ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

উত্তরা মডেল কলেজের রজতজয়ন্তী

শিক্ষককে সম্মান করলে সেই জাতি এগিয়ে যাবেই ॥ মেয়র আতিক

প্রকাশিত: ১০:৩০, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯

 শিক্ষককে সম্মান করলে সেই জাতি এগিয়ে যাবেই ॥ মেয়র আতিক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যে জাতি শিক্ষককে সম্মান করতে পারে সেই জাতি এগিয়ে যাবেই। রাজধানীর রাজউক উত্তরা মডেল কলেজই তার প্রমাণ। বলেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম। একইসঙ্গে বর্তমান প্রজন্মকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলে তাদের সঙ্গে নিয়েই স্বপ্নের ঢাকা গড়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি। শুক্রবার সকাল ১০টায় রাজধানীর রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের রজতজয়ন্তী উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। এর আগে মেয়র কলেজে এসে পৌঁছলে কলেজের অধ্যক্ষ ডিএনসিসি মেয়র ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইনকে নিয়ে জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। প্রধান অতিথি হিসেবে মেয়র নিজ হাতে কলেজের সাবেক অধ্যক্ষদের সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন। কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী শওকত আলম এনডিসি, পিএসসির সভাপতিত্বে এই রজতজয়ন্তী উৎসবে স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন এমপি, গবর্নিং বডির সদস্যবৃন্দ, কলেজের সাবেক অধ্যক্ষবৃন্দ, সকল বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং সাবেক শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আতিকুল ইসলাম বলেন, আমি আজকে এই কলেজের গবর্নিং বডিকে ধন্যবাদ জানাই, তারা এই সকল দেশ গড়ার কারিগর, সাবেক সকল অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের সম্মানীত করেছেন,যাদের হাতে এই কলেজ এত বড় হয়েছে, এত সুনাম করেছে সে সকল শিক্ষকদের জানাই সশ্রদ্ধ সালাম। তিনি বলেন, ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এই রাজউক কলেজের শিক্ষার্থীরা আজ দেশ বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে অনেকটা রাজকীয়ভাবেই। দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিটি জায়গায় সাফল্যের সাক্ষর রেখে চলেছে এই রাজউক কলেজের শিক্ষার্থীরা। মেয়র বলেন, পড়াশোনার যেমন কোন বিকল্প নাই, তেমনি একইসঙ্গে কারিগরি ও জীবনমুখী শিক্ষার গুরুত্বকেও অস্বীকার করা যায় না। আমাদের যেমন শিক্ষিত হতে হবে তেমনি জীবনে প্রতিষ্ঠিতও হতে হবে। দেশের অর্থনীতির চাকা চলমান রাখতে নিজেকে বিশ্ব বাজারের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য শুধু বই নয় বরং একস্ট্রা কারিকুলাম এক্টিভিটিজে নিজে জড়াতে হবে। বর্তমান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে মেয়র বলেন, তোমরা তোমাদের বড় ভাই বোনদের অনুসরণ করো, কিভাবে তারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে সফল হয়েছে সেটি জান, নিশ্চই তোমরা আরও সফল হবে। ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আমাদের জিপিএ-৫ যেমন পেতে হবে ঠিক তেমনই মানুষের মতো মানুষও কিন্তু হতে হবে। শুধু সুখে না যাই, দুঃখে যেন মানুষের পাশে দাঁড়াই সে মানসিকতা আমাদের গড়ে তুলতে হবে। দেশকে একটি পরিচ্ছন্ন দেশ একটি পরিচ্ছন্ন ঢাকা গড়তে তোমাদের এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, আমরা সবাই এই দেশের নাগরিক, এটি জন্মসূত্রে পাওয়া অধিকার। কিন্তু সুনাগরিক একটি অর্জিত বিষয়, সুনাগরিকত্ব অর্জন করতে হয়। সাধারণ নাগরিক নিয়ে শুধু একটি নগর হয়, কিন্তু সুন্দর পরিচ্ছন্ন নগরীর জন্য সুনাগরিক দরকার হয়। আমি আশা করব তোমরা সবাই সুনাগরিক হবে। আমরা একসঙ্গে এই ঢাকাকে বদলে দেব। আমাদের স্বপ্নের ঢাকা গড়ব তোমাদের সঙ্গে নিয়েই।
×