ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

লাকসামে আইন অমান্য করে চলছে পুকুর ভরাট

প্রকাশিত: ০৯:১৯, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯

 লাকসামে আইন অমান্য করে চলছে পুকুর ভরাট

নিজস্ব সংবাদদাতা, লাকসাম, ২৭ ডিসেম্বর ॥ লাকসামে পশ্চিমগাঁও কাজী মসজিদের পাশে দীর্ঘদিনের একটি বিরাট পুকুর ভরাট চলছে। প্রশাসনের নির্দেশে পুকুর ভরাট কয়েকদিন বন্ধ রাখে। এরপর অশুভ শক্তির ছত্র ছায়ায় আবারও পুকুরটি পুনরায় ভরাট কাজ চলছে। স্থানীয়রা জানায়, আবুল বাশার ও ছেরু মিয়া কাছ থেকে পুকুরটি ক্রয় করেন আবু মিয়া। পুকুরটি ক্রয় করার পর স্থানীয় মাটি ব্যবসায়ীদের দিয়ে পুকুরটি ভরাট কাজ শুরু করে। পুকুরের চার পাড়ের বাসিন্দারা পুকুরটি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করত। কিন্তু বর্তমানে পুকুরের এক তৃতায়াংশ ভরাট করায় চতুরপাড়ের লোকজনের বিরাট অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছে। অপরদিকে ওই এলাকার অগ্নিকা-ের কোন দুর্ঘটনা ঘটলে পুকুর থেকে পানি সেচ দিয়ে আগুন নেভানো যেত কিন্তু পুকুরটি ভরাট করা হলে অগ্নিকা- নির্বাপণ ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। পুকুরের একটু দূরে খালি জায়গায় অন্য এলাকা থেকে বালু এনে স্তূপ করে রাখে। এরপর স্থানীয় মাটি ব্যবসায়ীরা ট্রাক্টর দিয়ে বালু বোঝাই করে পুকুরটি ভরাট করছে। পরিবেশ অধিদফতরের আইন মোতাবেক যে কোন পুকুর, জলাশয় ভরাট সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এরপরও পুকুর বা জলাশয় ভরাট করতে হলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হইতে অনুমোদন নিতে হবে। সেই আইনের কোন তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে পুকুর ভরাট কাজ চলছে। পুকুরটি ভরাট করার বিষয়ে এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশানারের (ভূমি) কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কয়েকদিন পুকুর ভরাট কাজ বন্ধ ছিল। এখন আবারও পুকুরটি ভরাট কাজ চলছে। দেখার কেউ নেই। স্থানীয় গ্রামবাসীরা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিনের ৪৮ শতকের এ পুকুরটির চতুরদিকে বসবাসকারী লোকজন পুকুরে গোসলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী থালা-বাসন, কাপড়-চোপড় ও অন্যান্য আসবাবপত্র ধোয়ামোছা করত। কিন্তু পুকুরটি বর্তমানে ভরাট করার কারণে এলাকার লোকজনের নানান সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উজালা রানী চাকমা বলেন, স্থানীয় তহশীলদার কে দিয়ে নিষেধ করা হয়েছে। আবারও পুকুর ভরাট হলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×