ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ভারতে এনআরসি ও সিএবি

প্রকাশিত: ১১:৫৬, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯

ভারতে এনআরসি ও সিএবি

ভারতের অসম রাজ্যে ৩১ আগস্ট প্রকাশ করা হয় সংশোধিক নাগরিক পঞ্জি বা এনআরসি। তালিকায় নাম না-থাকাদের এখনই বের করে দেয়া হবে না বলে কর্মকর্তারা বার বার আশ্বস্ত করলেও এর মাধ্যমে অসমের সংখ্যালঘু বাঙালী বিশেষত মুসলিমদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়তে থাকে। অসমে প্রথম নাগরিকপঞ্জি হয়েছিল ১৯৫১ সালে। তারপর সংশোধন হতে হতে সুপ্রীমকোর্টের নির্দেশে তালিকা চূড়ান্ত করার পদক্ষেপ নেয়া হয়। সবশেষ খসড়া তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই। সেই তালিকায় তিন কোটি ২৯ লাখ বাসিন্দার মধ্যে বাদ পড়েন ৪০ লাখ ৭ হাজার ৭০৭ জন। ২০১৯ সালে এসে বাদ পড়ল ১৯ লাখ ৬ হাজার। এরপর ১১ ডিসেম্বর বিধানসভায় ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে নতুন আইন (সিএবি)। উদ্দেশ্য আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান থেকে আগত হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসি এবং খ্রীস্টান অবৈধ অভিবাসীদের নাগরকিত্ব দেয়ার পথ প্রশস্ত করা। এই সংশোধনী বিল পাসের পরপরই দেশজুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। যা প্রায় বছরের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে সংশোধনী বিল মুসলিমদের বিরুদ্ধে বৈষম্য ও আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। ১৫ ডিসেম্বর দিল্লী জামেয়া মিল্লিয়া ও আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটিতে যে পুলিশী নির্যাতন ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস।
×