ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অভিবাসন প্রত্যাশীদের তথ্যসেবা দিতে হটলাইন চালু

প্রকাশিত: ১১:০৯, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯

অভিবাসন প্রত্যাশীদের তথ্যসেবা দিতে হটলাইন চালু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অভিবাসন প্রত্যাশী কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য অভিবাসন সংক্রান্ত যে কোন ধরনের তথ্যসেবা দিতে হটলাইন চালু করেছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এবং ব্র্যাক। হটলাইন নম্বর হচ্ছে ০৮০০০১০২০৩০। যে কেউ বিনা খরচে এই নম্বরে ফোন করে অভিবাসন সংক্রান্ত সব তথ্য জানতে পাবেন। মঙ্গলবার রাজধানীর মহাখালী ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত ‘নিরাপদ প্রত্যাবর্তন এবং টেকসই পুনরেকত্রীকরণ’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে হটলাইনের উদ্বোধন করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন। হটলাইন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইওএম বাংলাদেশের মনিটরিং, ইভল্যুয়েশন, একাউন্টেবিলিটি ও লার্নিং বিভাগের প্রধান ফিনিয়াস জেসি এবং ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচীর প্রধান শরিফুল ইসলাম হাসান প্রমুখ। হটলাইনের পাশাপাশি বিদেশ থেকেও অভিবাসন সংক্রান্ত যেকোন তথ্য সেবা পাওয়া যাবে +৯৬১০১০২০৩০ নম্বরে ফোন করে। বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ফোন করে সরাসরি তথ্যসেবা পাওয়া যাবে। এ সময়ের বাইরে ফোন করলে সে ফোনকলটির রেকর্ড থেকে পরবর্তীতে কলদাতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে ‘প্রত্যাশা’ প্রকল্পের আওতায় এ হটলাইনটি চালু করা হয়। প্রকল্পটি বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্বে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে ব্র্যাকের সঙ্গে অংশীদারিত্বে আইওএম বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করছে। হটলাইন উদ্বোধনের আগে আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, তথ্য হচ্ছে সূর্যের আলোর মতো। তথ্য জানলে মানুষের কাছে সবকিছু দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়ে যায়। তখন জেনে-বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হয়। কিন্তু যারা বিদেশে গেছেন বা যেতে চাচ্ছেন তাদের বেশিরভাগই তথ্য জেনে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না। ৯৫ ভাগ মানুষই জানেন না, তারা কোন এজেন্সির মাধ্যমে যাচ্ছেন। মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন দেশ থেকে বিশেষ করে নারী কর্মীদের ওপর নির্যাতনের খবর আসে। বিষয়গুলো সমাধানে আমাদের আন্তরিকতার ঘাটতি নেই। এ বিষয়ে সরকারের জিরো টলারেন্স রয়েছে। কিছু সমস্যা আছে। তবে একথাও মনে রাখতে হবে সরকারের একার পক্ষে সবকিছুর সমাধান করা সম্ভব নয়। আমরা সমস্যা যেখানে আছে সেটা স্বীকার করি। সমাধানও করতে চাই। বিদেশ ফেরত কর্মীদের পুনরেকত্রীকরণের ওপর জোর দিয়ে ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, বিদেশফেরত কর্মীদের পুনরেকত্রীকরণও অভিবাসন প্রক্রিয়ার একটি অংশ। এ বিষয়ে সরকারী, বেসরকারী সংস্থাসহ সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। প্রত্যাশা প্রকল্পটি বিদেশ ফেরতদের জন্য একটি সমন্বিত পদক্ষেপ। সরকারও এই ধরনের কাজের সঙ্গে আছে। ভবিষ্যতে আরও ব্যাপক আকারে পুনরেকত্রীকরণ নিয়ে কাজ করার প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা। অনুষ্ঠানে বলা হয়, বিদেশ-ফেরত কর্মীদের মানসিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক পুনরেকত্রীকরণের জন্য প্রত্যাশা প্রকল্প কাজ করছে। তথ্য পাওয়া সহজ করতে এই প্রকল্পের আওতায় এ বছরের এপ্রিলে হটলাইনটি চালু করা হয়। মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করা হলো। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইওএম বাংলাদেশের মনিটরিং, ইভাল্যুয়েশন, একাউন্টেবিলিটি ও লার্নিং বিভাগের প্রধান ফিনিয়াস জেসি বলেন, পুনরেকত্রীকরণ অভিবাসন প্রক্রিয়ারই একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাংলাদেশের প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ দেশের বাইরে থাকেন। এদের মধ্যে বিদেশে গিয়ে যারা ভাল করতে পারেন না কিংবা সমস্যায় পড়ে ফিরে আসেন তারা মানসিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন হন। এসব মানুষের জন্য টেকসই পুনরেকত্রীকরণ জরুরী। বিশেষ করে যারা অনিয়মিতভাবে বিদেশ গিয়ে ফেরত আসছেন তাদের গল্পগুলো অনেক করুণ। এসব মানুষের জন্য আমাদের অনেক কিছু করার আছে।
×