ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

স্ট্রাইকারের প্রয়োজন নেই রিয়াল মাদ্রিদের

করিম বেনজেমার প্রশংসায় পঞ্চমুখ কুর্তোয়া

প্রকাশিত: ১১:৫৮, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯

করিম বেনজেমার প্রশংসায় পঞ্চমুখ কুর্তোয়া

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দীর্ঘ ৯ বছর রিয়াল মাদ্রিদে থাকার পর ২০১৮ সালে জুভেন্টাসে নতুন করে ঠিকানা গড়েন ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো। এরপর স্প্যানিশ জায়ান্টদের আক্রমণভাগে নেতৃত্ব দিচ্ছেন করিম বেনজেমা। চলতি মৌসুমেও সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ২৩ ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করে প্রতিপক্ষের জালে ১৬ বার বল জড়িয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের এই ফরাসী স্ট্রাইকার। তথাপি আসছে জানুয়ারি ট্রান্সফার উইন্ডোতে নতুন স্ট্রাইকার কেনার গুঞ্জন শুনা যাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদের। তবে দলটির গোলরক্ষক থিবাউ কুর্তোয়া অবশ্য শতভাগ আস্থা রাখছেন বেনজেমার উপর। যে কারণে অন্য কোন স্ট্রাইকার কেনায় আগ্রহী নন তিনি। এ প্রসঙ্গে থিবাউ কুর্তোয়া বলেন, ‘করিম (বেনজেমা) অসাধারণ মাপের এক খেলোয়াড়। ইতোমধ্যেই অনেক গোল করে তার প্রমাণ দিয়েছে সে। তাই দলে আর কোন স্ট্রাইকারের স্বাক্ষর করানোটাকে আমি অন্তত প্রয়োজন মনে করি না। এই টিমের উপর পূর্ণ আস্থা আছে আমার।’ তবে রোনাল্ডোকে এখনও যে মিস করেন তাও স্বীকার করেছেন রিয়াল মাদ্রিদের এই গোলরক্ষক। তবে ধীরে ধীরে সি আর সেভেনের প্রভাবও ভুলতে শুরু করেছে লস ব্ল্যাঙ্কোসরা। তার ভাষ্যমতে, ‘রোনাল্ডো এমন একজন খেলোয়াড় যিনি বছরে ৪০-৫০ গোল করেন। তার মতো খেলোয়াড়কে মিস করাটাই স্বাভাবিক।’ রোনাল্ডোর রিয়াল ছাড়ার পর গ্যারেথ বেলের উপর আস্থা রেখেছিলেন অনেকে। কিন্তু সেই আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি রিয়ালের এই ওয়েলস স্ট্রাইকার। এমনকি জিদানের মনেও জায়গা করে নিতে পারেননি তিনি। তবে এই সময়ে পাদপ্রদীপের আলোয় উঠে এসেছেন করিম বেনজেমা। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে চলতি মৌসুমের শুরু থেকেই দারুণ ফর্মে আছেন তিনি। অন্যদিকে ইনজুরির বেড়ি কাটাতে পারছেন না এডেন হ্যাজার্ড। অন্যদিকে রড্রিগো-ভিনিসিয়াসরা ভাল খেললেও প্রত্যাশা মতো গোল পাচ্ছেন না। আর তরুণ স্ট্রাইকার লুকা জোভিচ আছেন নিজের ছায়া হয়ে। রিয়াল মাদ্রিদ তাই জানুয়ারির শীতকালীন দলবদলে নতুন স্ট্রাইকার কিনবে কি-না সেই প্রশ্নটা সম্প্রতি উঠেছে বেশ জোরেশোরেই। তবে গোলরক্ষক থিবাউ কুর্তোয়ার মতো জিনেদিন জিদানও নতুন স্ট্রাইকার কিনছেন না। ইতোমধ্যেই তা জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে রিয়ালের ফরাসী কোচ বলেন, ‘অব্যশই না। আমি মনে করি না, আমাদের নতুন স্ট্রাইকার কেনার দরকার আছে।’ এছাড়া রিয়াল মাদ্রিদের ২০১৯ সালটাকে তিনি খারাপ গেছে বলতেও নারাজ। সেইসঙ্গে নতুন বছরে আরও ভাল কিছুর স্বপ্নে বিভোর জিনেদিন জিদান। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করছি এটা ভাল একটা বছর। পারফর্মেন্সের দিক থেকে আমরা কিছুটা সাধারণ মানের ছিলাম। তবে সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে ২০২০ সালে ভাল কিছুর আশা করছি।’ চলতি মৌসুমের প্রথম এল ক্ল্যাসিকোয় ন্যুক্যাম্পে বার্সিলোনার চেয়ে ভাল খেলেছে রিয়াল মাদ্রিদ। সুযোগ ছিল গোল করে এগিয়ে যাওয়ার। জয় তুলে নেয়ার এবং পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষস্থান দখল করার। কিন্তু সেই সুযোগ হারায় জিনেদিন জিদানের দল। শুধু তাই নয় এল ক্ল্যাসিকোর পরের লীগ ম্যাচে ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে এ্যাথলেটিকো বিলবাওয়ের বিপক্ষেও গোলশূন্য ড্র করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। যে কারণে বার্সার থেকে দুই পয়েন্ট পিছিয়ে পড়ে গেছে বেল-বেনজেমারা। লীগের শেষ ম্যাচেও রিয়াল মাদ্রিদ একের পর এক আক্রমণ করেছে প্রতিপক্ষ শিবিরে। গোল করার সুযোগও তৈরি করেছে তারা। কিন্তু রিয়ালের তরুণ আক্রমণভাগ ভিনিসিয়াস জুনিয়র কিংবা রড্রিগো গোয়েস সেগুলোকে গোলে পরিণত করতে ব্যর্থ হন। গোল করতে পারেননি শুরুর একাদশে থাকা জিনেদিন জিদান কিংবা টনি ক্রুসরা। বরং মিস করেছেন গোল করার দারুণ কিছু সুযোগ। রিয়াল কোচ জিদান তাই দলের ফুটবলারদের ওপর ক্ষুব্ধ। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আগের মতোই আমরা এমন একটা ম্যাচ খেলেছি যেখানে অনেকগুলো সুযোগ তৈরি করেছি। কিন্তু গোল করতে পারিনি। আমি ফুটবলারদের ওপর বিরক্ত। ম্যাচে যদি আপনার সামনে সুযোগ আসে। অবশ্যই সেগুলো থেকে গোল করতে হবে। শেষ তিন ম্যাচে আমরা গোল করার মতো অসংখ্য সুযোগ পেয়েও গোল করেছি হাতে গোনা কয়টা।’
×