রাশিয়া, ইরান ও চীনের যৌথ সামরিক মহড়া যুক্তরাষ্ট্র পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সিন রবার্টসন। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, এ নৌমহড়া সত্ত্বেও ওয়াশিংটন তার মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে আন্তর্জাতিক জলসীমা ও প্রণালীগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। রুশ সংবাদমাধ্যম স্পুটনিক নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। খবর ওয়েবসাইটের।
২৮ ডিসেম্বর শুক্রবার থেকে ভারত মহাসাগর ও ওমান সাগরে চার দিনের নৌমহড়া শুরু করেছে চীন, রাশিয়া ও ইরান। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা ও জলদস্যুদের দমন করাই হবে এই মহড়ার গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য। চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক মহড়ায় এই প্রথমবারের মতো অংশ নিয়েছে তেহরান। সিন রবার্টসন বলেন, এ মহড়া সত্ত্বেও আমেরিকা তার মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে আন্তর্জাতিক জলসীমা ও প্রণালীগুলোর নিরাপত্তা রক্ষা করবে। বিশ্বের বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে পেন্টাগন। তিনি আরও বলেছেন, আরব সাগরে রাশিয়া, ইরান ও চীনের বহুমুখী মহড়ার বিষয়ে আমরা সতর্ক রয়েছি। আমরা এটা পর্যবেক্ষণ করছি। আন্তর্জাতিক জলপথে নৌ চলাচলের স্বাধীনতা এবং বাণিজ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে মিত্রদের সঙ্গে সহযোগিতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে ওয়াশিংটন। এর আগে বৃহস্পতিবার চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র উ কিয়ান বলেন, ইরান, চীন ও রাশিয়ার নৌবাহিনীর মধ্যে সমন্বয় ও সহযোগিতা শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এ মহড়া অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং এ মহড়া থেকে সদিচ্ছার বার্তা পাঠানো হবে। চীন এ মহড়ায় ডি০৫২ মডেলের একটি ডেস্ট্রয়ার পাঠিয়েছে। অন্যদিকে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, বাল্টিক সাগরে মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত রাখা তিনটি রুশ রণতরী ওমান সাগরের যৌথ নৌমহড়ায় অংশ নেবে।
এদিকে, ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি জঙ্গীবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে বলে দেশটির গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। বুধবার সাবালান পাহাড়ের কাছে হওয়া এই ঘটনায় মিগ বিমানটির দুই চালকও নিহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে রেড ক্রিসেন্টের উদ্ধারকারীদের নিয়ে একটি হেলিকপ্টার ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছে। কী কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে তা জানা যায়নি। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় তাব্রিজ ঘাঁটি থেকে বিমানটি উড্ডয়ন করেছিল। ইরানের বিমানবাহিনীতে কেবল রাশিয়ার তৈরি সুখয় ও মিগ বিমান রয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত বিমানটি মিগ-২৯ ছিল বলে জানা গেছে।