জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ রোহিঙ্গাদের নিজ আবাসভূমি মিয়ানমারের রাখাইনে প্রত্যাবাসনে তুরস্কের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার জন্য বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ডেভরিম ওজতুর্কের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ওজতুর্ক মঙ্গলবার বিকেলে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাত করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান। খবর বাসসর।
রাষ্ট্রপতি রোহিঙ্গা ইস্যুতে তুর্কী প্রজাতন্ত্রের ভূমিকা ও সমর্থনের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। রাষ্ট্রপতির প্রেসসচিব মোহাম্মদ জয়নাল আবেদিন এ কথা জানান। বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাতকালে রাষ্ট্রপ্রধান আরও বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে সমর্থন দিয়ে এবং তাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের জন্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বিষয়টি উত্থাপন করে তুরস্ক কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে। বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূতের মেয়াদের সফল সমাপ্তির জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ সর্বদা সকলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সুসম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়টিকে অগ্রধিকার দেয়। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিরাজ করছে এবং আগামী দিনগুলোতে এই সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। তিনি বর্তমান বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে রাষ্ট্রদূতের ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনগুলোতে দু’দেশের বন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রপতি ও বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বাড়াতে তুরস্ক সর্বদা আগ্রহী।
বিদায়ী রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের চলমান আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়ন ও শিক্ষার ব্যাপক উন্নয়নের প্রশংসা করেন। ডেভরিম ওজতুর্ক আশা প্রকাশ করেন যে, ভবিষ্যতে দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। সাক্ষাতকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিবগণ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।