ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঘড়ির মধ্যে গুপ্তধন!

প্রকাশিত: ১০:১৪, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯

 ঘড়ির মধ্যে গুপ্তধন!

জার্মানির বিভিন্ন শহরে সস্তা দামের পণ্য খোলাবাজারে বিক্রি করা হয় রাস্তায় বসে। লোয়ার স্যাক্সনি রাজ্যের আউরিশ শহরে তেমনই একটি বাজার থেকে ৬ মাস আগে একটি ঘড়ি কেনেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। বাসায় গিয়ে তিনি দেখতে পান, ঘড়ির কাঠের প্যানেলের ভেতর ৫০ হাজার ডয়েচমার্কের (জার্মানির পুরনো মুদ্রা) অনেক নোট রয়েছে। ইউরো চালু হওয়ার পর ২০০১ সালে মুদ্রাটির প্রচলন বন্ধ হয়ে যায়। ঘড়িতে পাওয়া মুদ্রাগুলো নিয়ে ওই ব্যক্তি সরকারী ‘লস্ট এ্যান্ড ফাউন্ড’ অফিসে যান। সেখানে ছয় মাস রাখার পরও কেউ মালিকানা দাবি না করায় আইনগতভাবে ওই অর্থের মালিক হন ঘড়ির ক্রেতা। পরে তা ভাঙিয়ে ২০০১ সালে ইউরো ও ডয়েচমার্কের বিনিময় মূল্য (১ ইউরো =১.৯৫৫ মার্ক) অনুযায়ী ২৫ হাজার পাঁচ শ’ ইউরো পেয়েছেন তিনি। এজন্য প্রায় পৌনে ছয় শ’ ইউরো শহর কর্তৃপক্ষকে ফি দিতে হয়েছে। জার্মানির নগদ অর্থকেন্দ্রিক অর্থনৈতিক সংস্কৃতির কারণে প্রায়ই মানুষের ঘরে প্রচুর অর্থ পাওয়ার খবর পাওয়া যায়। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ২০১৮ সালের তথ্যমতে, প্রায় ১২৫০ কোটি ডয়েচমার্কের হিসাব তাদের কাছে নেই। -ডয়চে ভেলে
×