ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সুনীল অর্থনীতি ॥ উপকূলীয় জনপদের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনার

প্রকাশিত: ১১:৪১, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯

সুনীল অর্থনীতি ॥ উপকূলীয় জনপদের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনার

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব মেরিটাইম রিসার্চ এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিমরাড) গত মঙ্গলবার খুলনার নৌবাহিনী ঘাঁটিতে ‘সুনীল অর্থনীতির বিকাশে উপকূলীয় জনপদের ভূমিকা’ শীর্ষক দিনব্যাপী এক সেমিনারের আয়োজন করে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বহুমাত্রিক কর্মকা- ও জনজীবনের চিত্র তুলে ধরা এবং সমস্যাবলী পর্যালোচনাই ছিল এ সেমিনারের উদ্দেশ্য। বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরে পর্যটনের মূল কেন্দ্র হিসেবে এটির সম্ভাবনার বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়। দেশী-বিদেশী উদ্যোক্তা এবং উন্নয়ন সহযোগীদের মাধ্যমে বাংলাদেশের সুনীল অর্থনীতিকে লালন ও বিকাশের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে সেমিনারে আলোচিত হয়। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের উপকূলবাসীর উন্নয়নের লক্ষ্যে বিমরাড-এর তাৎপর্যপূর্ণ উদ্যোগ এবং গবেষণা, সক্ষমতা ও সচেতনতা তৈরিতে সক্রিয় অবদানের প্রশংসা করেন। দিনব্যাপী সেমিনারে চারটি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চার বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। এরা হলেনÑ খুলনা বিশ্বদ্যিালয়ের তিন অধ্যাপক যথাক্রমে ড. সেলিনা আহমেদ, ড. মোঃ ওয়াসিউল ইসলাম ও ড. নাজমুস সাদাত এবং এ্যান অর্গানাইজেশন ফর সোসিও ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট (এওএসইডি)-এর নির্বাহী পরিচালক শামিম আরফিন। সুনীল অর্থনীতির বিভিন্ন সেক্টরের অংশীজন, বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের কর্মকর্তাবৃন্দ, সমুদ্র বিষয়ক গবেষক, একাডেমিসিয়ান, সরকারী ও বেসরকারী সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ, ব্যবসায়ীগণ, উপকূলীয় ও বনাঞ্চলের প্রতিনিধিবর্গ, উদ্যোক্তা, উপকূলীয় সাংবাদিক এবং শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি বর্ণিল ও সফল হয়ে ওঠে। অংশগ্রহণকারীদের বক্তব্যে উপকূলীয় জীবন ও অর্থনীতি এবং সঙ্কট ও সম্ভাবনার নানা তথ্য উঠে আসে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের উপকূলবাসীর নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার বিভিন্ন দিক নিয়ে উপকূলীয় সাংবাদিক ও সংশ্লিষ্টদের মতবিনিময়ধর্মী দুটি অধিবেশন অত্যন্ত প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে যা থেকে উঠে আসে গঠনমূলক বেশকিছু পরামর্শ ও প্রস্তাবনা। বৈকালিক অধিবেশনে সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিমরাড চেয়ারম্যান সাবেক নৌবাহিনী প্রধান নিজামউদ্দিন আহমেদ। তিনি আশা প্রকাশ করেন বিমরাড ভবিষ্যতে বিশ্বের মেরিটাইম জনগোষ্ঠীর সেরা কেন্দ্রভূমি হয়ে উঠবে। চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে বলেন, সচেতনতা তৈরি, গবেষণা, উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ, শিক্ষা প্রদান, মতবিনিময় এবং নীতি প্রণয়নের মাধ্যমে সমুদ্র সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে ‘বিমরাড’ জাতির উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর প্রত্যাশা পূরণ করবে। বিমরাড চেয়ারম্যান দেশের সুনীল অর্থনীতির উদ্যোগ ও লালনে এবং উপকূলবাসীর উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, গবেষক, বুদ্ধিজীবী, নীতিনির্ধারকবৃন্দ এবং উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর সহযোগিতা প্রাপ্তিতে তার আকাক্সক্ষা প্রকাশ করেন। দিনব্যাপী সেমিনারটি পরিচালনা করেন বিমরাড মহাপরিচালক কমোডর কাজী এমদাদুল হক। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে বিমরাড ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এতে দুই প্রতিষ্ঠানের ভেতর সুনীল অর্থনীতির উন্নয়নে উদ্যোগ গ্রহণ ও বাংলাদেশের ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ সংক্রান্ত গবেষণা ও সক্ষমতা তৈরিতে সহযোগিতা এবং যৌথ তৎপরতার বিষয়টি উপস্থাপিত হয়েছে। -বিজ্ঞপ্তি।
×