ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

যুবসমাজই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রধান শক্তি ॥ আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১১:২১, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯

যুবসমাজই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রধান শক্তি ॥ আইনমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যুবসমাজই ডিজিটাল বাংলাদেশ ও সোনার বাংলা গড়ার প্রধানশক্তি বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। শনিবার রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ডাচ্ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড আয়োজিত তিন সহস্রাধিক দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। আইনমন্ত্রী বলেন, যুবসমাজ দেশের মূল্যবান সম্পদ। দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ যুবসমাজ। যুবসমাজকে সুসংগঠিত, সুশৃঙ্খল ও উৎপাদনমুখী শক্তিতে রূপান্তরের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করছে সরকার। যুব উন্নয়নে সরকারের অগ্রাধিকার হচ্ছে যুবকদের মানসম্মত শিক্ষা প্রদান, দক্ষতা বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গীবাদ ও মাদকমুক্ত যুবসমাজ। আনিসুল হক বলেন, আজকের বিশ্ব জ্ঞান ও বিজ্ঞানের বিশ্ব। এই নতুন বিশ্বে শিক্ষার ক্ষেত্রে যে-জাতি যত সাফল্য অর্জন করবে, সে জাতি জীবন-জীবিকার মানোন্নয়নে ও মানবিক গুণাবলী বিকাশে ততটাই অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি লাভ করবে। সেজন্য বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকার শিক্ষার অধিকার ও মানোন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে যাচ্ছে। স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষাকে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যুগোপযোগী করতে কারিগরি শিক্ষা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে অধিকতর বিনিয়োগ করছে সরকার। ফলশ্রুতিতে মানবসম্পদ উন্নয়ন ও শিক্ষা প্রসারে অভূতপূর্র্বসাফল্য অর্জিত হয়েছে। আইনমন্ত্রী বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার সুকৌশলী নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে, এখন উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেতে চলেছে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে শামিল হওয়ার পথে ধাবমান। এই উন্নয়নের সুফল থেকে কেউই যাতে বঞ্চিত না হয় সে-লক্ষ্যে সরকার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সমন্বিত কর্মপন্থা বাস্তবায়ন করে চলেছে। সরকারের বহুমাত্রিক উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সম্ভাবনাময় সম্পদ তরুণ-যুবসমাজের মেধা, সৃজনশীলতা, মনন ও ধীশক্তির উৎপাদনশীল কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হাতে বৃত্তিপত্র তুলে দিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ডাচ্ বাংলা ব্যাংক এ বছর এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৩ হাজার ১৮ জন শিক্ষার্থীকে স্নাতক শ্রেণীতে অধ্যয়নের জন্য মাসিক তিন হাজার টাকা হারে বৃত্তি দিচ্ছে এবং এই শিক্ষাবৃত্তির শতকরা ৯০ ভাগ দেয়া হচ্ছে গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের। নিঃসন্দেহে এটি ব্যাংকের একটি মহতী উদ্যোগ। এই উদ্যোগ আসলে ৩ হাজার ১৮টি পরিবারকে আলোকিত করার অন্যতম সিঁড়ি তৈরি করে দিয়েছে। ডাচ্ বাংলা ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মোঃ শিরিন বক্তব্য রাখেন। এছাড়া বৃত্তিপ্রাপ্ত কয়েকজন শিক্ষার্থী তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
×