ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী

মার্চে ঢাকায় আসছেন মোদি

প্রকাশিত: ১২:১৮, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯

মার্চে ঢাকায়  আসছেন মোদি

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী বছর মার্চে ঢাকা সফরের কথা রয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে শুরু হয়ে এক বছর বাংলাদেশে চলবে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠান। এ উপলক্ষে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ঢাকা সফরে আসবেন বলে জানিয়েছে দেশটির কূটনৈতিক সূত্র। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার। বিশেষজ্ঞদের মতে, নতুন নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি নিয়ে প্রতিবেশীদের মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের চলতি ‘গ্রহণদশা’ কাটাতে, বাড়তি পদক্ষেপ নিতে চাইছে সাউথ ব্লক। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর অবশ্যই সেই উদ্যোগের প্রধান বিষয়। হর্ষবর্ধন শ্রিংলাকে পরবর্তী বিদেশ সচিবের দায়িত্বে এনেও বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলোকে বার্তা দিতে চাইছে মোদি সরকার। বাংলাদেশ, মিয়ানমার এবং শ্রীলঙ্কার ভারপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব হিসেবে এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কাজ করেছেন হর্ষবর্ধন। তিনি ঢাকায় শুধু ভারতীয় হাইকমিশনারের দায়িত্বই সামলাননি, তার জনপ্রিয়তাও ছিল ব্যাপক। বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষ উৎসবে তাকে বঙ্গবন্ধু নিয়ে তথ্যচিত্র থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রকল্প এবং অনুষ্ঠানে জড়িয়ে রয়েছে ভারত। সূত্রের খবর, আসছে শ্রিংলা জানুয়ারির শেষে দায়িত্ব পাওয়ার পরই এই অনুষ্ঠানগুলোকে সফল করার কাজে হাত দেবেন। ঢাকাতেও আসবেন তিনি। এই উৎসব সামনে এনে নতুন বিদেশ সচিবের নেতৃত্বে বিভিন্ন স্তরে বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে। উল্লেখ্য, গত অক্টোবর মাসে দিল্লী সফরে গিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান শেখ হাসিনা। পাশাপাশি বিশ্বের কয়েকটি দেশের নেতাসহ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বাংলাদেশের পক্ষে। সেই তালিকায় রয়েছেন, ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন, ইউনেস্কোর সাবেক মহাসচিব ইরিনা বুকোভা ও আরব লিগের সাবেক মহাসচিব আমর মুসার নাম। আমন্ত্রণের তালিকায় আরও রয়েছেন ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, বিজেপির প্রবীণ নেতা এল কে আদবানী, জার্মানির চ্যান্সেলর এ্যাঙ্গেলা মেরকেল, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ প্রমুখ।
×