ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চালু হলো ডিএসইর নতুন সূচক সিডিএসইটি

প্রকাশিত: ০৯:৩৩, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯

চালু হলো ডিএসইর নতুন সূচক সিডিএসইটি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) আরেকটি নতুন সূচক চালু করেছে। সূচকটির নাম দেয়া হয়েছে সিএনআই-ডিএসই সিলেক্ট ইনডেক্স-সিডিএসইটি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কৌশলগত বিনিয়োগকারী শেনচেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের কারিগরি সহায়তায় বৃহস্পতিবার চালু হয়েছে সূচকটি। নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে সূচকটি ডিএসইর ওয়েবসাইটের হোমপেইজে দেখা যাবে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৬৬টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড থেকে বাছাই করা শেয়ার নিয়ে এই সূচকটি তৈরি করা হয়েছে। নতুন এ সূচক তৈরি ও উন্নয়নের কাজ করেছে শেনচেন সিকিউরিটিজ ইনফরমেশন কোম্পানি লিমিটেড। ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বরের শেয়ারের দামকে ভিত্তিমূল্য ধরে এই সূচক গণনা শুরু হচ্ছে। সূচকটির ভিত্তি হবে ১০০০ পয়েন্ট। এ প্রসঙ্গে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্রোকারদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স এ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি শাকিল রিজভী বলেন, নতুন সূচক গণনা শুরু হয়েছে। দুই-তিন দিন লেনদেন হলে সূচকটি বোঝা যাবে। তখন এটি প্রকাশ করা হবে। এই সূচকটি নক্সা করেছে চীনারা। আমাদের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো থেকে তাদের বিবেচনায় বাছাই করা শেয়ার নিয়ে এই সূচকটি তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে চীনা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ সহজ হবে। তাদের আর বেশি খোঁজা লাগবে না। এই সূচকে যে কোম্পানিগুলো আছে সেগুলো তারা খেয়াল রাখবে। বর্তমানে গ্রামীণফোন, স্কয়ার ফার্মা, বিএটিবিসির মতো বড় মূলধনী কোম্পানির শেয়ারদরে উত্থান-পতন হলে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্সে বড় ধরনের প্রভাব পড়ে। নতুন সূচকটি চালু হলে বড়, মাঝারি ও স্বল্প মূলধনী কোম্পানিগুলো আলাদা ক্যাটাগরিতে থাকবে। ফলে সূচকে এককভাবে হাতেগোনা কয়েকটি কোম্পানির প্রভাব কমে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বর্তমানে ডিএসইতে তিন ধরনের সূচক চালু আছে। সেগুলো হচ্ছে, ডিএসইএক্স, ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক এবং ডিএস৩০ সূচক।
×