ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বিক্ষোভের মধ্যেই ভারতে এনপিআর অনুমোদিত

প্রকাশিত: ১০:৫৪, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯

বিক্ষোভের মধ্যেই ভারতে এনপিআর অনুমোদিত

ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনসিআর) নিয়ে উত্তপ্ত আবহের মধ্যেই ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার বা জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জিকে (এনপিআর) ছাড়পত্র দিল কেন্দ্রীয় সরকার। আদমশুমারির আগে এনপিআরের তথ্য আপডেট করার জন্য মন্ত্রিসভা মঙ্গলবার বাজেট বরাদ্দের অনুমোদন দিয়েছে। এনডিটিভি। জাতীয় জনগণনা কমিশন জানিয়েছে, আসাম বাদে সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এনপিআরের কাজ চলবে। এনপিআরে বায়োমেট্রিক তথ্য নেয়া হবে বলে এতদিন শোনা গেলেও কেন্দ্রীয় তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভাদেকর মঙ্গলবার নাগরিকদের জানিয়েছেন, এনপিআরের জন্য কোন তথ্য ও বায়োমেট্রিক তথ্য দিতে হবে না। জনগণ যা বলবেন সেটাই নথিভুক্ত করা হবে। আগের মতোই বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবেন সংশ্লিষ্ট কর্মীরা। সিএএ-এনআরসি নিয়ে সাধারণ মানুষ উদ্বিগ্ন। এর মধ্যে এনপিআর নিয়ে নতুন করে আতঙ্ক ছড়াতে পারে এমন আশঙ্কা থেকেই মন্ত্রী এ ঘোষণা দিয়েছেন। ওদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও এদিন মানুষকে স্পষ্ট ধারণা দেয়ার জন্য বলেছেন, জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জি (এনপিআর) এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) মধ্যে কোন যোগ নেই। দুটি আলাদা পদ্ধতি। এনআরপির জন্য সংগৃহীত তথ্য এনআরসির কাজে ব্যবহার করা যায় না। ভারতজুড়ে এনপিআর এবং জনগণনার জন্য ১৩০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তার মধ্যে জনগণনায় খরচ করা হবে ৮৭৫৪ কোটি টাকা। আর এনপিআরের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৩৯৪১ কোটি টাকা। কিন্তু সিএএ-এনআরসি নিয়ে বর্তমানে যে উত্তেজনার পরিবেশ বিরাজ করছে তাতে এ পদক্ষেপ নিয়ে আরও বেশি বিতর্ক সৃষ্টি হবে এবং কাজটি সুষ্ঠুভাবে করা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। বিরোধীরা সরকারের এই সিদ্ধান্তকে বিতর্কিত জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) প্রথম ধাপ বলেই মনে করছে।
×