ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশন কার্যক্রম

বাঙালীরা শঙ্কিত যে কারণে-

প্রকাশিত: ১১:১১, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯

বাঙালীরা শঙ্কিত যে কারণে-

মোয়াজ্জেমুল হক, চট্টগ্রাম অফিস ॥ ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তির পর পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে ভূমি নিয়ে বিরোধই সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এ সমস্যা সমাধানে ২০১৬ সালে যে সংশোধনী আনা হয়েছে সেটির কার্যক্রম নিয়ে সেখানকার বাঙালী জনগোষ্ঠীর সদস্যরা বড় ধরনের উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। যে আইনটি ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (সংশোধন) আইন-২০১৬’ হিসেবে অনুমোদন পেয়েছে। ভূমিবিরোধ সমস্যা নিরসনে একটি কমিশন রয়েছে। এ কমিশন পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন হিসেবে চিহ্নিত। এ কমিশনের সপ্তম সভা হয়েছে গত সোমবার রাঙ্গামাটির অস্থায়ী কার্যালয়ে। কমিশনের সভা আহ্বান উপলক্ষে দুদিন ধরে বাঙালীদের পক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানে প্রতিবাদ কর্মসূচী ঘোষণা করে এবং এ কমিশনে ভূমিবিরোধ নিয়ে আবেদনের শুনানি কার্যক্রম প্রতিহতের ঘোষণাও দেয়া হয়। সোমবার কমিশনের সভা শুরুর প্রাক্কালে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে, যা কমিশনের চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ারুল হক গ্রহণ করেছেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার আলকাস আল মামুন ভুঁইয়ার স্বাক্ষরে প্রদত্ত এ স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বর্তমান সরকার প্রধানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও আন্তরিকতার ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামের দীর্ঘদিনের অশান্ত পরিবেশ ও রক্তাক্ত সংঘাতের অবসান হয়েছে। পাহাড়ের সমস্যাকে রাজনৈতিকভাবে সমাধানের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সম্পাদিত হয় ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি। যার মূল লক্ষ্য ছিল পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।
×