকের মঞ্চায়ন শুরু হবে। নাটকের ষষ্ঠ মঞ্চায়ন হবে আজ। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করবেন হাসান হাফিজুর রহমান বাবলা, মোহাম্মদ কিবরিয়া, লিয়াতক আলী খান, জিয়াউল হাসান জিয়া, পাপিয়া, বনশ্রী, তমা আহমেদ, শহীদ, মিলন, শামীম, ইমরান, অনিক, তমা ও খোরশদ আলম ইমন। নাটকের প্রযোজনা অধিকর্তা, ইউসুফ কাদার বাবু ও মোহাম্মদ কিবরিয়া, আবহসঙ্গীত বিকাশ, আলোক প্রক্ষেপণ সবুজ ভূঁইয়া, সেট সেলিম। হিল্ল¬া বিয়েকে উপজীব্য করে গ্রাম্য পটভূমিতে ‘শত নারী এক পুরুষ’ নাটকের কাহিনী আবর্তিত হয়েছে। গ্রামের সহজ সরল এক যুবক ও তার নববিবাহিতা স্ত্রীর ভালবাসাময় জীবন কেমন করে গ্রাম্য নোংরা রাজনীতির শিকার হয়ে বিচ্ছেদের কালো ছায়ায় ঢাকা পরে তারই সুনিপুণ এক উপস্থাপন এই নাটকে প্রকাশ পায়। সেই সঙ্গে হাস্যরসের মাধ্যমে গ্রাম্য জীবনের নানা অসঙ্গতি প্রকাশের প্রয়াস নাটকটিকে ইতোমধ্যে দর্শক হৃদয়ে বিশেষ স্থান দিয়েছে। রূপচানের ভালবাসাকে অবজ্ঞা করে মাহতাবকে একান্ত নিজের করে পাওয়ার নেশায় মত্ত শহুরে নর্তকী লাইলী। কী এমন করল যাতে তাকে আত্মহননের মতো কঠিন পথ বেছে নিতে হলো? বিষয়টি জানতে হলে দর্শকদের শেষ পর্যন্ত নাটকটি দেখতে হবে। নাটকের টিকেট পাওয়া যাবে শোর আগে মিলনায়তনের কাউন্টারে। প্রসঙ্গত, ১৯৭৬ সালের ১৮ জানুয়ারি প্রয়াত নাট্যজন সিরাজ হায়দারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় রঙ্গনা নাট্যগোষ্ঠী প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তাঁরই রচনা ও নির্দেশনায় একই বছর মঞ্চস্থ হয় দলের প্রথম নাটক ‘আলো একটু আলো’। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সুদীর্ঘ এই পথ পরিক্রমায় এ পর্যন্ত ২টি পথ নাটক ছাড়াও ১৯টি মৌলিক নাটক মঞ্চস্থ করতে সক্ষম হয় দলটি। সমাজের অবহেলিত ও নিপীড়িত সম্প্রদায়ের যাপিত জীবনের অবর্ণনীয় কষ্টের আখ্যান রঙ্গনার নাটকের অন্যতম অনুষঙ্গ। সামাজে প্রচলিত নানাবিধ অসঙ্গতি এবং অসাধু ও ন্যায়নীতিবিবর্জিত মানুষের বেহায়াপনা কে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়ার প্রয়াস রঙ্গনার নাটকে বিশেষভাবে লক্ষণীয়। শুধুমাত্র নাটক মঞ্চস্থ করার মধ্যেই রঙ্গনার কার্যক্রম সীমাবদ্ধ ছিল না। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ বাংলাদেশের প্রায় সকল নাট্য আন্দোলনে অন্যান্য নাট্য দলের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজপথে অশংগ্রহণ করেছে দলের নাট্যকর্মীবৃন্দ। যাপিত জীবনের নানা অসঙ্গতি নাটকের মাধ্যমে মঞ্চে ফুটিয়ে তোলার মাধ্যমে দর্শকের ভাবনার দরজায় কড়া নেড়ে, বিবেকবোধকে জাগ্রত করে একটি সুন্দর সমাজ তথা একটি সুন্দর দেশ বিনির্মাণের সুপ্ত বাসনা নিয়ে প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ পর্যন্ত রঙ্গনা নাট্যগোষ্ঠী তার কর্মযজ্ঞ অব্যাহত রেখেছে।
×