ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কৃষকের এ্যাপসের মাধ্যমে ধান কেনা হবে ॥ খাদ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৬:১৩, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯

  কৃষকের এ্যাপসের মাধ্যমে ধান কেনা হবে ॥ খাদ্যমন্ত্রী

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ ॥ খাদ্যমন্ত্রী সাধান চন্দ্র মজুমদার এমপি বলেছেন, অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধ করতে আগামীতে গোটা দেশে কৃষকের এ্যাপসের মাধ্যমে ধান কেনা হবে। ইতোমধ্যেই এ্যাপসের মাধ্যমে দেশের ১৬টি উপজেলায় পাইলট স্কীমের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। বাঁকীগুলো কৃষি মন্ত্রনালয় যেভাবে তালিকা অনুসারে স্বচ্ছতার সঙ্গে জেলা ও উপজেলা গুলোতে খাদ্যসংগ্রহ কমিটি আছে, কৃষকদের উপস্থিতিতে স্বচ্ছতার সাঙ্গে ধান কেনা হচ্ছে। এই ধারা অব্যাহত থাকবে। আমাদের ইচ্ছা যে আমরা সারা দেশে লটারী না করে, আস্তে আস্তে আমরা ডিজিটাল এ্যাপসের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ করব। ঠিক সেটাই চিন্তা ভাবনা রয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে নওগাঁ সদর খাদ্য গুদামে অভ্যন্তরীন আমন ধান ও চাল সংগ্রহ ২০১৯-২০ মৌসুমে ডিজিটাল খাদ্যশষ্য ব্যবস্থপনার আওতায় ‘কৃষকের এ্যাপসের‘ মাধ্যমে আমন ধান সংগ্রহের উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথাগুলো বলেন। তিনি বলেন, আগামী বোরোতে আরও বৃদ্ধি করব এবং সামনে আমন আসতে আসতে শতভাগ “কৃষক এ্যাপসের” মাধ্যমে ধান সংগ্রহ করা হবে। মন্ত্রী বলেন, ১লা নবেম্বরে ধান কেনা শুরু করা হয়েছে। কিন্ত যেগুলো এ্যাপসের মাধ্যমে ছিল এবং এ্যাাপসের নিবন্ধনের কারনে একটু দেরী হয়েছে প্রথম বছর বলে। আগামী বছরে সঠিক সময়ে ধান সংগ্রহ শেষ করা হবে বলে জানান । মন্ত্রী আরো বলেন, আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন হয়ে খাদ্যশষ্য বিদেশে রফতানী করছি। আমরা ক্ষমতা নেয়ার পর খাদ্য বিভাগকে দূর্ণীতি মুক্ত করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। লটারীর মাধ্যমে কৃষক নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোথাও কোথাও অনিয়মের কথা উঠেছে। এব্যাপারে খাদ্য বিভাগ দায়ী নয়। কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকের যে তালিকা দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যেই লটারী করা হয়েছে। লোভ লালসার লিকেজ বন্ধ করতে পারলে দূর্ণীতি প্রতিরোধ করা সম্ভব। তিনি বলেন, শুধু সৎ হলেই হরেনা। প্রত্যেককে দেশ প্রেমিকও হতে হবে। বর্তমান সরকার কৃষক ও হতদরিদ্রদের জন্য খাদ্যে বিপুল পরিমান ভুর্তকি দিয়ে আসছে। এ এ্যাপস পদ্ধতি চালু করায় কোন গুদামে মধ্যস্বত্বভোগীরা কোন সুযোগ পাবেনা। শুধু কৃষকরাই গুদামে ধান দিতে পারবে।এতে করে আমরা রাজনৈতিক বদনাম থেকেও রেহায় পাচ্ছি। নওগাঁর জেলা প্রশাসক মোঃ হারুন অর-রশীদের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জিএম ফারুক হোসেন পাটোয়ারী, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সভাপতি আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম রফিক, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ। পরে প্রধান অতিথি কৃষকের এ্যাপসের মাধ্যামে ধানের ক্রয়ের টাকা বিতরন করেন। চলতি আমন মৌসুমে সদর উপজেলায় এক হাজার মেট্রিকটন ধান ৭ হাজার মেট্রিকটন চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করে খাদ্য বিভাগ। এর আগে মন্ত্রী নওগাঁ সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত ২০১৯ নওগাঁ ম্যারাথনের উদ্বোধন করেন।
×