ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

তুরাগ তীরে বহু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

প্রকাশিত: ০৯:৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯

তুরাগ তীরে বহু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

নিজস্ব সংবাদদাতা, টঙ্গী, ২৩ ডিসেম্বর ॥ টঙ্গী তুরাগ নদীর তীরবর্তী এলাকায় সোমবার সকালে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে গাজীপুর জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ। টঙ্গী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ.কে. এম গোলাম মোর্শেদের নেতৃত্বে তুরাগ নদীর টঙ্গী বাজার এলাকা থেকে এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। এ সময় নদীর তীরবর্তী টঙ্গী বাজার এলাকায় গড়ে ওঠা সকল অবৈধ স্থাপনা বুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়। টঙ্গীর পাগাড় এলাকায় নদী তীরের অবৈধ অবকাঠামোগুলোও উচ্ছেদ করা হয়। এ পাগাড় এলাকায় নদী তীরদেশ ভরাট করে গড়ে ওঠা মার্চেন্ট নামের একটি কারখানার বর্ধিতাংশও ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। উচ্ছেদ অভিযানের সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেনসহ পাউবো ও গাজীপুর জেলা প্রশাসনের রাজস্ব বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বাগেরহাট স্টাফ রিপোর্টার বাগেরহাট থেকে জানান, চিতলমারীতে বহু প্রতীক্ষিত মরা মধুমতি, চিত্রা, ভৈরবসহ ৫৫টি নদী-খাল খননের জন্য নদীর পাড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কাজ শুরু হয়েছে। সোমবার সকালে চিতলমারী সদর বাজারের বড় ব্রিজের পাশ থেকে এ অভিযান শুরু হয়। এ সময় শত শত উৎসুক লোকজন এ অভিযান দেখতে ভিড় জমান। এ অভিযানে এলাকাবাসী স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদুজ্জামান খান জানান, দেশব্যাপী নদী-খাল খনন ও উচ্ছেদ অভিযানের অংশ হিসেবে চিতলমারীতে ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রথমে নদী ও খালের পাশে অবৈধভাবে যারা স্থাপনা নির্মাণ করেছে সেগুলো অপসারণের কাজ চলছে। পাশাপাশি এ সকল নদী-খাল খননের মাধ্যমে জোয়ার-ভাটার গতি ফিরিয়ে আনা হবে। পর্যায়ক্রমে কৃষি প্রধান এ এলাকার মরা মধুমতি, চিত্রা, ভৈরবসহ ৫৫টি নদী-খাল খননের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে বলেও তিনি অভিমত প্রকাশ করেন। অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বিল্ডিংও অপসারণ করা হবে বলে জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ জানান। বগুড়া স্টাফ রিপোর্টার বগুড়া অফিস থেকে জানান, শহরের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া করতোয়া নদীর পাড় থেকে নদীর জায়গা দখল করে নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ সোমবার অভিযান শুরু হয়েছে। সকালে শহরের রাজাবাজার রেলওয়ে ব্রিজসংলগ্ন এলাকা থেকে এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। এ সময় বেশ কিছু অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলা হয়। করতোয়া নদীদের দখলমুক্ত করতে চলতি বছর এটি দ্বিতীয় দফা অভিযান। জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড যৌথভাবে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছে। এই অভিযানে নদীর ভূমি দখল করে নির্মিত ১৬টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, উচ্ছেদ অভিযান পর্যায়ক্রমে অব্যাহত থাকবে এবং নদীকে অবৈধ দখলমুক্ত করে নদীর নাব্য ও স্রোতধারা ফিরিয়ে আনা অভিযানের অন্যতম লক্ষ্য। দিনাজপুর স্টাফ রিপোর্টার দিনাজপুর থেকে জানান, শহরের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত ঘাগড়া খালের দু’পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান অবশেষে শুরু হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে দিনাজপুর শহরবাসীর দাবি ছিল, এই খালের দু’পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের। সোমবার সকাল ১০টায় দিনাজপুর শহরের বড়মাঠ বড়পুল এলাকা থেকে ঘাগড়া খালের অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়। শেরপুর নিজস্ব সংবাদদাতা শেরপুর থেকে জানান, নকলা