তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগান বুধবার আকস্মিক সফরে তিউনিসিয়া গেছেন। এরদোগানের দফতর জানিয়েছে, তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদের সঙ্গে সরাসরি বৈঠকের জন্যই তার এ সফর। গার্ডিয়ান।
তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর দেশটিতে এটিই কোন রাষ্ট্রপ্রধানের প্রথম সফর। ভূমধ্যসাগরে তুরস্কের ‘এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন’ নিয়ে গ্রিসের সঙ্গে আঙ্কারার বিবাদের মধ্যে এরদোগানের এ সফর তাৎপর্যপূর্ণ বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। গ্রিসের দাবি, তুরস্ক তাদের পানিসীমায় অনুপ্রবেশ করেছে। ইতোমধ্যেই এ ইস্যুতে দেশটিকে সমর্থন দিয়েছে ইসরায়েল। অন্যদিকে ভূমধ্যসাগর অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের উদ্যোগ নিয়েছে আঙ্কারা। এর অংশ হিসেবে গত ২৭ নবেম্বর লিবিয়ার সঙ্গে চুক্তিতে উপনীত হয় তুরস্ক। ওই চুক্তি অনুযায়ী, ভূমধ্যসাগরে দেশটির নির্ধারিত অঞ্চলে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের সুযোগ পায় আঙ্কারা।
তুর্কী জ্বালানিমন্ত্রী ফাতিহ দোনমেজ ঘোষণা করেন, চুক্তি অনুযায়ী লিবিয়ায় তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের কাজ করবে তুরস্ক। অন্যদিকে গ্রিসের সঙ্গে লিবিয়ার সমুদ্রসীমা থাকায় ওই চুক্তিতে ক্ষুব্ধ হয় গ্রিস। তবে আঙ্কারার দাবি, আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ এবং এ অঞ্চলে নিজের অধিকার সুরক্ষিত রাখার অধিকার তুরস্কের রয়েছে। লিবিয়া সরকারকে সহায়তায় প্রয়োজনে দেশটিতে সেনা মোতায়েনেরও ঘোষণা দিয়েছেন এরদোগান। এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতেই তিউনিসিয়া সফরে গেলেন তুর্কী প্রেসিডেন্ট।
