ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অবশেষে জুভেন্টাস ছাড়লেন মানজুকিচ

প্রকাশিত: ১১:৫৯, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯

অবশেষে জুভেন্টাস ছাড়লেন মানজুকিচ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বয়সে তেত্রিশকেও ছাড়িয়ে গেছেন মারিও মানজুকিচ। এখনও চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত ক্রোয়েশিয়ান ফুটবলের এই জীবন্ত কিংবদন্তি। চার বছর আগে জুভেন্টাসে নতুন করে ঠিকানা গড়েছিলেন। এরপর থেকেই ইতালিয়ান জায়ান্টদের মূল ভরসা হয়ে ওঠেন তিনি। এই সময়ে ১৬৪ ম্যাচ খেলে প্রতিপক্ষের জালে ৪৪ গোল করেন মারিও মানজুকিচ। কিন্তু চলতি মৌসুমের বেশিরভাগ সময়ই মূল একাদশের বাইরে থাকতে হয় তাকে। বিশেষ করে মাউরিসিও সারি কোচ হয়ে আসার পর থেকেই কপাল পুড়ে তার। যে কারণেই জুভেন্টাস ছাড়ার গুঞ্জন উঠে তার। অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে জুভেন্টাস ছাড়লেন মারিও মানজুকিচ। মঙ্গলবার ফ্রি-ট্রান্সফারে কাতারের ক্লাব আল-দুহাইলে যোগ দিয়েছেন ক্রোয়েশিয়ান স্ট্রাইকার। বার্ষিক ৬ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে তাকে কিনে নেয় কাতারি জায়ান্টরা। এর ফলে পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ারে আল-দুহাইল হচ্ছে মানজুকিচের অষ্টম ঠিকানা। এশিয়ান ফুটবলে আসার আগে ইউরোপের কয়েকটি ক্লাবের হয়ে মাঠ মাতিয়েছেন তিনি। জার্মান জায়ান্ট বেয়ার্ন মিউনিখ, স্প্যানিশ ক্লাব এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের মতো ক্লাবের হয়ে খেলেছেন দীর্ঘ দেড় দশক। তবে ক্যারিয়ারে মানজুকিচের সবচেয়ে বেশি সময় কেটেছে ইতালিয়ান সিরি এ লীগের জায়ান্ট ক্লাব জুভেন্টাসের জার্সিতেই। জুভেন্টাসের হয়ে সাড়ে চার মৌসুম খেলেছেন মারিও মানজুকিচ। বিখ্যাত সাদা-কালো জার্সিতে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর সঙ্গে তার রসায়নটা ভালই জমে উঠেছিল গত মৌসুমে। জুভেন্টাসে যে কজন সতীর্থ পর্তুগীজ তারকার প্রিয় হয়ে উঠেন তাদের মধ্যে মানজুকিচ ছিলেন অন্যতম। ১৫ বছরের বর্ণিল ক্যারিয়ারে সর্বমোট ২৩ ট্রফি জিতেছেন তিনি। ২০১৩ সালে সবচেয়ে বড় সাফল্য উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ। গত বছর বিশ্বকাপেও স্বপ্ন পূরণের খুব কাছাকাছি গিয়েছিলেন মানজুকিচ। কিন্তু দুর্ভাগ্য তাদের ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে হেরে যায় তার দল ক্রোয়েশিয়া। ১৯৯৮ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলা ক্রোয়েশিয়া প্রথমবারের মতো ফাইনালে ওঠে রাশিয়া বিশ্বকাপে। সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১-১ সমতায় থাকাবস্থায় গোল করে প্রথমবারের মতো দলকে ফাইনালে নিয়ে যান মানজুকিচ। কিন্তু ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে শুরুতে আত্মঘাতী গোল করলেও পরে দলের পক্ষেও একটি গোল করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ক্রোয়েশিয়া রানার্সআপ হয় ৪-২ ব্যবধানে হেরে। বিশ্বকাপের পরই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বলে দেন তিনি। ক্রোয়েশিয়ার জার্সিতে ৮৯ ম্যাচে ৩৩ গোল করেন তিনি।
×