ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ছায়ানটে শাস্ত্রীয় ধারার নৃত্যসন্ধ্যা ‘পরম্পরা’

প্রকাশিত: ১১:১৯, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯

ছায়ানটে শাস্ত্রীয় ধারার নৃত্যসন্ধ্যা ‘পরম্পরা’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নেমে আসে শীতের সন্ধ্যা। বেজে ওঠে নূপুরের নিক্কণ। উপস্থাপিত হয় নয়নজুড়ানো শাস্ত্রীয় ধারার নাচ। মুদ্রার সঙ্গে অভিব্যক্তির সম্মিলনে অনবদ্য নৃত্যশৈলী উপস্থাপন করেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নাচের তালিম নেয়া চার নৃত্যশিল্পী। এই শিল্পীদের ধ্রুপদী আঙ্গিকের মনিপুরি, ভরতনাট্যম ও কত্থক নাচে সাজানো ছিল তাদের পরিবেশনা। সুদেষ্ণা স্বয়ম্প্রভা পরিবেশন করেন মনিপুরি নাচ। মারিয়া ফারিহ্ উপমা উপস্থাপন করেন ভরতনাট্যম। মৌমিতা রায় জয়া ও হাসান ইশতিয়াক ইমরান উপস্থাপন করেন কত্থক নৃত্য। চারটি ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশনায় সাজানো ‘পরম্পরা’ নৃত্যানুষ্ঠানটির শিরোনাম ছিল। শনিবার ধানমন্ডির ছায়ানট সংস্কৃতি ভবন মিলনায়তনে এই নৃত্যসন্ধ্যার আয়োজন করে নৃত্য সংগঠন নৃত্যনন্দন। নৃত্যানুষ্ঠানটি উপভোগে সন্ধ্যার আগে থেকেই নৃত্যরাগীদের ভিড় জমে অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণে। পরিবেশনা শুরুর আগেই নৃত্যরসিকে পরিপূর্ণ হয়ে যায় মিলনায়তন। শাস্ত্রীয় নাচের মৌলিক বিষয়গুলো মঞ্চে মেলে ধরেন চার শিল্পী। অনুষ্ঠানের শুরুতে পোশাক কারিগর পৃথিশ সরকারকে সংবর্ধনা প্রদান করে নৃত্যনন্দন। পৃথিশ সরকারকে নিয়ে রচিত মানপত্র পাঠ করেন বাচিকশিল্পী ভাস্বর বন্দোপাধ্যায়। কুড়ি মিনিটের মনিপুরি নৃত্য পরিবেশন করেন সুদেষ্ণা স্বয়ম্প্রভা। সেই পরিবেশনায় দশ মিনিট লাস্য ও দশ মিনিটের তান্ডব উপস্থাপনের মাধ্যমে কৃষ্ণরূপ বর্ণন ও বর্ষা প্রবন্ধন করেন এই শিল্পী। ভরতনাট্যম নিয়ে মঞ্চে আসেন মারিয়া ফারিহ্ উপমা। টুকরা, আমাদ, পরান চক্কর, খালি পায়ে কাজ ইত্যাদির সংমিশ্রণে পরিবেশনাটি হয়ে ওঠে অনবদ্য। কত্থককে সঙ্গী করে নৃত্যশৈলী উপস্থাপন করেন মৌমিতা জয়া রায়। শিব বন্দনা দিয়ে নিজের পরিবেশনা শুরু করেন জয়া। দুই তিন ছন্দের দশ মাত্রার তাল ঝাঁপতালে পায়ের কারুকাজ মেলে ধরেন কত্থকের সৌন্দর্য। এরপর ‘দিল হি তো হায়’ গজলের সঙ্গে ঝাঁপতালে তিনতাল পরিবেশন করে মঞ্চ ত্যাগ করেন এই শিল্পী। সব শেষে কত্থকের পরিবেশনা নিয়ে মঞ্চে আসেন হাসান ইশতিয়াক ইমরান।
×