ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বায়ুদূষণের বিরুদ্ধে ঢাকা উত্তর সিটির অভিযান

প্রকাশিত: ০৯:৩৮, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯

বায়ুদূষণের বিরুদ্ধে ঢাকা উত্তর সিটির অভিযান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীতে বায়ুদূষণের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার সংস্থাটির মেয়র নিজে উপস্থিত থেকে এসব অভিযানের নেতৃত্ব দেন। ডিএনসিসির মহাখালী অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর নাহিদ আহসান এবং প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবদুল হামিদ মিয়া গুলশানের নিকেতন ও মহানগর প্রজেক্ট এবং বনশ্রী এলাকায় এসব অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় সড়ক ও ফুটপাথে নির্মাণসামগ্রী রাখা এবং এর ফলে বায়ুদূষণের অভিযোগে স্থানীয় সরকার আইন (সিটি কর্পোরেশন), ২০০৯ অনুযায়ী ডিএনসিসির ১ জন ঠিকাদারসহ ৪ জনের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে মোট ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া গুলশান ১ নম্বর ও ২ নম্বর এর মিডিয়ানে রেনেসাঁ হোটেল কর্তৃক অবৈধভাবে স্থাপিত বিলবোর্ড উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানকালে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল হাই, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার সাইদ আহমেদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর মঞ্জুর হোসেন উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শনকালে মেয়র বায়ুদূষণ সম্পর্কে সচেতন করার জন্য পথচারীদের প্রচারপত্র বিলি করেন। নিকেতনের ২ নম্বর গেটসংলগ্ন ৮ নম্বর সড়ক থেকে এ অভিযান শুরু করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর নাহিদ হাসান। নাহিদ হাসান জানান, দিনব্যাপী এ অভিযান পরিচালিত হবে। সড়কে যত্রতত্র নির্মাণসামগ্রী ইট-বালু, পাথর রেখে যারা পরিবেশ দূষণ করছে তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অভিযানকালে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, বায়ুদূষণ রোধে কী কী করতে পারি, এটা একটা চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। কিছু আছে দীর্ঘমেয়াদি, কিছু আছে স্বল্পমেয়াদি। এই মুহূর্তে আমরা দেখছি আমাদের রোগী মরে যাচ্ছে, কোরামিন ইনজেকশন দিতে হবে। আমি মনে করি, এটাকে শর্টটার্ম হিসেবে চিন্তা করতে পারি। এই শর্টটার্মের জন্য আমরা কী করতে পারি। আমি বলেছি ভালবাসার দিন শেষ, এখন হচ্ছে জরিমানা। সিটি কর্পোরেশনের যে ঠিকাদাররা কাজ করছে তাদের আমি প্রথমে জরিমানা করব। কারণ নিজের ঘর থেকে যদি জরিমানা শুরু না করি মানুষ কিন্তু উল্টো বদনাম করবে। সিটি কর্পোরেশনের ঠিকাদারদের বলেছি, আগামী ২২ ডিসেম্বর থেকে আমি ঘোষণা ছাড়াই বিভিন্ন জায়গায় যাব। তিনি বলেন, যে কনস্ট্রাকশন কোম্পানি কমপ্লায়েন্স মেইনটেন্স না করে সিটি কর্পোরেশনে কাজ করবে, হয় তার ব্যবসা বন্ধ করতে হবে, না হয় জরিমানা দিতে হবে। যে কোন একটিতে আসতে হবে। ফাইনের মাধ্যমে আমরা নোটিস দেব। তারপরও যদি কাজ না করে অবশ্যই সিটি কর্পোরেশনের কন্ট্রাক্টর যারা আছেন তাদের ব্ল্যাকলিস্ট করা ছাড়া দ্বিতীয় কোন পন্থা থাকবে না আমাদের। আতিকুল ইসলাম বলেন, অনেকেই নিজেকে ক্ষমতাবান মনে করেন, যা খুশি তাই করেন, আইন মানেন না, তোয়াক্কা করেন না, কিন্তু মনে রাখতে হবে দেশের উপরে, সরকারের উপরে ক্ষমতাবান কেউ নেই। হুট করে যে কেউ এসে রাস্তার মিডিয়ান, ফুটপাথ, লাইটপোস্টে, বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন লাগাবেন,অবৈধ বিদ্যুত সংযোগ নেবেন, যা খুশি তাই করবেন, এভাবে চলতে পারে না। সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি নেয়ার বিধান আছে, সেগুলো মেনে চলতে হবে।
×