ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জামান হোটেলে ছাত্রীর মৃত্যু ভিন্ন খাতে নিতে কোটি টাকার মিশন

প্রকাশিত: ১১:৩৬, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯

জামান হোটেলে ছাত্রীর মৃত্যু ভিন্ন খাতে নিতে কোটি টাকার মিশন

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ অতিরিক্ত ইয়াবা সেবনে মৃত্যুবরণকারী ঢাকার মেধাবী ছাত্রী স্বর্ণা রশিদ পর্যটন শহরে বেড়াতে এসে যে হোটেলটিতে উঠেছিলেন, সেটি শীর্ষ ইয়াবা গডফাদার শাহজাহান আনছারীর হোটেল। হোটেল মালিক শাহজাহান আনছারী গত ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফে একটি অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে আত্মসমর্পণ করেন। ওইদিন আলোচিত শাহজাহান আনছারীর সঙ্গে আরও ১০২ জন প্রসিদ্ধ ইয়াবা কারবারি ওই অনুষ্ঠানে আত্মসমর্পণ করেছে। তারা বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। ওই হোটেলটিতে এখনও হাত বাড়ালেই মিলে ইয়াবা। সূত্র জানায়, শীর্ষ ইয়াবা গডফাদার শাহজাহান আনছারী কারাগারে থাকলেও তার সিন্ডিকেট সদস্যরা ঠিকই ইয়াবার চালান মজুদ করে থাকে শহরের ইসলামাবাদ এলাকায়। জেলে থাকলেও তার পরামর্শমতে প্রকাশ্যে থাকা তার সহোদর কাশেম আনছারী ও রশিদ আনছারী ইয়াবার বড় চালান আনা ও গন্তব্য স্থানে পৌঁছানোসহ ইয়াবা বিক্রির ফান্ড পরিচালনা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। একাধিক সূত্র মতে, ঢাকার ধনাঢ্য ব্যবসায়ীর মেয়ে স্বর্ণা রশিদ (২২) প্রাইভেটে ব্রিটিশ কাউন্সিলে এ লেভেল এ অধ্যয়নরত একজন মেধাবী ছাত্রী ছিল। স্বর্ণা জানে না যে কক্সবাজারে ওই জামান হোটেলটি একজন ইয়াবা গডফাদারের হোটেল। ওই হোটেলে যে সহজে ইয়াবা মিলে তাও তিনি জানতেন না। ইয়াবাই যে তার মৃত্যু ডেকে আনবে তা জানলে মেধাবী ছাত্রী ওই হোটেলে উঠতেন না। বর্তমানে হোটেল মালিক শাহজাহান আনছারীর পক্ষে কারাগারের বাইরে থাকা দুই সহোদর কাশেম আনছারী ও রশিদ আনছারী ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে উঠেপড়ে লেগেছে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে কোটি টাকার মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে তারা। ডাক্তার ও পুলিশসহ বিভিন্ন স্থানে তদ্বির চালিয়ে যাচ্ছে। টাকার জোরে ইয়াবা সিন্ডিকেট সদস্যরা নিহত ছাত্রী স্বর্ণা রশিদ ইয়াবা সেবনে নয়, বন্ধুদের ধর্ষণে মারা গেছে বলে প্রচার করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ঢাকা থেকে ১০-১২ জনের একটি দল কক্সবাজারে বেড়াতে এসে শুক্রবার সকালে হোটেল জামানে ওঠেন। দিনভর সৈকতে ঘোরাফেরার পর শুক্রবার সন্ধ্যার পর ওই হোটেল কক্ষে অতিরিক্ত ইয়াবা সেবনে মারা যান মেধাবী ছাত্রী স্বর্ণা।
×