ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

নাগরিকত্ব আইনবিরোধী বিক্ষোভে আশান্বিত অরুন্ধতী রায়

প্রকাশিত: ০৯:২৮, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯

নাগরিকত্ব আইনবিরোধী বিক্ষোভে আশান্বিত অরুন্ধতী রায়

ভারতে বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গণবিক্ষোভ প্রকট পর্যায়ে পৌঁছেছে। দেশটির ২০ কোটি মুসলমানের আশঙ্কা তারা এ আইনে প্রান্তিক অবস্থায় পৌঁছবে। এ মাসের প্রথম দিকে পাস হওয়া সিটিজেনশিপ এমেন্ডমেন্ট এ্যাক্টে (সিএএ) পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আগত হিন্দু, শিখ, জৈন, পার্সি ও খ্রীস্টানদের প্রতি নাগরিকত্ব স্বীকার করা হয়েছে। কিন্তু আইনটিতে মুসলিমরা এ নাগরিকত্ব আইনে অন্তর্ভুক্ত নয়। এর বিরুদ্ধে দেশের শহরগুলোতে এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে হাজার হাজার সমাবেশ ও বিক্ষোভ। সমালোচকরা বলেছেন, এই আইন ভারতের সেকিউলার শাসনতন্ত্র বিরোধী বিক্ষোভ সহিংসতায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে অন্তত ২৫ জন। কিন্তু ডানপন্থী ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমর্থন রয়েছে আইনটিতে। তিনি এ আইনকে এক মানবিক উদ্যোগ বলে অভিহিত করেছেন আল-জাজিরা। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অসম রাজ্যে আগস্টে সম্পন্ন ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেনস (এনআরসি) অনুসরণে আইনটি প্রণয়ন করা হয়। ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদ মঙ্গলবার জনসংখ্যা জরিপের জন্য তহবিল অনুমোদন করেছে। এতে অনেকের মধ্যে আশঙ্কা কাজ করছে যে, এ অর্থ বিতর্কিত নাগরিক নিবন্ধীকরণে ব্যয় করা হবে। বিশিষ্ট লেখক ও মানবাধিকার কর্মী অরুন্ধতী রায় বুধবার নয়াদিল্লীতে বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেন। তিনি পরস্পরকে রক্ষা করতে এবং ভারতের পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর যে কোন নির্যাতনের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর জন্য ভারতীয়দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। আইনটির বিরুদ্ধে আন্দোলনের বিষয়ে আল জাজিরার এক প্রশ্নের জবাবে অরুন্ধত রায় বলেন, হ্যাঁ আমি আশাবাদী। কারণ হিন্দুত্ববাদী কর্মসূচীতে যে আতঙ্ক রয়েছে তার বিরুদ্ধে এ আন্দোলন বুদ্ধিবৃত্তিক ও আবেগ-অনুভূতির দিকে থেকে সাড়া পাবে। মোদি, বিজেপি ও আরএসএস এ কর্মসূচীর প্রচার চালিয়ে আসছে অনেক বছর ধরে, বিশেষ করে ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে। কিন্তু সাধারণ মানুষ তা গ্রহণ করছে না। তাই আমি আশাবাদী। অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তারা বেশ কয়েকটি রাজ্যে ক্ষমতা হারিয়েছেন। কয়েক বছর আগেও তারা বেশ কিছু রাজ্যে ক্ষমতায় ছিলেন। এখন তো তারা ক্ষমতায় আছেন মাত্র তিনটি বা চারটি রাজ্যে। ১০ মুখ্যমন্ত্রী এর মধ্যেই বলেছেন যে, তারা এনআরসি মেনে নেবেন না।
×