ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

শীতে ঢাকা চিড়িয়াখানার প্রাণীদেরও ছন্দপতন

প্রকাশিত: ০৯:১০, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯

  শীতে ঢাকা চিড়িয়াখানার  প্রাণীদেরও ছন্দপতন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কথায় আছে মাঘের শীতে বাঘ কাপে। মাঘ মাস এখনও আসেনি। সবে শুরু হলো পৌষ। এই পৌষেই বাঘের পাশাপাশি অন্য প্রাণীরা প্রচন্ড শীতে কাঁপতে শুরু করেছে। তীব্র ঠান্ডার কারণে মানুষের পাশাপাশি চিড়িয়াখানার বন্যপ্রাণীগুলোর দৈনন্দিন জীবনেও ঘটেছে ছন্দপতন। রাজধানীর মিরপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানায় বন্যপ্রাণীগুলোর এই অবস্থা দেখা গেছে। বছরের অন্য সময় চিড়িয়াখানার প্রাণীগুলোকে বিভিন্ন রকম অঙ্গভঙ্গি এবং হাঁকডাকের মাধ্যমে আগত দর্শনার্থীদের বিনোদন দিতে দেখা যায়। এখন দেখা যাচ্ছে সম্পূর্ণ উল্টো চিত্র। দেশজুড়ে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের কারণে প্রাণীগুলোর অবস্থাও কাহিল। জলহস্তীর নামের সঙ্গেই জুড়ে আছে তার পরিচয়। পানিতে না নামলে জলহস্তীর যেন স্বস্তি মেলেই না। শীতের কারণে সেই জলহস্তীকেই এখন দেখা যায় ডাঙ্গায় অলস সময় কাটাতে। যে সিংহ সারাক্ষণ তার কেশর ফুলিয়ে হুঙ্কার দিয়ে দর্শনার্থীদের মাতিয়ে রাখে সেই সিংহকে দেখা যায় চুপচাপ বসে থাকতে। চিড়িয়াখানার অধিকাংশ পাখিকে দেখা যায়, ওড়াওড়ি নয় বরং শরীরের লোম ফুলিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে তারা। তৃণভোজী প্রাণীগুলোর বেশিরভাগ ঠা-ার কারণে ঠায় দাঁড়িয়ে কিংবা বসে রয়েছে। চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের সব সময় এ প্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত দৌড়াদৌড়ি হুড়োহুড়ি করে বিনোদন দেয় হরিণ। তবে শীতের কারণে হরিণগুলোকে একে অপরের গায়ের সঙ্গে গা লাগিয়ে নিজেদের শরীর গরম রাখার চেষ্টা করতে দেখা যায়। চিড়িয়াখানার কুমিরগুলোকেও পানিতে পাওয়া গেল না খুঁজে। পানির বদলে কুমিরগুলো ডাঙ্গায় শুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছে। সাপগুলো কুন্ডলি পাকিয়ে একে অপরের শরীরের সঙ্গে লেপ্টে রয়েছে। তীব্র শীতের কারণে অন্য প্রাণীগুলোর অবস্থাও কাহিল। এই সময়েও দর্শকদের বিনোদন দিতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখছে বানর। শীতের কারণে কষ্ট হলেও একটুও কমেনি তার বাঁদরামি। শীতের এ সময়ে অধিকাংশ দর্শনার্থীর ভিড় বানরের খাঁচা ঘিরেই। শীতকালে চিড়িয়াখানার বন্য প্রাণীদের যত্ন এবং খাবারের বিষয়ে কী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডাঃ মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, শীতকালে প্রাণীদের কষ্ট লাঘবের জন্য তৃণভোজী প্রাণীর থাকার জায়গায় খড় বিছিয়ে দেয়া হয়েছে যেন শীত কম লাগে। মাংসাশী প্রাণীদের শীতকালের জন্য মাংসের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও যেসব প্রাণীর শীতকালে বিভিন্ন ধরনের স্কিন ডিজিজ হয় তাদের ইতোমধ্যে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে।
×