ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

২০১৯ ছিল শরণার্থীদের জন্য আরেকটি হতাশার বছর

প্রকাশিত: ০৮:৫৬, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯

 ২০১৯ ছিল শরণার্থীদের জন্য  আরেকটি হতাশার বছর

২০১৯ সালে শরণার্থীদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার আওয়াজ জোরাল হয়েছে। তুরস্কে অবস্থানরত সিরীয়, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ও পাকিস্তানে আফগান শরণার্থী এবং ইউরোপে যাওয়া শরণার্থী ও অভিবাসীদের জন্য স্ব স্ব দেশে ফিরে যাওয়ার আহ্বান আরও জোরাল হয়েছে। বাস্তবতা হলো শরণার্থীদের যার যার দেশে ফিরে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সহিংসতা ও নির্যাতন আগের মতোই আছে। সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নিরাপদ এলাকা প্রতিষ্ঠা করে শরণার্থীদের সেখানে ফিরিয়ে নেয়া হোক, তুরস্ক চলতি বছর একাধিকবার এ আহবান জানিয়েছে। তুরস্কে এখন ৩৭ লাখ সিরীয় শরণার্থী আছে। শরণার্থী গ্রহণের দিক থেকে তুরস্ক এখন শীর্ষ অবস্থানে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে সিরিয়ার ইদলিবে রুশ অভিযানে তৈরি শরণার্থী সঙ্কট তুরস্ক একা মোকাবেলা করবে না বলে জানিয়ে দেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগান। তিনি বলেন তার দেশ নতুন এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় সক্ষম নয়। তিনি আরও বলেন, এ বোঝা ইউরোপকেও বহন করতে হবে। সিরিয়ান শরণার্থীদের সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশ ঠেকাতে তুরস্ক ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে একটি সমঝোতা আওতায় তুরস্ক ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আর্থিক সহযোগিতা পেয়ে থাকে। তবে অর্থনৈতিক এ সহযোগিতা ঠিকমতো পাচ্ছে না বলে জানিয়ে দেন এরদোগান। এর কিছুদিন আগে তিনি বলেছেন, আমরা সিরিয়ার শরণার্থীদের জন্য ৪ বিলিয়নের বেশি অর্থ খরচ করেছি। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের কথা রাখেনি। তিনি বলেন, এখন ৫০ হাজার মানুষ ইদলিব থেকে পালিয়ে আমাদের দেশে এসেছে। আমরা ইতোমধ্যে ৩৭ লাখ মানুষকে আশ্রয় দিয়েছি। এরমধ্যেই অতিরিক্ত ৫০ হাজার মানুষ এসেছে। সম্ভবত এর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। চলতি বছর মার্কিন সীমান্তে আটকে দেয়া হয়েছে লাতিন আমেরিকা থেকে আসা শরণার্থীদের। ভূমধ্যসাগরে শরণার্থীবাহী নৌযান ডুবির বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। আফগান শরণার্থীরা ইউরোপে থেকে যাওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রাখে। কিন্তু ইউরোপীয় দেশগুলো তাদের দেশে পাঠাতে তৎপর হয়। কিন্তু আফগানদের দেশে ফেরার অবস্থা তৈরি হয়নি। -ওয়েবসাইট
×