উপজেলার সুতিখালী নদীতে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের যৌথ উদ্যোগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল আলম রাসেলের নেতৃত্বে ওই উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। ওই সময় এস্কেভেটর ও প্রায় অর্ধশতাধিক শ্রমিক নিয়ে নদীর অবৈধ দখলদারদের দেয়া বাঁধ ও পুকুরের পাড় কেটে দখলমুক্ত করা হয়। মাদারীপুর নিজস্ব সংবাদদাতা মাদারীপুর থেকে জানান, উচ্ছেদ নোটিস দেয়ার পরেও অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে না নেয়ায় শহরের রাস্তি খাল উদ্ধারে যৌথভাবে অভিযানে নেমেছে জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড। সোমবার বেলা ১২টার দিকে মাদারীপুর পৌর শহরের পুরান বাজারের কাঠপট্টি ব্রিজের নিচ থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়। জানা গেছে, প্রায় অর্ধশত বছর আগে মাদারীপুর পৌরসভা, রাস্তি ও পাঁচখোলা মৌজার প্রায় এক কিলোমিটার খাল এলাকার শতাধিক ব্যক্তি অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে বসবাস ও ব্যবসা-বাণিজ্য করে আসছে। নওগাঁ নিজস্ব সংবাদদাতা নওগাঁ থেকে জানান, মান্দায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সম্পত্তি দখল করে অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করা হয়েছে। একটি খাল দখলমুক্ত করতে সোমবার সকাল থেকে মান্দা উপজেলার সতিহাট বাজার এলাকায় এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে পাউবো। পটুয়াখালী নিজস্ব সংবাদদাতা পটুয়াখালী থেকে জানান, শহরের বহালগাছিয়া নদীর দু’পাড়ে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করতে অভিযান শুরু হয়েছে। সোমবার সকালে শহরের হেতালিয়া বাঁধঘাট এলাকা থেকে জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড যৌথ উদ্যোগে এ অভিযান শুরু করে। অভিযানের প্রথম দিনে মোট ২৮টি অবৈধ স্থপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। চাঁদপুর নিজস্ব সংবাদদাতা চাঁদপুর থেকে জানান, চাঁদপুর সদরের পানি উন্নয়ন বোর্ড সংলগ্ন লেক ১৫টি ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার সিআইপি বেড়িবাঁধ সংলগ্ন খালের পাশে থাকা ২২৭টি অবৈধ স্থাপনা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করা হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ। অভিযানে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, চাঁদপুর সড়ক বিভাগ ও জেলা পুলিশ সহযোগিতা করেন। সকাল ১০টায় চাঁদপুর শহরের ষোলঘর পানি উন্নয়ন বোর্ড সংলগ্ন লেকটির পাশে থাকা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করা হয়। এরপরে ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন, ফরিদগঞ্জ সহকারী কমিশনার ভূমি’র সহযোগিতায় উপজেলার বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়ন এলাকা থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে খালের পাশে থাকা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। মেহেরপুর সংবাদদাতা মেহেরপুর থেকে জানান, শহরে বুক চিরে বয়ে চলা ঐতিহ্যবাহী ভৈরব নদীর দু’পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসন। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় পানি উন্নয়ন বোর্ড সদর উপজেলার গোভিপুর ঘাট থেকে এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদুল আলমের নেতৃত্বে ১২টি দোকানপাট ও বসতবাড়ি উচ্ছেদ করা হয়। ভৈরব নদীর ৩৮ কিলোমিটার অংশে ৪৮টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়েছে। পাবনা নিজস্ব সংবাদদাতা পাবনা থেকে জানান, দীর্ঘকাল আন্দোলন সংগ্রামের পর শহরের মধ্য দিয়ে এককালের স্রোতস্বিনী নদী ইছামতি প্রবাহমান করতে দু’পারের অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে প্রশাসন। সোমবার জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদের নেতৃত্বে প্রশাসন ডিসি রোডের ব্রিজ থেকে অবৈধ দখলদারদের পাকা বাড়িঘড়সহ স্থাপনা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়া সিলেট, নড়াইল, কুমিল্লা, নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় উচ্ছেদ অভিযান চালায় পানি উন্নয়নবোর্ড ।
×